বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত তাঁর অনুজ পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্যকে লিখে পাঠিয়েছিলেন, ‘বিলু রাক্ষস’ দেখে আমি সত্যি অভিভূত। আমার দেখা এ কালের ভাল বাংলা ছবির মধ্যে রইল এই ছবি। এর মধ্যে এক রকম স্বচ্ছ, সৎ শিল্প আছে। সিনেমা সঠিক ভাবে বোধগম্য না হলে এ ছবি তৈরি করা অসম্ভব। আমি এই পরিচালকের পরবর্তী ছবি দেখার অপেক্ষায়।’
ইন্দ্রাশিসের পরবর্তী ছবি অবশেষে ২৭ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে। সেন্সর বোর্ড, হল পাওয়া, অনেক ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ‘পিউপা’-কে। ‘‘আসলে আমার পেছনে ব্যাকআপ নেই। বড় ব্যানার নেই। মিডিয়া উন্মুখ নয়...’’ একটু যেন হতাশার সুর তাঁর গলায়। কিন্তু পরক্ষণেই স্বর বদলে জানালেন, সুরিন্দর ফিল্মস্ এই ছবির জন্য হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তিনি যারপরনাই খুশি।
তাঁর ছবি মানেই অন্য ফর্মে গল্প বলা। কাস্টিংয়ের ধরন আলাদা। রিয়্যালিস্টিক শুট। লং শট। এডিটিং-এর ঝক্কি কম। নিজের ছবির গল্প তিনি নিজেই লেখেন।
‘‘আসলে এই ভাবেই গল্প বলতে চাইছি। মানে দর্শক কোন জায়গাটা ভালবাসবে। কোথায় কাঁদবে। গান কেমন চাইবে? আমি ভাবি না। আমি জানি আমার ছবি ব্লক বাস্টার হবে না। তাতে কী? সিনেমা কি শুধু বিনোদন হয়েই থেকে যাবে?’’ নিজের কাছেই যেন চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ইন্দ্রাশিস।