অভিজ্ঞ ব্যক্তির কথা শোনা উচিত, বলছেন অনিল।
তিনি সেটে থাকলে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায় বাকিদের। সদা প্রাণোচ্ছল অনিল কপূরের উপস্থিতিতে সিনেমার শ্যুটিং না হলেও ফ্লোরে কিছু না কিছু ঘটেই চলে বলে জানান সতীর্থরা। যেমন ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লগা’ গানের নতুন সংস্করণ। ফ্লোরে নয়, বাগানে বসে ১৯৯৪ সাল ফিরিয়ে আনলেন অনিল।
নরওয়ের পুরুষ নৃত্যশিল্পীদল ‘কুইক স্টাইল’-এর সঙ্গে মিলে একটি ভিডিয়ো বানিয়েছেন অনিল। যেখানে নাটকীয় ভাবে ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’-র জনপ্রিয় গানটির পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। অনিল এবং নরওয়ের শিল্পীরা মিলে ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লগা’-কে এমন রূপ দিয়েছেন, যা দেখে হেসে গড়াচ্ছেন দর্শক। নেটদুনিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল সেই 'নতুন' গান।
ভিডিয়োতে, ছেলের দল যে ‘লড়কি’র দিকে তাকাচ্ছে সেও এক পুরুষ। নারীসুলভ ভঙ্গিতে হেঁটে সামনে দিয়ে যাচ্ছিল সে। একটু দূরে পাঁচিলে বসে থাকা অনিল রোদচশমা নামিয়ে ছেলেদের ঘুরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। দলবল নিয়ে ‘সুন্দরী মহিলা’-র পিছন পিছন তিনিও চলতে থাকেন। দেখে কে বলবে, তাঁর বয়স ৬৫ বছর? দেখাচ্ছে যেন উঠতি বয়সের যুবক! ভিডিয়োর ক্যাপশনে অভিনেতা লিখেছেন, “সব সময়ে অভিজ্ঞ লোকের কথা শোনো।”
সুরকার রাহুল দেব বর্মনের গান এ দশকেও দর্শকের কাছে যে এমন ভাবে পৌঁছে যেতে পারে, কে জানত। সত্যিই অভিজ্ঞ মানুষ অনিল, বলছেন অনুরাগীরা। সেই সঙ্গে পুরনো ছবির একটি ঝলক নস্টালজিয়া ফিরিয়ে দিয়েছে বর্ষীয়ান ‘যুবক’দের মধ্যেও।
চলতি বছর ‘জুগ জুগ জিয়ো’-তে দর্শকের মন কেড়েছেন অনিল। তার উপর সদ্য দাদু হয়েছেন। তাঁর জীবনে এখন নানা রঙের ফুলঝুরি। ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান 'মিস্টার ইন্ডিয়া'। আগামী দিনে তাঁকে দেখা যাবে ‘ফাইটার’ এবং ‘দ্য নাইট ম্যানেজার’-এর ভারতীয় সংস্করণে। হাতে রয়েছে ‘আনিম্যাল’ এবং ‘নো এন্ট্রি’-র সিক্যুয়েলের কাজও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy