‘ক্ষত’ ছবিতে প্রসেনজিৎ-পাওলি।
‘ক্ষত’ নিয়ে তো চারিদিকে আলোচনা। দর্শকের মেরুকরণ স্পষ্ট। অনেকের ভাল লেগেছে, অনেকের মনে হয়েছে বড্ড বেশি উগ্র সেক্স।
প্রসেনজিৎ: সেটা আমরা এক্সপেক্টও করেছিলাম। এ রকম পোলারাইজেশন হবে জানতাম। সেই জন্যই তো কমলেশ্বর আমাকে ২০০৬-য়ে গল্পটা শোনালেও দশ বছর পর ছবিটা করলাম। ডাক্তারি ছেড়ে এটাই যে ওর প্রথম স্ক্রিপ্ট অনেকেই জানে না। আমার মনে হয়, আজকের বাঙালি অডিয়েন্স এই রকম বোল্ড সাবজেক্ট হ্যান্ডল করতে পারবে।
কমলেশ্বর: কোন জিনিসগুলো আপনার বেশি বোল্ড মনে হল?
প্রথমেই ডায়ালগ। বাংলা সিনেমায় প্রসেনজিতের ডায়ালগ যদি হয়, ‘‘আই ওয়ান্ট টু f*** লাইক অ্যান এক্সপ্লোরার’’ সেটা নিশ্চয়ই একটা বড় ধাক্কা। তা ছাড়া, ‘‘আমি শব্দ নয়, দেহ নিয়ে খেলতে চাই’’ বা ‘‘জঙ্গল মদ, মেয়েদের শরীর... পোড়া পোড়া গন্ধ’’ — এগুলো তো যথেষ্ট বোল্ড।
কমলেশ্বর: হ্যাঁ, আই এগ্রি ডায়ালগগুলো বোল্ড। কিন্তু আমাদের চারপাশে প্রচুর অবৈধ বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। আমরা দেখেও সেগুলো না দেখার ভান করি। ‘ক্ষত’ সে দিক থেকে অনেস্ট ছবি।
প্রসেনজিৎ: এখানে আমি একটা কথা বলি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
কী সমরেশ বসু কী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সব উপন্যাস কি বাচ্চাদের? ‘চোখের বালি’ কি বাচ্চাদের লাভ স্টোরি? বা ‘ঘরে বাইরে’? মোটেই না। এগুলো যথেষ্ট ম্যাচিওর্, অ্যাডাল্ট লাভ স্টোরি। বাংলা সাহিত্যে তো
এ রকম নভেল ভূরি ভূরি, তা হলে ‘ক্ষত’ নয় কেন...
কিন্তু রাইমা যখন বলছেন, ‘‘আই ডোন্ট নো দ্য কোশ্চেন বাট সেক্স ইজ দ্য অ্যানসার,’’ তখন রাইমা কতটা কমফর্টেবল ছিলেন?
রাইমা: আমি কমফর্টেবল ছিলাম।
প্রসেনজিৎ: আর আমার ডায়ালগগুলোর কথা যেগুলো
আপনি আগে বললেন যেমন ‘আই ওয়ান্ট টু f*** লাইক অ্যান এক্সপ্লোরার’ কী অন্যগুলো — সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই। এ রকম ডায়ালগ আমাদের অনেক বন্ধু-বান্ধব রিয়েল লাইফে বলে। তখন যদি তাদের আমরা ‘কী অনেস্টলি বলল দ্যাখ’ বলি, তা হলে সিনেমায় বললে প্রবলেম কেন?
পরিচালককে জিজ্ঞেস করতে চাই, এ রকম একটা লেখকের চরিত্র কি কারও আদলে তৈরি করেছেন আপনি?..
কমলেশ্বর: (হাসি)
হাসছেন? বলুন না? ‘নির্বেদ লাহিড়ি’ আসলে কে? জল্পনা হচ্ছে সুনীল, সমরেশ বসু বা নানান নাম নিয়ে।
কমলেশ্বর: দেখুন, ও রকম নাম আমি নিতেই চাই না বাট যে অফিসটা দেখানো হয়েছে ছবিতে সেটা কিন্তু আপনাদের পুরনো অফিসের আদলে তৈরি। ‘ট্রাম কোম্পানি’র অফিসের সঙ্গে এখনও পুরনো আনন্দবাজার অফিসের মিল আছে বলে ওখানেই আমরা শ্যুট করি। এটা করেছি কারণ সেই সময় লেখক বলতে যাঁরাই ছিলেন, তাঁরা তো আনন্দবাজারেই কাজ করতেন। তাই ‘নির্বেদ লাহিড়ি’ও যে ওখানেই কাজ করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। নামটা দর্শক ঠিক চিনে নেবে। এটাই তো সিনেমার মজা।
রাইমা, আপনার সঙ্গে তো প্রসেনজিতের অনেকগুলো স্মুচিং সিন রয়েছে ছবিতে।
রাইমা: হ্যাঁ, রয়েছে। বাট বেশির ভাগ বেড সিন পাওলির সঙ্গে। আর বুম্বাদা এত সিনিয়র একজন অভিনেতা যে লাভ মেকিং সিনগুলো ভীষণ ভাল হ্যান্ডল করে।‘চোখের বালি’তেও তো লাভ সিন ছিল আমাদের।
পাওলির তো প্রচুর বেড সিন...
রাইমা: আমি আর একটা কথা বলতে চাই। আমি কিন্তু ওই সিজলিং সিনগুলোতে বুম্বাদাকে দেখে একটু শকড্ই হয়েছি। আমি পুরো সিনেমাটা দেখে ভাবছিলাম বুম্বাদা কী করে এত বোল্ড একটা চরিত্র করতে রাজি হল?
প্রসেনজিৎ: কী বলছিস?
রাইমা: ইয়েস অফ কোর্স।
পাওলি কিছু বলবেন?
পাওলি: আমি এটাই বলব, ‘ক্ষত’ আমার টপ থ্রি পারফরম্যান্সের মধ্যে একটা। খুব জটিল চরিত্র ‘অন্তরা’। তবে বোল্ড সিন নিয়ে আমার সেই রকম কোনও অসুবিধা হয়নি কারণ এই সিনগুলো অসম্ভব সুন্দর ভাবে শ্যুট করা হয়েছিল।
ক্লাইম্যাক্সে পাগলের সিনটাতেও তো সবাই বলছে পাওলি খুব ভাল?
রাইমা: (পাওলিকে থামিয়ে দিয়ে) ভাল? আই থিঙ্ক শি ইজ এক্সেলেন্ট ইন দ্যট সিন।
পাওলি: থ্যাঙ্ক ইউ রাইমা। জানেন, আমার দিদিমা আমাকে পাগলি বলে ডাকে। এত দিন পর একটা সিকোয়েন্স পেলাম সেই রকম।
প্রসেনজিৎ-রাইমা। ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল
পাওলির প্রশ্ন। অনেক সময়ই দেখেছি আপনার সেই সব ডিরেক্টরের সঙ্গে বন্ডিং হয় যারা একটু ম্যাভরিক, রেবেল। উস্কোখুস্কো চুল, হাতে সিগারেট। কমলদার সঙ্গে কোথাও কি আপনি রিলেট করেন তাই জন্য?
পাওলি: হান্ড্রেড পার্সেন্ট রাইট আপনি। কমলদা মানুষটা চাপা কিন্তু তা সত্ত্বেও অসম্ভব ভাল সেন্স অব হিউমার। দুর্দান্ত লেখেন, রোম্যান্টিক...
এ সব কী শুনছি?
কমলেশ্বর: (হেসে) আমি কি সিগারেট খেয়ে আসব?
প্রসেনজিৎ: হায় ভগবান। তুমি বসো কমল, আমি সিগারেট খেয়ে আসি।
পাওলি প্লিজ কন্টিনিউ...
পাওলি: আই অ্যাম ইন লাভ উইথ কমলদা’স রাইটিং। তুমি চিন্তা কোরো না কমলদা, বৌদি পড়বে না। অ্যাজ আ ক্রিয়েটিভ পার্সন, আমি কমলদার সঙ্গে রিলেট করতে পারি। সব রকম আলোচনা করা যায় ওর সঙ্গে। সিনেমা, বই...
প্রসেনজিৎ: আর একটা কথা। কমল বাচ্চাদের ‘চাঁদের পাহাড়’ বানাতে পারে, ‘ক্ষত’ বানিয়ে ফেলল। এর সঙ্গে ‘মেঘে ঢাকা তারা’। ওর ভার্সেটালিটিটা আমার দারুণ লাগে।
এটা শুনলে সৃজিত, শিবপ্রসাদ, কৌশিক তো খুশি হবেন না।
প্রসেনজিৎ: তা কেন? আমি তো বলছি না, কমল একা ভার্সেটাইল।
সৃজিতও ‘রাজকাহিনী’ বানাচ্ছে, ‘কাকাবাবু’ বানাচ্ছে। কৌশিক ‘সিনেমাওয়ালা’ করছে, পাশে ‘শব্দ’। শিবু অন্য ধরনের দর্শককে ক্যাটার করছে। ওরা চারজনেই ভার্সেটাইল।
কমলেশ্বরকে প্রশ্ন। সেটে অ্যানাকোন্ডা-সিংহ সামলানো কঠিন, না পাওলি-রাইমার মতো হিরোইন?
প্রসেনজিৎ: মানে, আপনি দুই সিংহী সামলানোর কথা বলছেন তো?
রাইমা: নটি কোশ্চেন। হিরোইনরা সেটে কোনও ঝামেলা করে না। আই ডোন্ট ডু ইট। পাওলি ডাজন্ট।
কমলেশ্বর: (হাসি) না, না, অ্যানাকোন্ডা-সিংহ অনেক ডেঞ্জারাস।
এখানে একটা প্রশ্ন করি। দর্শকদের কাছে প্রসেনজিৎ-রাইমা কেমিস্ট্রি মানে আজও ঋতুপর্ণ ঘোষ। অন্য দিকে প্রসেনজিৎ-পাওলি মানে কিন্তু গৌতম ঘোষ। এটা কখনও মাথায় এসেছিল আপনার?
কমলেশ্বর: দুই ঘোষের মাঝখানে পড়ে আমি নন্দ ঘোষ হয়ে গেলাম কি না প্রশ্ন করছেন তো? (হাসি) নাহ, হইনি। তার কারণ প্রসেনজিৎ-রাইমা মানে আজও ‘চোখের বালি’, সেটা অন্য পিরিয়ডের একটা ছবি। পাওলি-প্রসেনজিৎ মানে ‘মনের মানুষ’, সেটার সেটিংটাও আলাদা। সেগুলোর থেকে ‘ক্ষত’ একেবারেই আলাদা। ‘ক্ষত’ অনেক মডার্ন। তাই খুব একটা চাপ অনুভব করিনি। এখানে আর একটা কথা বলতে চাই…
নিশ্চয়ই।
কমলেশ্বর: ‘ক্ষত’ কিন্তু কয়েকটা এজ ওল্ড ধারণাকে কোশ্চেন করার ছবি। যেমন মোনোগ্যামি। আমার কাছে মোনোগ্যামি একটা পুরনো ভিক্টোরিয়ান কনসেপ্ট। কিন্তু আজকাল মোনোগ্যামিকে যেন সিনেমায় বেশি করে সেলিব্রেট করা হচ্ছে। দিনের পর দিন হয়তো কোনও সম্পর্ক নেই স্বামী-স্ত্রীর। সেক্সুয়াল ব্যাঙ্করাপ্সি চলছে, কিন্তু মোনোগ্যামির দোহাই দিয়ে হ্যাপি ফ্যামিলি দেখানোর চেষ্টা চলছে। আমি এই বিশ্বাসগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই।
আপনি কি ‘প্রাক্তন’য়ের মতো ছবির কনসেপ্টকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে চান?
কমলেশ্বর: ইয়েস মোস্ট ডেফিনেটলি। ‘প্রাক্তন’য়ের কনসেপ্টকে কোশ্চেন করতে চাই। ‘বেলাশেষে’কে কোশ্চেন করতে চাই। ‘বাগবান’...
ওই ছবিগুলোর বক্স অফিস সাফল্য তো চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না।
কমলেশ্বর: করছি না তো। ওই ছবিগুলোর কনসেপ্টকে কোশ্চেন করছি আমার ছবি দিয়ে। যেখানে সর্বত্র এত ইমোশনাল ভয়েড ম্যারেড কাপলদের মধ্যে, সেখানে সেই কনসেপ্টটা সেলিব্রেট করতে যাওয়া নিয়ে আপত্তি আছে আমার অ্যাজ আ ফিল্মমেকার। মোনোগ্যামি ইজ ওভাররেটেড। পলিগ্যামি ইজ ন্যাচারাল।
রাইমা হাসছেন...
রাইমা: আমি মোটেও তার জন্য হাসছি না। আপনি তাকালেন, তাই হাসলাম।
সিরিয়াসলি রাইমা, আপনারও কি মনে হয় মোনোগ্যামি ওভাররেটেড, পলিগ্যামি ন্যাচারাল?
রাইমা: আমার কাছে মোনোগ্যামি খুব ইম্পর্ট্যান্ট। আমি মেনে নিতে পারব না আমার পার্টনারের আমি ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক থাকুক।
পাওলি: আমি একটা কমিটমেন্টে বিশ্বাস করি। সেই কমিটমেন্টটা যদি আমার পার্টনারের মধ্যে না পাই তা হলে ডেফিনেটলি দুঃখ পাব।
এখানে যে চারজন আপনারা রয়েছেন, সেই চারজনই ‘মহানায়ক’ সিরিয়ালে কোনও না কোনও ভাবে জড়িত। প্রসেনজিৎ-পাওলি অভিনয় করছেন। কমলেশ্বর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। আর রাইমার দিদিমার রোলে পাওলি। কিন্তু ‘মহানায়ক’য়ের টিআরপি ভাল না বলে চারিদিকে চর্চা হচ্ছে। সেই ব্যাপারে কিছু বলবেন?
প্রসেনজিৎ: ক্রিটিসিজমকে ভয় পাই না। সেই ক্রিটিসিজমে যুক্তি থাকলে সেটা মাথা পেতে নেব। কিন্তু ক্রিটিসিজমের নামে যা তা লিখলে একেবারেই মানব না। আমার কাছে ফিডব্যাক খুব ভাল। চ্যানেল খুশি। ব্যস।
কমলেশ্বর: আমার মনে হয় ‘মহানায়ক’-এর ম্যাসিভ আর্কাইভাল ভ্যালু আছে।
প্রসেনজিৎ: আর আমরা তো টিপিকাল টিভি সিরিয়াল বানাতে চাইনি। এটা তো একটা অন্যরকম কাজ। তা হলে টিআরপি ভাল না খারাপ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন?
রাইমা, পাওলি পাশেই বসে আছে আপনার। দিদিমার রোলে কেমন লাগল পাওলিকে?
রাইমা: শি ইজ আ প্রফেশনাল অ্যাকট্রেস। আমার মনে হয়েছে শি হ্যাজ ডান আ ভেরি গুড জব।কিন্তু দিম্মার সঙ্গে কারও তুলনাহয় নাকি?
আপনি করলেন না কেন? মুনমুন সেন অ্যাপ্রুভ করেননি বলে?
রাইমা: একেবারেই নয়। মাম্মি একদমই ডিসাই়ড করে না আমি কী করব, কী করব না তা নিয়ে। আমার ডেট প্রবলেম ছিল তাই করিনি।
প্রসেনজিৎ কে প্রশ্ন, সৃজিত না কমলেশ্বর? কাকে কত নম্বর দেবেন?
প্রসেনজিৎ: ডিরেক্টর হিসেবে না মানুষ হিসেবে?
ডিরেক্টর হিসেবে?
প্রসেনজিৎ: আমি তো আগেই বলেছি সৃজিত, কমল, কৌশিক, শিবু এরা সবাই নিজের নিজের সিগনেচার তৈরি করে ফেলেছে। সৃজিত একেবারে কমার্শিয়াল ডিরেক্টর। কমলেশ্বরও কমার্শিয়াল কিন্তু ও নিজের সিনেমায় এমন কিছু এলিমেন্ট রাখে যেটা ওর নিজস্ব বিশ্বাস।
আপনি কিন্তু উত্তর দিচ্ছেন না, একটু রিফ্রেজ করছি কোশ্চেনটা।
প্রসেনজিৎ: (হাসি)
ধরুন, আজকে সকালে আপনি শিবপ্রসাদের সেটে যাচ্ছেন। আপনার মাইন্ড সেটটা কী হবে?
প্রসেনজিৎ: আমার মাইন্ড সেটটা থাকবে সে রকম, যেটা অঞ্জন চৌধুরীর সেটে ঢোকার সময় থাকত।
কমলেশ্বর?
প্রসেনজিৎ: তরুণ মজুমদারের সেটে ঢোকার মতো ফিলিং।
সৃজিতের শ্যুটিং থাকলে?
প্রসেনজিৎ:সৃজিতের সেটে ঢোকার আগে মাইন্ডসেটটা থাকবে প্রভাত রায়ের সেটে ঢোকার মতন। সৃজিত ওই প্রভাতদার জোনে — হার্ডকোর কমার্শিয়াল।
আর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়?
প্রসেনজিৎ: আমি এখনও বলছি না, কেজি ইজ ঋতুপর্ণ ঘোষ। ঋতুপর্ণ একজনই হয়, কিন্তু কেজি-র সেটে ঢুকলে মনে হবে আমি ঋতুর সেটে ঢুকছি।
পাওলি: বুম্বাদা কিন্তু নম্বর দিল না।
বুম্বাদা নম্বরের থেকেও বেশি বিস্ফোরক কিছু বললেন বোধহয়!
রাইমা: ইয়েস, পাওলি। বুম্বাদা অনেক কন্ট্রোভার্সিয়াল কিছু বলল। দেখছ না, জার্নালিস্ট কী হ্যাপি!
মিডিয়া কী চায় রাইমা কিন্তু সেটা বোঝে।
প্রসেনজিৎ: হান্ড্রেড পার্সেন্ট বোঝে।
শেষে ‘ক্ষত’তে ফিরছি। কমলেশ্বর, উত্তমকুমারকে নিয়ে সিরিয়াল বানালেন। এটাতে জল্পনা চলছে সুনীল-সমরেশকে নিয়ে। পরের বারে কার জীবন নিয়ে ছবি করছেন?
কমলেশ্বর: পরের বার সাধারণ একজন মানুষ (হাসি)।
শেষ প্রশ্ন, এ রকম সাহসী ছবি, আপনারা কখনও মামলার ভয় পাননি। কোনও ডিফামেশন?
কমেলেশ্বর: একদমই না। আর শুনুন, এত ডিফেমেশন নিয়ে ভেবে লাভ নেই। তা হলে তো কোনও দিন ‘গ্রেট ডিক্টেটর’য়ের মতো ছবিই হত না...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy