জৈন উত্সবের জন্যে মহারাষ্ট্রে মাংস বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য টুইটারে বিজেপি সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি। তাঁর দাবি, ভারতে তালিবানি শাসন চলছে। গণতান্ত্রিক ভারত দ্রুত তালিবানি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। টুইটারে আরশাদ লিখেছেন, ‘ভারতে তালিবানিকরণের প্রক্রিয়া চলেছে। এটা খুবই বিপজ্জনক জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমাদের পিছন দিকে হাঁটা সবে শুরু হয়েছে। বাকি আরও চারটে বছর।’ তবে তাঁর পোস্টটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই টুইটার থেকে সরিয়ে নেন অভিনেতা।
এর আগেও একই বিষয় নিয়ে টুইটারে বোমা ফাটিয়েছেন সোনম কপূর এবং সোনাক্ষী সিন্হা। এই নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে সরকারের সমালোচনা করেছেন তাঁরা। সোনাক্ষী লিখেছিলেন, ‘ওয়েলকাম টু ব্যানইস্তান!’ যাঁরা এই সব নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তাঁদের নির্বোধও বলেছিলেন তিনি।
গত মঙ্গলবার টুইটারে সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সোনম লিখেছিলেন, ‘অসহিষ্ণু নারীবিদ্বেষী সংকীর্ণমনাদের জন্য ভারত চিরকাল তৃতীয় বিশ্বের দেশ হয়েই থেকে যাবে।’
জৈনদের আসন্ন উৎসব উপলক্ষে চলতি মাসের চারটে দিন সব রকম মাংস বিক্রির উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে মুম্বইয়ে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। পুর কমিশনার অজয় মেটা জানিয়েছেন, আট দিন নয়, ১০, ১৩, ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর, এই চার দিন বন্ধ রাখা হবে মাংস বিক্রি। কেউ নিয়ম ভাঙলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার হুমকি দিয়েছেন কমিশনার। এ ভাবে জনজীবনে হস্তক্ষেপ করায় বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসক জোটের অন্দরেই। একের পর এক সমালোচনা আছড়ে পড়ছে সোশ্যাল সাইটেও।
এর আগেও ব়ৃষ্টির জমা জলে মুম্বইয়ের জনজীবন স্তব্ধ হওয়ায় মোদী সরকারের সমালোচনা করেছিলেন অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া। তবে সেই সমালোচনার পর ইন্ডাস্ট্রিতে কোণঠাসা হতে হয় নায়িকাকেই। সে কারণেই কি সরকার বিরোধী পোস্ট টুইটার থেকে সরিয়ে নিলেন আরশাদ? এ প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy