ফরাসি শহরের আলোমাখা রাত। জলাশয়ের পাশে ডি পেটসার নিজস্ব ‘ওয়েট লুক’ পোশাকে যেন আতপ্ত হয়ে উঠেছে জাহ্নবীর বেতসলতার মতো শরীর। উন্মুক্ত কাঁধ আর কোমরের উপর ঝলকে উঠেছে আলো। তাঁর বিভঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে উষ্ণতা। গলায় পেঁচিয়ে রয়েছে নীল আর সবুজ পাথরের হার। শিশির মাখা অধরোষ্ঠ আধখোলা।
জাহ্নবী কপূর অভিনীত ‘হোমবাউন্ড’ প্রদর্শিত হয়েছে কান চলচ্চিত্রোৎসবে। তাই গত তিন দিন শ্রীদেবী-কন্যাকে দেখা গিয়েছে আন্তর্জাতিক উৎসবে। আর প্রত্যেক দিনই চমকে দিয়েছেন তিনি। আজও শ্রীদেবীর মোহমন্ত্র ছড়িয়ে রয়েছে বলিউডের আনাচেকানাচে। বিস্মৃতি তো দূরের কথা, আজও ভারতীয় সিনেপ্রেমীরা খুঁজে বেড়ান তাঁকে। বিশেষত, যখনই জাহ্নবীর সঙ্গে সামান্য মিল খুঁজে পাওয়া যায় মায়ের, শুরু হয় আলোচনা। সে কথা জেনেই যেন মেয়েও বার বার তৈরি করেন মায়ের মতো মোহজাল।
কানের লাল গালিচায় প্রথম দিনই জাহ্নবী পরেছিলেন গোলাপি, ঘোমটা দেওয়া গাউন— মায়ের মতো। তৃতীয় সন্ধ্যায় সচেতন ভাবেই কি তিনি বেছে নিলেন সাদা গাউন, যা আদতে শাড়ির মতো দেখতে? অনেকেই এই পোশাকের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন শ্রীদেবীর ‘চাঁদনি’ ছবির চেহারার। বৃহস্পতিবার জাহ্নবী নিজের ইনস্টা হ্যান্ডলে ভাগ করে নেন ফরাসি শহরের রাতের ছবি। ক্যাপশনে দিয়েছেন এক শ্বেতপায়রার ইমোজি। বোঝাই যায়, সারাবিশ্বের পরিস্থিতি বিবেচনা করে শান্তির শ্বেত উপহার দিতে চান তিনি।
আরও পড়ুন:
এ ছবি দেখে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, অনন্যা পাণ্ডে থেকে সোনম কপূর— বলিউডের তাবড় তারকা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে। কিন্তু সব থেকে বেশি নজর কেড়েছে জাহ্নবীর চর্চিত প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়ার মন্তব্য।
প্রেমের দেশ ফ্রান্স। সেখানেই প্রিয় নারীর মোহময়ী রূপ দেখে বুঝি নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ফ্রেঞ্চেই তিনি লিখেছেন, “ও আমার ঈশ্বরী, রাতটাকে আলো করেছ তুমি।”
জাহ্নবী কপূরের সঙ্গে শিখরের সম্পর্কের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৬ সালে। জাহ্নবীর গালে শিখর চুমু খাচ্ছেন, এমন একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। মেয়ের সঙ্গে শিখরের ঘনিষ্ঠতা নজর এড়ায়নি শ্রীদেবীর। বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, শ্রীদেবীর কারণেই শিখরের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যেতে থাকে জাহ্নবীর। কিন্তু ২০১৮ সালে আবার চর্চায় আসেন শিখর এবং জাহ্নবী। নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন শিখর। ইটালির রাস্তায় দু’জন মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের ছায়া পড়েছে রাস্তায়। সেই ছবিই ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন শিখর।