Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata Doctor Rape-Murder Case

আরজি করে ভাঙচুরের সময় অপদার্থের মতো পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল, পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই: সিধু

নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলেই রোগী ভর্তির বিষয়টি বন্ধ রাখাই বাঞ্ছনীয় মনে করছেন সিধু। তা হলে আবাসিক চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে থাকতে পারবেন।

Singer Sidhu said the doctors should resume their work now but their insecurity is justified

সিধু। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৪ ১৭:৩১
Share: Save:

বৃহস্পতিবার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দ্বিতীয় শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এ দিন শীর্ষ আদালত চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করে গায়ক সিধুর সঙ্গে। পেশায় সঙ্গীতশিল্পী হলেও তিনি নিজেও এক সময় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন।

সিধু মনে করেন, রোগীদের কথা ভেবে এ বার চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “কর্মবিরতি তুলে নেওয়া উচিত। বিশেষ করে ইমার্জেন্সি ও আউটডোর বিভাগে কাজ শুরু করা উচিত এ বার চিকিৎসকদের। অসহায় মানুষ অসুস্থ হয়ে এখানে আসেন। তবে আরজি করে যে হেতু ভাঙচুর হয়েছে, জানি না এখন কী অবস্থায় রয়েছে হাসপাতালের পরিকাঠামো। প্রয়োজনে রোগী ভর্তি বন্ধ করা হোক বা অন্য হাসপাতালে রোগীদের ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।”

সিধু আরও বলেন, “আরজি কর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা খুব অস্বাভাবিক নয়। ১৪ অগস্ট যে ভাবে ভাঙচুর হল এবং পুলিশ অপদার্থের মতো নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করল! এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে হবে না, তার তো কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা খুব স্বাভাবিক। শুধু হাসপাতাল নয়। যে কোনও কর্মক্ষেত্রেই যদি ভাঙচুর চালানো হয় এবং পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকে, তা হলে তা ভয়াবহ তো বটেই।”

নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলেই রোগী ভর্তির বিষয়টি বন্ধ রাখা বাঞ্ছনীয় মনে করছেন সিধু। তা হলে আবাসিক চিকিৎসকেরা কর্মবিরতিতে থাকতে পারবেন। সিধুর কথায়, “যে চিকিৎসকেরা বাইরে থেকে আসেন তাঁরা কাজ করুন, এবং ইমার্জেন্সিতে অবশ্যই কাজ হওয়া দরকার।”এর পরেই ক্ষোভপ্রকাশ করে সিধু বলেন, “এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জবাব পুলিশমন্ত্রীর দেওয়া উচিত। তিনি এখনও কিছু বলেননি। পুলিশমন্ত্রী হিসাবে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানাই আমি।”

মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকার কয়েকটি ব্যবস্থা করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, মেয়েদের রাতের শিফ্‌ট যথাসম্ভব বাদ রাখতে হবে। এই প্রসঙ্গে সিধু বলেন, “এর অর্থই হল নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। উল্টে নারীদের সাবধান হতে বলা হচ্ছে। তাই প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত হাস্যকর ও অবাস্তব। আমরাও তো গায়ক। মফস্‌সলে বহু ক্ষেত্রে রাত দশটার পরে আমাদের অনুষ্ঠান থাকে। সে ক্ষেত্রে কি লোপামুদ্রা মিত্র বা ইমন চক্রবর্তীরা অনুষ্ঠান করবেন না? দ্বিতীয়ত, রাজ্যে বেশ কয়েক জন মহিলা মন্ত্রী রয়েছেন। তাঁদের তো দিনের ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতে হতে পারে। তা হলে তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে? রাতে তাঁরা কাজ না করলে তাঁদের জায়গায় মন্ত্রী হিসাবে কে কাজ করবেন?”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE