গৌতম ও অনিন্দ্য
আধুনিক বাংলা গানের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিলেন একটা মানুষ। সত্তর থেকে নব্বইয়ের দশক শাসন করেছিল তাঁর ইন্ডিপেন্ডেট মিউজ়িক। বলা যায়, গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের দেখানো রাস্তাতেই আজও হাঁটছেন বর্তমান শিল্পীরা। এ বার তাঁরই বায়োপিক তৈরি হতে চলেছে টলিউডে। পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের মতো বহুমুখী প্রতিভাকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা সহজ নয়। তিনি লেখক, সুরকার, গায়ক, সংগঠক...আরও অনেক কিছু। নকশাল আন্দোলনের সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে। তাঁর চরিত্রের সব পরতই বায়োপিকে থাকবে।
অনিন্দ্যর এটি চতুর্থ ছবি। পরিচালকের আগের তিনটি ছবিই আলাদা স্বাদের। সে দিক থেকে গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিকও আলাদা ঘরানার ছবি হতে যাচ্ছে। অনিন্দ্যর নিজের সঙ্গীত জীবনেও গৌতমের অনুপ্রেরণা রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, শিল্পীর কর্মজীবন, রাজনীতি থেকে ব্যক্তিগত সবটাই ধরা হবে ছবিতে।
গৌতম চট্টোপাধ্যায় মানেই ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ এবং তার সঙ্গে জুড়ে যায় আব্রাহাম মজুমদার, প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জন ঘোষ-সহ একাধিক শিল্পীর নাম। এগুলো সবই থাকবে ছবিতে। মিউজ়িক যে বিরাট একটা অংশ জুড়ে থাকবে, বলাই বাহুল্য। তবে তার জন্য সব গানের স্বত্ব পেতে হবে।
এখন প্রশ্ন, গৌতমের চরিত্রে কাকে দেখা যাবে? অনিন্দ্যর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। শোনা যাচ্ছে, মুখ্য ভূমিকায় কাকে নেওয়া হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে যিনিই করুন, মিউজ়িক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টের ব্যবহারে তাঁর দখল থাকতে হবে। পরিচালক তাঁর প্রতিটি ছবিতেই নতুন মুখ নিয়েছেন। তাই এ ছবিতেও নতুন কাউকে দেখা যেতে পারে।
অনিন্দ্য ‘প্রজাপতি বিস্কুট’ এবং ‘মনোজদের অদ্ভুতবাড়ি’ শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়ের প্রযোজনা সংস্থা থেকে করলেও এই ছবির জন্য তিনি গাঁটছড়া বেঁধেছেন ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের সঙ্গে। পরিচালক এই মুহূর্তে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’-এ অভিনয় করছেন। কবে থেকে বায়োপিকের শুটিং শুরু করবেন, তা এখনও চূড়ান্ত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy