সামনেই পুজো। তাই আপাতত একাধিক ফটোশুটে বেজায় ব্যস্ত অভিনেতা রাহুল দেব বসু। কিন্তু, দুর্গাপুজোর মধ্যে কাজ রাখতে একেবারেই পছন্দ করেন না তিনি। তাঁর কাছে পুজো মানে কী? উৎসবের আমেজেও কি মেনে চলেন কঠিন ডায়েট? খোঁজ নিল আনন্দবাজার ডট কম।
পুজো বললেই প্রথমে কী মনে হয়? “এখন তো বড় হয়ে গিয়েছি। দুর্গাপুজো বললেই কাজ থেকে রেহাই পাব, এটাই মাথায় আসে। স্কুলেও ছুটির কথাই মনে হত। এখনও মনে হয় কাজের চাপ কমবে। কাজকর্ম নিয়ে বেশি ভাবনা চিন্তা করতে হবে না। একটু আরাম করে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারব। খাওয়াদাওয়া করতে পারব।” রাহুল মনে করিয়ে দেন, ছোটবেলার পুজোয় নতুন জামাকাপড়ের একটা বড় আকর্ষণ ছিল। অভিনেতার কথায়, “নতুন জামা পরে সপরিবারে বেরোতাম, খাওয়াদাওয়া করতাম। সারা বছর যে সকল আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা হত না, পুজোর সময় তাঁদের সঙ্গে দেখা হত। একসঙ্গে মজা-হুল্লোড় আর ঠাকুর দেখতে যাওয়া, এই করেই সময় কেটে যেত।”
রাহুলের পুজোর স্মৃতি অসংখ্য। খানিক ভেবে বললেন, “পুজোয় পরিবারের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আলাদা আকর্ষণ ছিল। নতুন জামাকাপড় কেনা, পরা। স্মৃতি তো অনেক। কিন্তু, কিছু বছর আগে দশমীর ভাসান নাচ মনে পড়ে। যে দিন গোটা পৃথিবীকে আমি আর দেবাদৃতা জানিয়েছিলাম যে, আমরা একে অপরের সঙ্গে আছি। ওই দিনটা ভীষণ গুরুত্বপুর্ন।” কয়েক বছর আগে দশমীর দিনের একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করেই অভিনেত্রী দেবাদৃতা বসুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছিলেন রাহুল। তাই ‘পুজোর প্রেম’ বললেও রাহুলের কাছে সেই স্মৃতিই উজ্জল। অভিনেতা বলেন, “পুজোতেই প্রেম শুরু হয়েছে, এমন খুব একটা ঘটেনি। তবে পুজোর মধ্যে সেই প্রেম রূপ পেয়েছে। দেবাদৃতার সঙ্গে সম্পর্কটা সে ভাবেই তো গড়ে উঠেছিল। সেই কারণেই বিজয়া দশমীর দিন আমরা কথাটা প্রকাশ করেছিলাম।”
আরও পড়ুন:
পুজোর সঙ্গে যেন হাত ধরেই আসে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। পেশায় অভিনেতা হলেও পুজোয় ডায়েট মানেন না রাহুলও, “পুজোয় কোনও ডায়েট নয়। পুজোর সময় খাওয়াদাওয়া মাস্ট। এবং সেটা মনখুলে হওয়া চাই। বিরিয়ানি যেমন থাকতেই হবে। সঙ্গে বাঙালি পোলাও আর হালকা ঝোল ঝোল মাংস, ওটা খেতেই হবে পুজোর সময়।” এই সময় কেমন পোশাক পছন্দ? হাসতে হাসতে রাহুলের উত্তর, “জামাকাপড় স্মার্ট তো হতেই হবে, সঙ্গে খুব একটা ঘাম হবে না এমন চাই। এই যে পুজোয় কিন্তু আমি খাব, তাতে যে ভুঁড়িটা বাড়বে, সেটাকে সুন্দর করে ঢেকে রাখবে এমন পোশাকই পছন্দ করি।” পুজোয় পরিবারের সঙ্গে, ভালবাসার মানুষের সঙ্গে সময় কাটাবেন অভিনেতা। সঙ্গে, ঠাকুর দেখার চেষ্টাও করবেন। “যদিও সব সময় ভিড়ের মধ্যে হয়তো নামতে পারি না, কিন্তু চেষ্টা করব”, বললেন রাহুল।