Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ব সিনেমা প্রদর্শনের আশা নিয়ে প্রস্তুতির পথে ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

আর হাতে গোনা কয়েকটি মাস। ২০২১-এর ১৬ জানুয়ারি ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ভার্চুয়াল নয়, প্রতি বছরের মতোই আয়োজন হবে আগামী বারেও।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২০ ১৫:১১
Share: Save:

আর হাতে গোনা কয়েকটি মাস। ২০২১-এর ১৬ জানুয়ারি ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ভার্চুয়াল নয়, প্রতি বছরের মতোই আয়োজন হবে আগামী বারেও।

ইতিমধ্যেই উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল জানিয়েছেন, ‘‘২০২০-এর জানুয়ারিতে ১৮তম চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হওয়ার পরই মূলত গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। আশা, আগামী জানুয়ারিতে সংক্রমণ রোধের ইতিবাচক ফল মিলবে। তাই এখন থেকেই ১৯তম উৎসবের আয়োজনের প্রস্তুতি শুরুর পথে হাঁটছি আমরা। তারিখ এবং স্থানও চূড়ান্ত করা হয়েছে। ধারণা, ডিসেম্বরেই গোটা বিশ্ব এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের পথ খুঁজে পাবে। এবং জানুয়ারিতে সবাইকে নিয়ে প্রতি বছরের মতোই উৎসব পালিত হবে।”

১৯তম ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের থিম কী? কোথায় কোথায় আসর বসবে উৎসবের?

আহমেদ মুজতবা জামালের কথায়: “বরাবরের মতো এ বারের উৎসবের থিম ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’। ১৬ থেকে ২৪ জানুয়ারি দেশ-বিদেশের সিনেপ্রেমীরা ভিড় জমাবেন আঁলিয়স ফ্রঁসে মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণ গ্রন্থাগার, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমি ও স্টার সিনেপ্লেক্সে।”

উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, আগ্রহী চলচ্চিত্র পরিচালকেরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের তৈরি বিভিন্ন চলচ্চিত্র এবং এই সংক্রান্ত তথ্য মেল করতে পারবেন উৎসব কমিটিকে। অথবা চলচ্চিত্র উৎসবের নিজস্ব ওয়েবসাইটেও যোগাযোগ করতে পারবেন।

“করোনা অতিমারিতে যেখানে দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্র উৎসব হয় বন্ধ নয়তো অনলাইনে হওয়ার পথে সেখানে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব যদি প্রতি বছরের মতো তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারে তা হলে এর থেকে ভাল আর কিছুই হতে পারে না,” খুশির গলায় জানালেন পরিচালক অঞ্জন দত্ত। স্মৃতি হাতড়ে পরিচালকের আরও দাবি, “এর আগে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে আমার অভিনীত পুরনো ছবি দেখানো হয়েছে। গত বছর প্রথম যাই আমার ‘ফাইনালি ভালোবাসা’ ছবিটি নিয়ে। গিয়ে দেখেছিলাম, পুরনো কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের শুরুর হুবহু ছবি যেন উঠে এসেছে ঢাকার এই উৎসবে।’’ অঞ্জন বলছেন, ‘‘এখানেও নানা দেশের পরিচালক, অভিনেতা, সাংবাদিকেরা আসেন। ছবি দেখেন। ডিনার হয় ছবি নিয়ে আড্ডা দিতে দিতে। আলাদা সম্মেলন করে ছবি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রেক্ষাগৃহ ভর্তি হয়ে গেলে ঢাকার ছাত্ররা দরকারে মাটিতে বসে পড়ে ছবি দেখতেও দ্বিধা করেন না।”

এ বছর অঞ্জন জুরি হিসেবে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন, “১৯৯২ থেকে ২০২০, ২৮ বছর ধরে ১৮টি উৎসব আমাদের উপহার দিয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। আগামী বছর ১৯তম বর্ষ। করোনা অতিমারির মধ্যেও আট দিনের উৎসব, সাধুবাদ আহমেদ মুজতবা জামালকে। এ বছর আমি জুরি। ফলে আনন্দ আরও বেশি।” তবে, অতিমারির আবহ থাকলে উৎসব হবে ভার্চুয়াল।

উৎসবে প্রতি বছর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যায় ভারতীয় হাই কমিশনকে। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না, আশা ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্যোক্তাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE