নিজস্বী: ছবি দেখতে সিনেমা হলে ঢোকার আগে। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে। ছবি: পিটিআই।
করণী সেনার তাণ্ডবে সিন্দুক কিন্তু খালি থাকছে না প্রযোজকদের!
বৃহস্পতিবার সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘পদ্মাবত’ মুক্তি পেয়েছে। তার আগে, বুধবার সন্ধ্যায় মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে ছিল ‘পেড প্রিভিউ’। হামলার ভয়েই হোক বা অন্য কারণে, তা নিয়ে বেশি প্রচারও হয়নি। তা সত্ত্বেও সেই প্রিভিউ থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা আয় হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার, ছবি মুক্তির প্রথম দিনে বক্সঅফিস থেকে ১২ থেকে ২০ কোটি টাকা আয় হতে চলেছে বলে বলিউডের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের হিসেব।
এমনিতে বলিউডের হিট ছবিগুলো প্রথম দিনেই ৩০কোটির বেশি তুলে ফেলে। সেই তুলনায় ‘পদ্মাবত’ বেশ কিছু রাজ্যে মুক্তি না পাওয়া সত্ত্বেও যদি প্রথম দিন ২০ কোটিতে পৌঁছয়, তা খুবই ভাল অঙ্ক বলে মনে করছেন বক্স অফিস বিশেষজ্ঞরা। তা হলে কি ছবি ঘিরে এত বিতর্ক আখেরে ‘পদ্মাবত’-এর সাফল্যের চাবিকাঠিই হয়ে উঠছে! জল্পনাটা ঘুরছে বিভিন্ন মহলেই। বলিউডের বাণিজ্য-বিশেষজ্ঞ কোমল নাহাটা মানলেন, ‘‘নেতিবাচক প্রচারটা অবশ্যই প্রচার। ছবি ঘিরে বিতর্কে পদ্মাবতের লাভই হয়েছে। যাদের এই ছবি ঘিরে আগ্রহ ছিল না, তাদেরও কৌতূহল তুঙ্গে।’’
রাজকীয়: ‘পদ্মাবত’ মুক্তির দিনে পদ্মাবতী। মুম্বইয়ে দীপিকা। ছবি: পিটিআই।
কৌতূহল তৈরি হলে ব্যবসাও বাড়ে। যে কারণে বাহুবলী-র থেকেও বেশি ব্যবসা করেছিল বাহুবলী-২। কারণ সেই কৌতূহল— কাটাপ্পা কেন বাহুবলীকে হত্যা করল? পদ্মাবতেও দীপিকা-রণবীর মুখোমুখি হচ্ছেন কি না বা করণী সেনার রেগে যাওয়ার মতো কিছু আছে কি না— তাই নিয়ে কৌতূহল। ফল, প্রযোজকজের মুখে হাসি। রণবীর-দীপিকা-শাহিদের এই ত্রিকোণ মহাকাব্যের প্রযোজক ভায়াকম-এইট্টিন সংস্থা। যার প্রধান মালিক মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স গোষ্ঠী। কেমন হল ব্যবসা? প্রশ্ন করতেই ভায়াকম-এইট্টিনের মুখপাত্র আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘আমরা আপ্লুত। ১০ লক্ষের বেশি মানুষ ছবিটা দেখে ফেলেছেন। চার হাজারের বেশি স্ক্রিনে ছবিটা চলছে। অধিকাংশ শো-ই হাউসফুল।’’ তবে বিভিন্ন রাজ্যে প্রদর্শন বন্ধ থাকায় ব্যবসা কতখানি মার খাচ্ছে, তা নিয়েও এখনই মুখ খুলতে চাইছেন না তাঁরা। কিন্তু নাহাটার বিশ্লেষণ, ‘‘দেশের প্রায় ৩৫ থেকে ৩৭ শতাংশ এলাকায় প্রদর্শন বন্ধ। না হলে প্রথম সপ্তাহেই অন্তত ১৭০ কোটি টাকা বক্সঅফিস থেকে আয় হতো।’’
পদ্মাবতের আনুমানিক বাজেট অন্তত ১৮০ থেকে ১৯০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম সপ্তাহে সেই খরচ তুলে নেওয়ার সুযোগ এখনও আছে। কিছু কম পড়লেও স্যাটেলাইট ও ডিজিটাল স্বত্ব, বিদেশের বাজার পড়ে রয়েছে। পাকিস্তানের সেন্সর বোর্ড রদবদল ছাড়াই ছবিটি মুক্তি দিয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপ, চিনের বাজার বাকি। ভুললে চলবে না, আমির খানের ‘দঙ্গল’-এর ১৮০০ কোটি টাকার মধ্যে ৮০০ কোটিই এসেছে চিনের বাজার থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy