Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Jyestha Putra

হাসি-কান্নার যাত্রা...

একটি ছবির নেপথ্যে যত গল্প থাকে, তা দিয়েই অনায়াসে আর একটি ছবি তৈরি হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পরিচালকের ভূমিকা পর্যবেক্ষকের। নির্দেশক তাঁর চোখ দিয়ে পারিপার্শ্বিকটা ধরে রাখেন। ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’র শুটিংয়েও টুকরো ঘটনা রয়েছে। কোনওটা হাসায়, কোনওটা চোখের কোল ভেজায়!

শুটিংয়ের মাঝে

শুটিংয়ের মাঝে

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

একটি ছবির নেপথ্যে যত গল্প থাকে, তা দিয়েই অনায়াসে আর একটি ছবি তৈরি হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পরিচালকের ভূমিকা পর্যবেক্ষকের। নির্দেশক তাঁর চোখ দিয়ে পারিপার্শ্বিকটা ধরে রাখেন। ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’র শুটিংয়েও টুকরো ঘটনা রয়েছে। কোনওটা হাসায়, কোনওটা চোখের কোল ভেজায়!

মাত্র ১৪ দিনে গোটা শুটিং শেষ হয়েছিল। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী, গার্গী রায়চৌধুরী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, দামিনী বসু-সহ বহু অভিনেতা তো রয়েছেনই, এ ছবিতে প্রায় দেড় হাজার জুনিয়র আর্টিস্ট কাজ করেছেন। কৌশিকের কথায়, ‘‘লাঞ্চ ব্রেকের সময়টা দেখার মতো। এত লোক একসঙ্গে বসে খাচ্ছে!’’

কৌশিকের সেটে খাওয়াদাওয়া বরাবরই জমাটি হয়। এ দিকে টিমের জ্যেষ্ঠপুত্রই (প্রসেনজিৎ) তো আসলে কিছু খান না! কিন্তু তাঁর স্বল্পাহারেও ভাগ বসেছে। সেই মজার গল্পটা বলছিলেন গার্গী, ‘‘বোলপুরে শুটিংয়ে আমার ডায়েট মেনে চলায় একটু মুশকিল হতো। আমাদের জ্যেষ্ঠপুত্র তার মধ্যেও ডায়েট মেনে চলত। যে বুম্বাদার খাবার রাখত, সে ওর খাবার থেকেই আমার জন্য আলাদা করে তুলে রেখে দিত। আমার তাতে দিব্যি চলে যেত। কোনও দিন দেখতেও যাইনি, আমি খাওয়ার ফলে বুম্বাদার খাবারে কম পড়ছে কি না। জ্যেষ্ঠপুত্র হয়েছে যখন, তখন সামলাক (হাসি)!’’

প্রসেনজিতের খাবারে ভাগ বসিয়েছিলেন গার্গী। আর গোটা ইউনিটকে একটা খাবারের লোভে আটকে ফেলেছিলেন দামিনী বসু। প্রসেনজিতের কথায়, ‘‘মহা বিচ্ছু মেয়ে। সারা দিন পিনাট বাটার খায়। ইউনিটের সবাইকে নেশা ধরিয়ে দিয়েছে। আর আমার তো মাথা খারাপ করে দিয়েছিল! ফাঁক পেলেই এসে গল্প শুনতে চাইত।’’

চূড়ান্ত মন খারাপ নিয়ে শুটিং করেছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। বাবা বিপ্লবকেতন চক্রবর্তী মারা যাওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’র শুটিং শুরু করেছিলেন তিনি। আর করতে হয়েছিল এমনই একটা দৃশ্য, যেখানে বাবার মৃত্যুতে মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছে। শুটিংয়ের সময়ের ঘটনায় কৌশিক বলছিলেন, ‘‘ট্রেলারে একটা দৃশ্য আছে, যেখানে সুদীপ্তা ‘বাবা’ বলে চিৎকার করছে। ওটা সিনেমার চিৎকার ছিল না! শটের পরে আমরা খানিকক্ষণ শুটিং বন্ধ রেখেছিলাম। সুদীপ্তার কান্না থামছিল না!’’

এই কারণেই হয়তো ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’র সঙ্গে সুদীপ্তার ইমোশনাল কানেকশন তৈরি হয়ে গিয়েছে। ‘‘কলকাতায় লোকের ভিড়ে ‘বাবা’ বলে গলা ছেড়ে কাঁদতে পারিনি। ওখানে গিয়ে সেটা পারলাম। শট কয়েক সেকেন্ডে শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার কান্নাটা রয়ে গিয়েছে...’’ সুদীপ্তার গলায় আবেগের সুর। কৌশিকও বলেছিলেন, ‘‘আমি জানি তুই কীসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিস। ভিতরে অনেক কিছু জমে আছে। ওগুলো বার করে দে।’’

এ ভাবেই অভিনয় তার পরিসর ছেড়ে জায়গা করে দেয় বাস্তবকে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tollywood Jyestha Putra Kaushik Ganguly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE