আয়ুষ্মান খুরানা
রিয়্যালিটি শো থেকে উঠে আসা বলিউডের তুরুপের তাস আয়ুষ্মান খুরানার হিট-গান চলছে অবিরাম। তবু তিনি নিজের সাফল্যে ক্লান্ত হন না। বরং আনন্দ করেই সেই সাফল্যের গল্প শোনান। তা বলে কি তাঁর সব ইচ্ছে পূরণ হয়ে গেল? ‘‘অমিতাভ বচ্চন, শ্রীরাম রাঘবনের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। সেই খিদে মিটেছে। তবে এ বার জমাটি অ্যাকশন থ্রিলার করতে চাই,’’ বললেন আয়ুষ্মান।
ছকভাঙা চরিত্রের জন্য জনপ্রিয় আয়ুষ্মান প্রতি মুহূর্তে নিজেকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতেই অভ্যস্ত। কিন্তু তার মধ্যেও কি এমন কোনও চরিত্র নেই, যা সবচেয়ে বেশি কঠিন লেগেছে? ‘‘যখন ‘অন্ধাধুন’ করেছি, কোনও রেফারেন্স ছিল না আমার কাছে। আর ‘আর্টিকল ফিফটিন’ আমার প্রথম ডার্ক ফিল্ম। তাই অতিরিক্ত চাপ ছিল,’’ চটজলদি জবাব অভিনেতার। তবে গুরুগম্ভীর বিষয় মানেই যে সিরিয়াস ছবি, তা মানতে চান না আয়ুষ্মান। বললেন, ‘‘যদি ‘শুভ মঙ্গল জ়াদা সাবধান’ কমেডি না হয়ে সিরিয়াস ছবি হত, তা হলে ক’জনের কাছে পৌঁছত? একটা স্পর্শকাতর বিষয়কে মেনস্ট্রিম কমার্শিয়ালে পরিণত করতে চাইলে কমেডি ছাড়া গতি নেই। কারণ মানুষ বিনোদন ভালবাসে।’’
কখনও কি মনে হয়নি, নিজের অভিনীত কোনও চরিত্র আরও ভাল করতে পারতেন? ‘‘পারফেকশন এমন জিনিস, যা সব সময়ে ছোঁয়া যায় না। নিজের কোনও সিনেমা পরে দেখলে মনে হবেই, আরও ভাল করতে পারতাম। কিন্তু বারবার দেখতে থাকলে নিজেরই প্রেমে পড়ে যাব! আর নার্সিসিজ়মকে প্রশ্রয় দিয়ে লাভ নেই। তাই একবারের বেশি নিজের ছবি দেখি না,’’ স্পষ্ট জবাব আয়ুষ্মানের।
বিরামহীন কাজ, স্টারডমের আলোয় বেঁচেও আয়ুষ্মান এখনও মাটির কাছাকাছি। অনুপ্রেরণাও পান সেখান থেকেই। ‘‘আমাদের জীবনে রবি-সোমবার নেই। রোজই নতুন কিছু আসে। এতটাই এক্সাইটিং এই স্টারডম। কিন্তু যে সাধারণ মানুষ ন’টা-পাঁচটার বোরিং চাকরি করেন, তিনি রোজ কাজে যাওয়ার এনার্জি পান কী ভাবে? এটাই তো সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা,’’ আয়ুষ্মানের দৃষ্টি তখন কলকাতার স্কাইলাইনে।
আর প্রতিদ্বন্দ্বী? হেসে ফেললেন প্রশ্নটা শুনেই। বললেন, ‘‘অ্যাডমায়ার করি রণবীর কপূর ও রণবীর সিংহকে। রণবীর (সিংহ) যে ভাবে এত ধরনের চরিত্র ফুটিয়ে তুলছে, তাতে হিংসে হয়।’’ তিনি বছরের বেশির ভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে কাটান। তাই আগামী চার মাস শুটিং করবেন না। সেটা শুধুই বরাদ্দ ছেলে-মেয়ে বিরাজবীর আর বরুষ্কার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy