ফের আইনি বিতর্কে কঙ্গনা রনৌত। ২০২০-২১ সালে দিল্লিতে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। অংশ নিয়েছিলেন পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের কৃষকেরা। সেই সময়ে এক বর্ষীয়ান মহিলা আন্দোলনকারীকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী। কঙ্গনার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল মানহানির মামলা। সেই মামলার জন্যই আগামী ১৫ ডিসেম্বর কঙ্গনাকে পঞ্জাবের ভটিন্ডা জেলার আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে কঙ্গনা হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি জেলার সাংসদ। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার লোকসভায় তাঁকে উপস্থিত থাকতে হয়েছিল। যার ফলে উল্লিখিত মানহানি মামলার শুনানিতে আদালতে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। কঙ্গনা নিজেই আদালতকে এমন জানিয়েছেন। এর পরে আদালতের বিচারক ইন্দ্রজিৎ সিংহ পরবর্তী শুনানির দিন অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর কঙ্গনাকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির ছিলেন কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগকারী সেই বর্ষীয়ান মহিলা আন্দোলনকারী মহিন্দর কৌর। হুইলচেয়ারে করে এসেছিলেন তিনি। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয় এই দিন।
আরও পড়ুন:
কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন পঞ্জাবের ভটিন্ডা জেলার বাহাদুরগড় জনদিয়ানের ৭৩ বছর বয়সি এই বাসিন্দা। তাঁকে নিয়ে মন্তব্য করেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ। কঙ্গনা তখন মহিন্দরের ছবি ভাগ করে নিয়ে লিখেছিলেন, তিনি নাকি শাহিনবাগের বিলকিস বানো। এমনকি, কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, কৌর-এর মতো মানুষকে ১০০ টাকার বিনিময়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নিয়ে আসা যায়।
উল্লেখ্য, গত বছর লোকসভা নির্বাচনে মান্ডি কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন কঙ্গনা। তবে সম্প্রতি কয়েকটি সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা দাবি করেছেন, তিনি যেমন ভেবেছিলেন, তেমন ভাবে রাজনীতি উপভোগ করছেন না।