বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেটে গিয়েছে প্রায় ৩৮ বছর। প্রয়াত যশ চোপড়ার ‘মশাল’ ছবিতে ‘ফিল্মফেয়ার বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর’-এর পুরস্কার পাওয়ার পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি অনিল কপূরকে। যত বয়স বাড়ছে ততই যেন আরও খোলতাই হচ্ছে তাঁর পারফরম্যান্স। ‘সাহেব’, ‘চামেলি কি শাদি’, ‘তেজাব’, ‘রাম-লক্ষ্মণ’, ‘ঈশ্বর’, ‘পারিন্দা’, ‘লমহে’, ‘ভিরাসত’—তাঁর অভিনীত ছবির তালিকাটি বেশ লম্বা। আন্তর্জাতিক সিনে মহলেও সাফল্য পেয়েছেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’। ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়র’ ও ‘মিশন ইম্পসিবল: ঘোস্ট প্রোটোকল’ ছবি দু’টিতে হলিউড দর্শকদেরও হৃদয় চুরি করেছেন ৫৮ বছরের অভিনেতা।
এই দীর্ঘ কর্ম জীবনে এক সময় তিনি বিশ্রামের কথা ভেবেছিলেন। ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আরমান’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন তিনি এ নিয়ে আলোচনাও করেন বলিউড ‘শাহেনশা’র সঙ্গে। কিন্তু অনিলকে কেরিয়ারে বিরতি না নেওয়ারই পরামর্শ দেন বিগ বি।
১৯৮৪ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ও বাল্যবন্ধু রাজীব গাঁধীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজনীতির মঞ্চে পা রাখেন অমিতাভ বচ্চন। সেই সময় বছর তিনেক ভাঁটা পড়েছিল তাঁর অভিনয়ে। সেই খরা কাটাতে বেশ কয়েক বছর সময় লেগেছিল তাঁর। সেই উদাহরণ টেনেই অনিল কপূরকে বুঝিয়েছিলেন অমিতাভ। “উনি বলেছিলেন, কয়েক বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না করার ভুল তিনি নিজে করেছিলেন, আমি যেন তা না করি। আমি ওনাকে সম্মান করি, তাই কাজে কখনই বিরতি নিইনি” জানিয়েছেন ‘আরমান’ ছবির আকাশ সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy