Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পুজোর পঞ্চাশ বছরে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

উদ্যোক্তারা জানালেন, প্রতিবার ১১ দিনের মেলা হলেও এবার ১৩ দিনের মেলা বসছে। এই মেলায় ব্যাপক জনসমাগম হয়। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে ৩০টি সিসি ক্যামেরা ছাড়া নজরদারি চালানোর দু’টি নজর মিনার তৈরি করা হচ্ছে।

জোরকদমে: চলছে ৩৩ ফুট প্রতিমা তৈরির কাজ। বারবিশায়। নিজস্ব চিত্র

জোরকদমে: চলছে ৩৩ ফুট প্রতিমা তৈরির কাজ। বারবিশায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বারবিশা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৪৭
Share: Save:

সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে শিশু চলচিত্র উৎসবের আয়োজন হচ্ছে বারবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবে। ১৩ দিন ধরে ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’, ‘দ্য জঙ্গল বুক’, ‘জুরাসিক পার্ক’, ‘হীরক রাজার দেশে’, ‘আইস এজ’, ‘চার্লি চ্যাপলিন’-এর মতো ৩৭টি সিনেমা দেখানো হবে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের দৃশ্য আলো-শব্দের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।

উদ্যোক্তারা জানালেন, প্রতিবার ১১ দিনের মেলা হলেও এবার ১৩ দিনের মেলা বসছে। এই মেলায় ব্যাপক জনসমাগম হয়। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে ৩০টি সিসি ক্যামেরা ছাড়া নজরদারি চালানোর দু’টি নজর মিনার তৈরি করা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, অসম ও ভুটান সীমান্ত এলাকা হওয়ার জন্য এমনিতেই এই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার থাকে। তবে মেলার জন্য বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়। সাদা পোশাকের পুলিশ নামানো হবে।

১৯৭১ সালে সাত ফুট কালী প্রত়িমায় পুজা শুরু হয় বারবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবে। প্রতি বছর প্রতিমার উচ্চতা বেড়েছে। এ বছর ৩৩ ফুট প্রতিমায় পুজা হচ্ছে। থাকছে চন্দননগরের আলো, লাইভ স্ট্যাচু।

পুজো উপলক্ষে প্রতিদিন মুক্তমঞ্চে কলকাতার শিল্পীদের যাত্রাগান, পদাবলি, জারিগান, কবিগান, ছৌ-নাচ, আদিবাসী ও লোকসঙ্গীতের আসর বসছে। নদিয়ার শিল্পীদের বাউল, বাংলাদেশের শিল্পীর লোকসঙ্গীত, অসমের বিহু, যাত্রাগ্রান, কীর্তনের আসরও বসবে বলে জানা গেল।

রকমারি খেলনা ও খাবারের দোকান থাকবে প্রায় ৪০০টি। প্রতিমা তৈরি করছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা। লক্ষ্মীপুজোর পর থেকেই প্রতিমা গড়া শুরু হয়। ১৪ জন শিল্পী ১৪ দিন ধরে প্রতিমা তৈরি করছেন।

ক্লাবের সভাপতি অশ্বিনীকুমার রায় জানান, পুজোয় বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। কালীপুজার দিন শোভাযাত্রা হবে। সেখানে উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতি, কৃষ্টি যেমন তুলে ধরা হবে, তেমনিই বিভিন্ন সামাজিক বার্তাও দেওয়া হবে।

ক্লাবের সম্পাদক শঙ্করকুমার ঘোষ জানান, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষের চাহিদার উপর নির্ভর করে পুজা এবং মেলার আয়োজনে বিভিন্ন চমক থাকছে। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার বলেন, ‘‘বরাবর এই পুজায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ শামিল হন। তাই মেলার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Barobisha Kali Puja Children's Film Festival
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE