ট্রয়ের বই অনুযায়ী দিব্যা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বহু দিন ধরে। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে মদ্যপান করেছিলেন। বাড়িতে একাধিক অতিথি এসেছিলেন। দিব্যা নিজের গ্লাস ভর্তি করে বারান্দায় একা সময় কাটাচ্ছিলেন। পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনে সবাই ছুটে যান। ট্রয় জানিয়েছেন, অতিথিরাই হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
দিব্যার বন্ধু পুলিশকে জানান, মৃত্যুর সময়ে নীতা তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। দিব্যা বারান্দার রেলিংয়ের ধারে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছিলেন। নীতা বাঁচানোর জন্য এগোতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে দিব্যার ঝাঁপ। সে দিন সন্ধেবেলা সাজিদের সঙ্গে বিবাদ হয়। সাজিদ বা়ড়ি থেকে বেরিয়ে যান। দিব্যা হুমকি দিয়েছিলেন, ‘‘তুমি যদি ১০ মিনিটে ঘরে না ঢোকো, আমাকে আর দেখতে পাবে না।’’ দিব্যার বন্ধু জনায়, সাজিদ হুমকিকে পাত্তা দেননি।
দিব্যার আর এক প্রতিবেশী বলেন, সে দিন সাজিদের সঙ্গে ঝগড়ার পর অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খান দিব্যা। সাজিদ ভয় পেয়ে তাঁদের প্রতিবেশী নীতা লুল্লা ও তাঁর স্বামীকে ডাকেন। তাঁরা এসে দিব্যার ভাই (সেই সময়ে দিব্যার ভাই তাঁর বাড়িতেই ছিলেন) এবং সাজিদকে বের করে দেন। বলেন, তিনি দিব্যার সঙ্গে আলাদা কথা বলবেন। পরিচারিকাকে থাকতে বলা হয়। তিনি ছিলেন রান্নাঘরে। দিব্যা রান্নাঘরে আরও মদ্যপান করে সবার অলক্ষ্যে বারান্দায় চলে যান। কয়েক মুহূর্ত পরেই সব শেষ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy