প্র: এখন কেমন আছেন?
উ: অনেকটা ভাল। তবে আমাকে আগামী দেড় মাস বিশ্রামে থাকতে হবে কাঁধের চোট সম্পূর্ণ সারাতে।
প্র: সে তো অনেকটা সময়। চোটটা পেলেন কী ভাবে?
উ: ওয়র্কআউট করতে করতে। এখন থেকে আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। কোনও অ্যাকশন দৃশ্যে কাজ করতে পারব না।
প্র: এর জন্য তো অনেক ছবিতে সইও করতে পারলেন না। সেফ আলি খানের সঙ্গে ছবিটায় যেমন...
উ: ছবিটার প্রযোজনায় রয়েছেন আনন্দ এল রাই। উনি আমার খুব ভাল বন্ধুও। কিন্তু ওঁরা অনেক বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আমি নবদীপ সিংহের ছবিটা করতে পারলাম না এই চোটটার জন্যই।
প্র: সম্প্রতি একটি সিরিজ ‘ব্রিদ’-এ একজন খুনীর ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শককে চমকে দিয়েছেন আপনি। অথচ আপনার ইমেজের সঙ্গে এমন চরিত্র যায় না...
উ: (হাসি) রোলটা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে কী জানেন তো, যে রোল আমি আগে কোনও দিন করিনি, সেটা করার জন্য আলাদা একটা এক্সাইটমেন্ট থাকেই। সেই রোল যতই আমার রোম্যান্টিক হিরোর ইমেজের সঙ্গে বেমানান হোক। ‘ব্রিদ’-এ আমার চরিত্রটা বেশ সাইকো হলেও তার উদ্দেশ্য কিন্তু মহৎ। দর্শকের একই সঙ্গে ভাল লাগবে, আবার তাঁরা ঘেন্নাও করবেন আমার চরিত্রটাকে। আমার ছেলেও খুব পছন্দ করেছে চরিত্রটাকে। আমাকে বলেছে, বড় পর্দায় এ রকম রোলে আমাকে দেখতে চায়।
প্র: বড় পর্দায়, মানে হিন্দি ছবির পর্দায় আপনাকে কিন্তু সে ভাবে দেখা যাচ্ছে না... কেন বলুন তো?
উ: অনেক ছবির কথা চলছে। আসল ব্যাপারটা হল হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিটা বদলাচ্ছে। এ রকম অবস্থায় সব অভিনেতার উচিত খুব ভাবনাচিন্তা করে কোনও চরিত্র বাছা। তা ছাড়া সব রকম ছবি করার সময়ও নেই আমার।
প্র: বাজারে কিন্তু অনেক রকম ছবির সঙ্গে আপনার নাম জড়াচ্ছে, যেগুলো আপনি করছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যেমন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে ‘চন্দা মামা দূর কে’ এবং রণবীর সিংহের
সঙ্গে ‘সিম্বা’...
উ: ‘সিম্বা’ আমি করছি না। তবে সুশান্তের সঙ্গে ‘চন্দা মামা...’য় কাজ করছি। চরিত্রটা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে কিন্তু বলতে পারব না (হাসি)।
প্র: আপনাকে কিন্তু দক্ষিণী ছবিতে বরং বেশি দেখা যাচ্ছে...
উ: বেশি আর কোথায়! বছরে একটার বেশি ছবি আমি এমনিই করি না। হিন্দি হোক আর তামিলই হোক।
প্র: ‘তনু ওয়েডস মনু পার্ট থ্রি’র কোনও সম্ভাবনা রয়েছে?
উ: নো ইয়ার! আমি চাইলেও আনন্দ এল রাই চান না।
প্র: কঙ্গনা রানাবতের সঙ্গে ওঁর (আনন্দের) ঝামেলার জন্য?
উ: এ ব্যাপারে আমার মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না।
প্র: চোট পাওয়ার ক’দিন আগেই আপনি স্কটল্যান্ড থেকে ঘুরে এলেন। ঘুরতে ভালবাসেন?
উ: অ্যাবসলিউটলি। জীবনের রসদ জোগাড় করতে পারি ঘুরতে গিয়েই। সেগুলোই কোনও না কোনও ভাবে আমার চরিত্রগুলো নির্মাণের
কাজে লাগাই।
প্র: যখন শুটিং করেন না বা ট্র্যাভেল করেন না— কী করেন?
উ: আমি একটু ঘরকুনো। বাইরে কাজ না থাকলে ঘরে বসে স্ত্রী আর ছেলের সঙ্গে সময় কাটাতেই ভাল লাগে।
প্র: আপনার ভক্তরা তো আপনাকে পর্দায় দেখতে উদ্গ্রীব!
উ: ইউ আর রিয়েলি কাইন্ড... কলকাতা কিন্তু বরাবরই আমায় স্পেশ্যাল ট্রিটমেন্ট দিয়েছে। অনেক ভালবাসা পেয়েছি আপনাদের শহর থেকে।
প্র: সেই ‘সি হক’-এর সময় থেকে...
উ: (জোরে হাসি) সেই ‘সি হক’-এর সময় থেকে! কথা দিচ্ছি, খুব শিগগিরই আমি ফিরে আসব পর্দায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy