ফের মিডিয়ার সঙ্গে সংঘাতে দীপিকা পাড়ুকোন। এবার তাঁর মন্তব্য বিকৃত করার অভিযোগ উঠল। একটি বহুল প্রচলিত ইংরেজি দৈনিক দাবি করে দীপিকা নাকি বলেছেন ‘‘রণবীরের সামনে আমি নগ্নও হতে পারি।’’ এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই হইচই পড়ে যায়। একে রণবীর তার উপর ‘নগ্ন’, এই দুই শব্দের মেলবন্ধনে এক রাতের মধ্যেই টক অফ দ্য টাউন, এই বলি ডিভা। মশলার সন্ধন পেয়েই জোর গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় বি-টাউনে। কিন্তু জল্পনা-চর্চা উড়িয়ে দিয়েছেন দীপিকা স্বয়ং। সাফ জানিয়েছেন, মোটেই এই ধরণের কোনও মন্তব্যই তিনি করেননি। তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এবং রণবীর কপূর নন, তাঁর মন্তব্য ছিল রণবীর সিংহ কে নিয়ে। দীপিকা বলেছেন, রণবীরকে তিনি এতটাই বিশ্বাস করেন যে, মনের সব কথা রণবীরের সামনে বলতে পারেন। কারণ, নায়িকা জানেন রণবীর কোনও দিন, কোনও অবস্থাতেই তাঁকে আঘাত করবেন না।
ঠিক কী বলে ছিলেন দীপিকা? সাক্ষাত্কারে দীপিকা বলে ছিলেন ‘‘আই অ্যাম ইমোশনল, সেনসিটিভ অ্যান্ড ভারনারেবল অ্যান্ড ক্যান বি ইসিলি হার্ট। আই ক্যান বি সো নেকেড ইন ফ্রন্ট অফ রণবীর অ্যান্ড আই নো হি উইল নেভার হার্ট মি অর টেক মি ফর গ্রান্টেড। দ্যট ইজ দ্য কাইন্ড অফ ট্রাস্ট অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং উই হ্যাভ।’’
পড়ুন: ‘‘দীপিকার সঙ্গে আমার কেমিস্ট্রি হট’’
যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘‘আমি আবেগপ্রবণ, সংবেদনশীল। খুব সহজেই আঘাত পাই। রণবীরের সঙ্গে আমি এতটাই স্বচ্ছন্দ যে আমি ওকে সব কিছুই খোলাখুলি জানাতে পারি। আমি জানি ও আমাকে কখনই কষ্ট দেবে না। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া অসাধারণ।’’
কিন্তু গোলটা বাধে ‘নেকেড’ শব্দের ব্যবহারে। দিন কয়েক-এর মধ্যেই মুক্তি পাবে রণবীর-দীপিকা অভিনীত ‘বাজিরাও মস্তানি’। রটে যায় তার প্রচারের কৌশল হিসেবেই কি ব্যক্তিগত জীবনকেও খোলামেলা করে দিলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত যে দৈনিকের বিরুদ্ধে দীপিকা প্রথম মন্তব্য বিকৃতির অভিযোগ তুলেছেন, সেই দৈনিকের সঙ্গেই বছর খানেক আগে ঝামেলা বেঁধেছিল তাঁর। অনুমতি ব্যতীত তাঁর একটি ছবি ‘খোলামেলা’ অ্যাঙ্গেলে তুলে ‘রগরগে’ হেডিং দিয়ে প্রকাশ করার জন্য তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ছিলেন এই নায়িকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy