তাঁর আগামী ছবি ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’-এর চেয়ে ফারহান আখতারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েই বেশি চর্চা হচ্ছে। কলকাতায় আইপিএল-এ শ্রদ্ধার পারফরম্যান্সের সময় গ্যালারিতে ছিলেন বাবা শক্তি কপূর। তিনি কি মেয়ের সঙ্গে-সঙ্গে সফর করছেন? প্রেম-কেরিয়ার সব কিছু নিয়ে খোলাখুলি শ্রদ্ধা।
প্র: আপনি তো মোহিত সুরির সবচেয়ে পছন্দের অভিনেত্রী হয়ে উঠছেন?
উ: হ্যাঁ, মোহিতের সঙ্গে এটা আমার তৃতীয় ছবি। ‘আশিকি টু’, ‘এক ভিলেন’-এ মোহিত আমাকে যে চরিত্র দিয়েছে সেগুলো আমার খুবই পছন্দের। ও যদি এর পর কোনও ছবিতে কাস্ট না করে, তা হলে খুব রেগে যাব! আমাদের টিউনিংটা খুব ভাল।
প্র: যেমন?
উ: বলছি, ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’-এর চরিত্রের জন্য আমাকে ফিট করাতে মোহিতের একটু মুশকিল হয়েছিল। ও আমাকে সব সময়ে টম বয় হিসেবে দেখে এসেছে। তাই রিয়া সোমানির রোলে নিতে পারছিল না। কিন্তু আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবতেও পারছিল না। এটা ভাল টিউনিং না হলে হয় না। আমি দিল্লি গিয়ে ওখানকার কিছু ধনী পরিবারের মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলাম। ওদের হাবভাব, চলন সব কিছু নোটিস করেছিলাম।
প্র: ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ কথাটার মধ্যে একটা চমক আছে। এই রিলেশনশিপ স্টেটাসটাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
উ: সকলের জীবনেই একটা না একটা রিলেশন থাকে যেখানে পুরোপুরি কমিট করা সম্ভব হয় না। সম্পর্কটা যে কোনও আকার নিতে পারে। স্কুল জীবনে সকলেরই ক্রাশ থাকে, সে আমারও ছিল। আমি তাকে লুকিয়ে লুকিয়ে ব্ল্যাংক কল দিতাম আর ভাবতাম একবার যদি ওর গলা শুনতে পারি। কিন্তু আসলে হতো কী, বেশির ভাগ সময়ই ছেলেটার মা ফোন ধরতেন। আমি হাফ কি কোয়ার্টার গার্লফ্রেন্ডও হতে পারিনি (হাসি)!
প্র: আপনি ফারহান আখতারের গার্লফ্রেন্ড এমন একটা কথা শোনা যাচ্ছে...
উ: এই সব পড়ে আর শুনে আমি হাসি চাপতে পারি না! কমেডি টিভি শোয়ের মতোই উপভোগ্য বিষয়টা। আমার পরিবারের সকলেও এখন বিষয়টাকে আর গুরুত্ব দিচ্ছে না।
প্র: কলকাতায় আইপিএল-এ পারফর্ম করলেন। সেখানে আপনার বাবা শক্তি কপূরও উপস্থিত ছিলেন। কোনও বিশেষ কারণ ছিল কি?
উ: বাবা ক্রিকেট ফ্যান। অভিনেতা না হলে হয়তো ক্রিকেটারই হতেন। যখন শুনলেন আমি লাইভ পারফর্ম করব, আমার সঙ্গে চলে এলেন। আমার পারফরম্যান্সের পর ম্যাচও দেখলেন।
প্র: অন্য কোনও কারণ নেই তো?
উ: আরে! কী কারণ থাকতে পারে? আমি যা-ই করি না কেন, আমার পরিবার তাতে সাপোর্ট করেছে।
প্র: ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’-এ হিন্দি ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে হিন্দি বলেন?
উ: অনেকেরই ধারণা, ইংরেজিতে কথা বলা মানেই সেটা খুব কুল। খুব ভুল ধারণা। আমি ছোটবেলা থেকেই দাদু-দিদার সংস্পর্শে থেকেছি। তাই মরাঠিও জানি। বাড়িতে হিন্দি, ইংরেজি, মরাঠি সবই বলে থাকি। ক্লাস নাইনের পর আমেরিকান স্কুলে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে হিন্দি পড়া বন্ধ হয়ে যায়। খুব একটা ভাল নম্বর অবশ্য হিন্দিতে কোনও দিনই পাইনি। তবে একবার অঙ্কে ফেল করেছিলাম!
আরও পড়ুন:অভিনয় ছাড়ছেন কঙ্গনা?
প্র: আপনি তো খেলাধুলোয় বেশ ভাল ছিলেন...
উ: হ্যাঁ। ২০০ এবং ৪০০ মিটার রেসে গোল্ড, সিলভার মেডেল পেয়েছি। হাই জাম্প, লং জাম্পেও ভাল ছিলাম। বাস্কেটবলও খেলেছি। তবে কেউ আহত বা ক্লান্ত হলেই আমার ডাক পড়ত (হাসি)! এনবিএ-র কোচ এসে আমাকে বাস্কেটবল ট্রেনিং দিয়েছেন। আশা করছি, দর্শক ছবিতে প্রফেশনাল প্লেয়ারের মতোই আমাকে খেলতে দেখবেন।
প্র: আপনার শেষ দুটো ছবি একদম চলেনি। ব্যর্থতা কীভাবে সামলান?
উ: একটা কথায় খুব বিশ্বাস করি, সাফল্যকে হাত থেকে যেতে দিয়ো না, ব্যর্থতাকেও মন থেকে মুছে দিয়ো না। ব্যর্থতার চাপ যে কেমন, তা কেরিয়ারের শুরুতেই টের পেয়েছিলাম। ছবি ফ্লপ হলে তার থেকে বেরোনোর জন্য অন্য ছবির কাজ শুরু করে দিই।
প্র: ‘হাসিনা’ এবং ‘সাইনা’ দু’টোই বায়োপিক। কতটা চ্যালেঞ্জিং চরিত্রগুলো?
উ: আমি খুব লাকি যে, এই রকম দুটো চরিত্র পরদায় ফুটিয়ে তুলতে পারছি। খাটনি কম নয়। ‘হাসিনা’ করার জন্য পাঁচ কিলো ওজন বাড়িয়েছিলাম। এখন সাইনা নেহওয়ালের জন্য ওজন কমিয়ে ফিট হতে হবে। ওজন বাড়ানোর সময় লক্ষ করলাম, আমার পক্ষে ওজন বাড়ানো বেশ কঠিন। তবে মজা পেয়েছি। বার্গার থেকে পিৎজা সব খেয়েছি।
প্র: আপনার আর আলিয়া ভট্টের তুলনা করা হয়। এটা নিয়ে কী মত?
উ: তেমন কারও সঙ্গে তুলনা করা হলে, ভালই লাগে। কোনও আপত্তি নেই। আমার নিজের তো আলিয়ার কাজ খুব পছন্দের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy