‘চরিত্রহীন’-এর দৃশ্যে সৌরভ এবং নয়না।
পার্মান্টেট অ্যাড্রেস, যাদবপুর, কলকাতা। প্রেজেন্ট অ্যাড্রেস, মুম্বই। তিনি নয়না গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার থেকে ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে দেবালয় ভট্টাচার্য পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘চরিত্রহীন’-এর স্ট্রিমিং শুরু। সেখানে সকলকে চমকে দিয়েছেন নয়না। কেমন তিনি? মুম্বই থেকে ফোনে ধরা দিলেন।
আপনার অভিনয়ের শুরু কী ভাবে?
রামগোপাল বর্মার হাউজ থেকে প্রথম আমি তেলুগু ছবি করি। ‘বঙ্গা বেটি’। অডিশন নিয়ে আমাকে ব্রেক দিয়েছিলেন রামগোপাল স্যর।
কোন সময় সেটা?
(সামান্য পজ) ওটা করেছিলাম ২০১৬-এ।
আরও পড়ুন, এত ছোট্ট জায়গা, কে কী বলছেন জানি তো, বিস্ফোরক অরিন্দম
তার পর?
ওই কাজটা ভাল লাগার পর আমাকে ‘মেরি বেটি সানি লিওন বাননা চাহতি হ্যায়’ নামের একটা শর্ট ফিল্মে সুযোগ দেন। সেটা করেছিলাম মকরান্দ (দেশপাণ্ডে) স্যরের সঙ্গে। তার পর আর একটা ওয়েব সিরিজ ‘গণশন থাইস’। খুব হিট হয়েছিল সেটা। রামগোপাল স্যরেরই একটা লভ স্টোরি কমপ্লিট করেছি। নভেম্বরে রিলিজ হবে। বলিউডে। বিগ প্রজেক্ট। নামটা এখনই বলতে পারছি না। সরি...।
‘চরিত্রহীন’ কি বাংলায় আপনার প্রথম কাজ?
হ্যাঁ, এটাই বাংলাতে প্রথম।
নয়না গঙ্গোপাধ্যায়।
কী ভাবে সুযোগ পেলেন?
মুম্বইতে কাস্টিং ডিরেক্টররা আমাকে প্রথম এমন একটা প্রজেক্টের কথা বলেছিলেন। দেবালয় (পরিচালক) স্যরের সঙ্গে তার পর কথা হয়। উনি ‘মেরি বেটি...’ দেখেছিলেন। সেখানে আমার চোখ ভাল লেগেছিল। এক্সপ্রেশন ভাল লেগেছিল। দেবালয় স্যরের কাছেই ফোনে স্টোরিটা প্রথম শুনেছিলাম। খুব ভাল লেগেছিল। আমার এই ধরনের গল্প ভাল লাগে বরাবরই। অভিনয়ের সুযোগ থাকে। বলিউডে তো লভ স্টোরিই বেশি হয়।
‘চরিত্রহীন’-এর ট্রেলার নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে, জানেন?
হ্যাঁ, আমি শুনেছি। খুব হিট হয়েছে।
আরও পড়ুন, ‘কিশোর কুমার জুনিয়র’-এ আমার একটা ভেতরের লড়াই আছে: প্রসেনজিৎ
হিট, নাকি খোলামেলা দৃশ্য নিয়ে আলোচনা?
দেখুন, আমি যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি প্রত্যেকেই কলকাতায় জনপ্রিয়। আমার কাছে নতুন ছিল ঠিকই। তবে সবাই খুব হেল্প করেছে।
আর এই খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করতে সমস্যা হয়নি? আপনার কাছে তো সকলেই নতুন ছিলেন...
আমার একটা প্রজেক্টেও এখনও পর্যন্ত এই ধরনের সিন হয়নি। এখানে স্টোরিতে এমন সিনের ডিমান্ড ছিল। প্রথমে পারছিলাম না। এটা স্বীকার করব। যদিও শুটিং চলছিল যখন সবাইকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
‘চরিত্রহীন’-এর দৃশ্যে নয়না।
তার পর?
সৌরভ (দাস) ছিল। ও খুব ইয়ার্কি করে। কমফর্ট দেয়। আমাকে বলেছিল, আরে টেনশন করিস না, হয়ে যাবে। সৌরভ বা গৌরব (চট্টোপাধ্যায়), কাউকেই চিনতাম না। প্রথমে একটু অস্বস্তি ছিল। তবে আমি যেহেতু আর্টিস্ট, এটা আমার কাজ, করে ফেলেছি। আর দেবালয় স্যর ছাড়া প্রজেক্টটা করতে পারতাম না। প্রত্যেকটা সিনে আমাকে বুঝিয়েছে। কেমন এক্সপ্রেশন দেব বুঝিয়ে দিয়েছিল। ‘কিরণময়ী’র চরিত্রটা আমার জন্য কিন্তু কঠিন ছিল।
আরও পড়ুন, বিয়ে কবে? রাইমা বললেন…
প্রথম বাংলা প্রজেক্টেই আপনি বেশ সাহসী, কিন্তু চরিত্রের প্রয়োজনে ক্যামেরার সামনে কতটা সাহসী হতে পারবেন?
দেখুন, যখন কোনও অফার আসে, তখনই আমি জেনে নিই কী করতে হবে। আমার একটা লিমিট আছে। সেটা ক্রস করব না। আমি যতটা কমফর্টেবল ততটাই অনস্ক্রিন শরীর দেখাব।
সেটা কতটা? ন্যুড সিন ক্যারেক্টার ডিমান্ড করলে করবেন?
না! (হেসে) ন্যুড সিন করব না। ডিমান্ড থাকলেও না। কারণ আমার ফ্যামিলি আছে, সেটা মনে রাখতে হবে।
‘চরিত্রহীন’-এর দৃশ্যে সায়নী এবং নয়না।
আপনি কি ছোট থেকেই অভিনয় করতে চেয়েছিলেন?
না না। ছোট থেকে অভিনয়ের কোনও ইচ্ছে ছিল না। এখন করছি। ছোটবেলায় স্পোর্টস ভাল লাগত। স্কুলে স্পোর্টসে ফার্স্ট হতাম। তবে এখন তেলুগু, তামিল, বলিউড— সব জায়গা থেকে অফার আসছে। আমি সব ইন্ডাস্ট্রি কভারও করতে চাইছি। একটা তামিল প্রজেক্ট শুরু করছি ৩ অক্টোবর থেকে। তামিলের এক বড় স্টারের ছেলের সঙ্গে। তামিলে ওটাই আমার প্রথম প্রজেক্ট।
আরও পড়ুন, ‘মৌলিক ছবির জন্যই তো অভিনয় শিখেছি, কত কপিক্যাট করব বলুন?’
প্রায় সব রকম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন, কাস্টিং কাউচ ফেস করেছেন কখনও?
না, কখনও কাস্টিং কাউচ ফেস করিনি। আমি ১০০ শতাংশ দিয়ে কাজ করি। আর কাজে প্রমাণ না করতে পারলে এত অফার আসত না। কাস্টিং কাউচের মাধ্যমে এগোলে অফার সব সময় তো আসে না। আমি কাজেই ফোকাস করেছি। সব ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চাই। ভাষা জানি না হয়তো, কিন্তু শিখে নেওয়ার চেষ্টা করি। মুম্বইতে বাঙালিদের মেধাকে খুব শ্রদ্ধা করা হয় আমি দেখেছি। আমিও অভিনয় দিয়ে মুম্বইতে নিজের জায়গাটা তৈরি করতে চাই।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy