অনিতা
প্র: ‘কভি সওতন কভি সহেলি’র দিন থেকেই কলকাতায় আপনার অনেক ভক্ত...
উ: তাই নাকি? আমি খেতে ভালবাসি। কলকাতার ক্ষীরকদম ও দই খুব প্রিয়। ওখানে গেলে পার্কস্ট্রিটেও যাই। দিন কয়েক আগেই আমার স্বামী (রোহিত রেড্ডি) কলকাতায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের শুট করে ফিরল (হাসি)।
প্র: ‘নাগিন থ্রি’-এ চরিত্রটা তো নেগেটিভ...
উ: ‘নাগিন’-এ নেগেটিভ বলে কিছু নেই। সব নাগিনই প্রতিশোধ নিতে এসেছে। এটা বলতে পারেন, তাদের প্রতিশোধ নেওয়ার পথটা সাহসী। আর বিষয়টা অবাস্তব। সেটা দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তুলে ধরা কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ। বিশাখা খন্নার চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে আমি খুব খুশি।
প্র: মৌনী রায়ের কাছ থেকে কিছু টিপ্স নিয়েছেন?
উ: আসলে ওর চরিত্র যেমনটা ছিল, তার সঙ্গে আমার চরিত্রের কোনও মিল নেই। তাই সে ভাবে টিপ্স নেওয়ার কিছু নেই। তবে দরকার পড়লে নিশ্চয়ই নেব (হাসি)।
প্র: সাধারণত টেলিভিশন থেকে বড় পর্দায় যান অভিনেতারা। আপনি বড় পর্দায় কাজ করে টিভিতে ফিরলেন...
উ: টেলিভিশন ছোট আর ছবি বড় মাধ্যম, এই ভাবে আমি দেখি না। ছবিতে তেমন ভাল চরিত্র পাচ্ছিলাম না। তাই টেলিভিশনে ফিরলাম। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। অনেকে ভাবেন, টিভিতে এক বার কাজ করলে ছবিতে ডাক আসবে না। মৌনী সেই মিথ ভেঙেছে। ও তো ‘নাগিন’-করেই ছবিতে সুযোগ পেল। টিভিতে আমি বরাবরই সফল ছিলাম। তাই টিভিতে কাজ করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।
প্র: ছবির জগৎ কাছ থেকে দেখেছেন বলেই কি মনে হয় টিভিতে নিরাপত্তা বেশি?
উ: দেখুন, সকলেই তো দীপিকা পাড়ুকোন বা প্রিয়ঙ্কা চোপড়া হতে পারবে না। অনেক পরিশ্রম করে ছবি করার পরেও যদি সেটা ফ্লপ করে, কেউ ফিরেও তাকায় না। কিন্তু টিভিতে ফিরে আসা তুলনায় সহজ। রোজ শুটিং করা এক অর্থে চাকরির মতোই। আর্থিক দিক থেকেও নিরাপত্তা অনেক বেশি। আর টিভির মাধ্যমে তো কম সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছচ্ছি না।
নাগিন থ্রি-এ অনিতা
প্র: ইমেজ ভাঙতে ভয় পান না?
উ: অভিনেত্রী হিসেবে ইমেজ ভাঙাই তো আমার কাজ। আর আমি কিন্তু কখনও টাইপকাস্ট হইনি। সে দিক থেকে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। গৃহবধূর চরিত্র যেমন করেছি, তেমন খলনায়িকাও। ‘নাগিন’-এ আমাকে দেখে দর্শক প্রথমে একটু চমকাবেন। কিন্তু পরে তাঁরা মুগ্ধই হবেন।
আরও পড়ুন: বলিউড পেরিয়ে ফিটনেসের ঢেউ লেগেছে টলিউ়ডেও
প্র: একতা কপূরের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কী ভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
উ: ও আমার প্রিয় বান্ধবী, আমার পরিবার, আমার শক্তি। ভগবানের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে, বন্ধুর মতো এক জন মেন্টরকে জীবনে পেয়েছি।
প্র: রোহিত কি আপনার শো দেখেন?
উ: ‘ইয়ে হ্যায় মহব্বতেঁ’র কয়েকটা এপিসোড দেখেছিল। ‘নাগিন’-এরও শুরুর কয়েকটা এপিসোড দেখবে বলে আশা রাখি। ও জানে এই চরিত্রটার জন্য কত খেটেছি।
প্র: উনি আপনার কাজের সমালোচনা করেন?
উ: সমালোচনা করার কিছু থাকলে তো করবে (হাসি)! তবে প্রশংসা হোক বা সমালোচনা, কাছের মানুষই সত্যি কথা বলে। যা-ই বলে আমার কাছে সেটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
প্র: আপনাদের দু’জনের মধ্যে কে বেশি রোম্যান্টিক?
উ: অবশ্যই রোহিত। ও সব সময়ে আমার জন্য সারপ্রাইজ় প্ল্যান করে। আমাদের মধ্যে সারপ্রাইজ় দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলে। তবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে আর বিবাহবার্ষিকীতে ও আমাকে হারিয়ে দেয়। সেটা আমাদের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী ছিল। কাজের এত চাপ, ঘুরতে যাওয়ার কোনও কথাই ছিল না। তবে এক দিনের জন্য ও আমাকে কাশ্মীর নিয়ে গিয়েছিল। আর আমার পুরো বিষয়টা নিয়ে একেবারেই কোনও ধারণা ছিল না (হাসি)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy