প্রতিবাদী মিছিলে ট্যারেনটিনো। এএফপি-র তোলা ফাইল ছবি।
নিজের দেশে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে গত মাসেই রাস্তায় নেমেছিলেন তিনি। মার্কিন সমাজে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে মুখর হয়েছিলেন প্রতিবাদী নিউ ইয়র্কবাসীদের সঙ্গে। তিনি চিত্র পরিচালক কোয়েন্টিন ট্যারেনটিনো। এ বার পাল্টা হিসাবে সেই পুলিশই তাঁর ফিল্ম বয়কটের ডাক দিল।
‘রিজার্ভয়ার ডগ’, ‘পাল্প ফিকশন’, ‘কিল বিল’, ‘ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস’, বা ‘জ্যাঙ্গো আনচেইনড’-এর মতো ফিল্মের পরিচালকের ঝুলিতে রয়েছে দু’টি করে অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা এবং একটি পাম দি’ওর পুরস্কার। তা এই খ্যাতনামা পরিচালক যখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন, তখন তামাম দুনিয়ার নজর তো সে দিকে ঘুরবেই।
বছর খানেক ধরেই আমেরিকা জুড়ে কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিনোদের উপর পুলিশের অত্যাচার বাড়ছে। সূত্রের খবর, পুলিশি অত্যাচারে মোট ৯৩০ জন নিহতের মধ্যে রয়েছেন ২২৬ জন কৃষ্ণাঙ্গ ও ১৪৩ লাতিনো নাগরিক। গত ২৪ অক্টোবর পুলিশের হাতে মৃত্যু হয় এক নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গের। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে উ়ড়ে এসে ট্যারেনটিনো সে দিনই নিউ ইয়র্ক পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিলে সামিল হন। সেই মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে পুলিশকে ‘খুনি’ আখ্যা দিতেও কসুর করেননি তিনি। ট্যারেনটিনো বলেন, “আমারও বিবেক আছে। চারপাশে ঘটে চলা হত্যালীলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত। এখানে শুধু এটাই বলতে এসেছি যে, আমি নিহতদের পক্ষেই রয়েছি।”
স্বাভাবিক ভাবেই এই মন্তব্যকে ভাল চোখে দেখেনি নিউ ইয়র্ক পুলিশ। এ বার তাদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশও ট্যারেনটিনোর ফিল্ম বয়কটের ডাক দিয়েছে। ৫২ বছরের পরিচালকের ফিল্মের সমালোচনা করে লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশের তরফে ক্রেগ ল্যালি বলেন, “বিস্ফোরক মন্তব্য করার জায়গা এটা নয়। ট্যারেনটিনোর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy