ভীষণ স্পষ্টবাদী বলে নাম আছে তাঁর। সোজা কথা সোজা ভাবেই বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন অপরাজিতা আঢ্য। প্রবল ঈশ্বরবিশ্বাসী। গণেশপুজোয় নিজের হাতে মূর্তি তৈরি করে পুজো করেছেন। এ ছাড়াও তাঁর বাড়ির লক্ষ্মীপুজো নিয়ে বিশেষ উৎসাহ থাকে দর্শকদের। জ্যোতিষশাস্ত্রেও বিশ্বাস রয়েছে তাঁর। সপ্তাহে সাতটা দিনে খাওয়া-দাওয়ার উপর রয়েছে বিধিনিষেধ। পাঁঠার মাংস ছুঁয়ে দেখেননি জীবনে। কিন্তু কেন এমন বিধিনিষেধ মেনে চলেন, আনন্দবাজার ডট কমকে জানালেন সে কথা।
সপ্তাহে চার দিনই নিরামিষ খান। সোম, মঙ্গল, শুক্র, শনি। বাকি দিনগুলোও নিরামিষ হলে মন্দ হয় না। তবে বৃহস্পতিবার ‘লক্ষ্মীবার’। এ দিন মাছ খাওয়া চাই-ই। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমি ছোট থেকে কখনও পাঁঠার মাংস খাইনি। ইচ্ছাও করেনি। মাছটা এখনও খাই শাশুড়ি, স্বামী ওদের কথা ভেবে। চিকেন খুব অল্প। কারণ, আমার বাপের বাড়িতে রাধাগোবিন্দের পুজো হত। তাই মাংস আনার চল ছিল না। আনলে বাইরে রান্না হবে। তার বাসন আলাদা। তাই সে ভাবে মাংস খেতে ভাল লাগে না।’’
আরও পড়ুন:
যদিও অভিনেত্রীজীবনে মাঝেমধ্যেই দেশে-বিদেশে ঘুরতে হয় অনুষ্ঠানের জন্য। সেই সময় তাঁর ভরসা পাউরুটি আর ফল। তবে নিউ ইর্য়কের বাংলাদেশিরা তাঁকে চেনেন বলে জানান অভিনেত্রী। সেখানে গেলে ভাতের অভাব হয় না তাঁর। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ওখানে ওঁরা চেনেন আমাকে। তাই আমি গেলে সব্জি দিয়ে একটা ভাত করে দেন।’’
এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে বিভিন্ন ধরনের মাংস খাওয়া নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে, তাতে কোন পক্ষে তিনি? এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর বলেন, ‘‘এটা আসলে খাদ্য-খাদক সম্পর্ক। আমার ব্যক্তিগত মত জানতে চাইলে বলব, আমার আনন্দ কারও মৃত্যুর কারণ হতে পারে না। আমি যখন কাউকে মারব সেই প্রাণী তো ভীতি নিয়ে মরবে। তখন একটা নেতিবাচক শক্তি শরীরে জমবে। আমি চাই না, সেটা আমার মধ্যে সঞ্চারিত হোক।’’