সোনম
প্র: এ বছরে তো আপনার পরপর ছবি!
উ: (হেসে) হ্যাঁ। ‘প্যাডম্যান’-এর পর ‘ভীরে দি ওয়েডিং’, ‘দত্ত’ (সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক), ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’, ‘জোয়া ফ্যাক্টর’— প্রচুর ছবি! সব ক’টাই আমার মনের খুব
কাছের। অনেক আশাও জড়িয়ে আছে ছবিগুলোর সঙ্গে।
প্র: বাবা অনিল কপূর আপনাকে অভিনেতা হিসেবে কী ভাবে অনুপ্রাণিত করেন?
উ: প্রথম দিকে কোথাও আটকে গেলেই বাবাকে ফোন করতাম। এখন আর করি না। ন্যারেশন শোনা, স্ক্রিপ্ট পড়া থেকে ছবিতে সম্মতি দেওয়া— সবটা আমিই করি। বাবার মতামত যে একেবারেই নিই না, তা নয়। আর পাঁচটা বাবা-মেয়ের সম্পর্কের মতোই আমাদের সম্পর্ক।
প্র: ‘প্যাডম্যান’-এর বিষয় নিয়ে বেশ আলোড়ন। আপনি নিজে যখন জীবনের এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন, কেমন ছিল সেই অনুভূতি?
উ: যখন প্রথম মেনস্ট্রুয়েশন হয়, আমি তখন টিনএজার। আমাদের স্কুলেও এই বিষয়ে ওয়র্কশপ হয়েছিল। তা ছাড়া বাড়িতে বোন রিয়াও ছিল। তাই সব কিছু খুব সুন্দর ম্যানেজ হয়ে গিয়েছিল। পুরো বিষয়টা নিয়ে আমিও বেশ কনফিডেন্ট ছিলাম।
প্র: সেক্স এডুকেশন কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উ: সেক্স এডুকেশনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বাড়ির শিক্ষা। সন্তানের ছোটবেলা থেকেই মায়ের এই ভূমিকা নেওয়া উচিত। বাড়িতে ছেলেমেয়ে দুই-ই থাকলে আমাদের শেখানো উচিত, ছেলে আর মেয়ের মধ্যে কোনও তফাত নেই। আত্মসম্মান জরুরি বিষয়, সেটা প্রথম থেকে মেয়েদের জানা উচিত। আর ছেলেদের জানা উচিত, মেয়েরা তাদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। আমার বাবা কোনও দিন চাইতেন না যে, মা রান্নাঘরে যান। তাই মাকে আমরা রান্নাঘরে প্রায় দেখতেই পাইনি! বাবার কথা হল, ‘মেয়েরা কি বাড়িতে থাকে শুধু রান্না করার জন্য!’ শৈশব থেকেই বাড়ির পরিবেশ এমন ছিল যে, আমরা অন্য ভাবে চিন্তা করতে শিখেছি।
প্র: ‘প্যাডম্যান’ করতে রাজি হলেন কেন?
উ: আর বালকি আমাকে যখন ব্রিফ করেছিলেন, তখন বুঝি বিষয়টা নিয়ে কত তথ্য আমার অজানা ছিল। দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের মেনস্ট্রুয়েশন নিয়ে কোনও ধারণাই নেই। মোটে ১২ শতাংশ স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন, আর ৮ শতাংশ কাপড় বা ছাই ব্যবহার করেন। এই তথ্যগুলো চোখের সামনে আসার পর আমার খুব মনখারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের দেশে কনডোমে ট্যাক্স নেই, কিন্তু স্যানিটারি ন্যাপকিনে জিএসটি দিতে হয়... ছবিটা না করলে হয়তো বিষয়গুলো এত পরিষ্কার হতো না।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে নিয়ে গসিপ হোক, সেটা চাই না’
প্র: এক সময়ে ‘থ্যাংক ইউ’, ‘প্লেয়ার্স’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছিলেন। ‘নীরজা’ থেকে কি কেরিয়ারের দিশা বদলে ফেললেন?
উ: ‘থ্যাংক ইউ’ যখন করেছিলাম, তখন আমার বয়স ২৪ বছর। তার পর দেড় বছরের ব্রেকও নিয়েছিলাম। আসলে তখন বয়স কম ছিল বলে অনেক কিছু বুঝতাম না। পরে বুঝি, আমার কাছে একজন সুপারস্টারের তকমাটার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ একজন ভাল অভিনেতা হওয়া। আব্বাস মস্তানের মতো মানুষ ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কমই আছেন, তবু আমি ‘প্লেয়ার্স’-এর মতো ছবিতে কাজ করতে পারব না বলেই ঠিক করে নিই। আমার বাবা সব রকম ছবিতে কাজ করেছেন। ওঁর সেই প্রতিভা আছে। আমার নেই। যখন আনন্দ এল রাইয়ের সঙ্গে ‘রাঞ্ঝনা’ করছিলাম, তখন তিনি শুধু ‘তনু ওয়েডস মনু’ বানানোর জন্য পরিচিত ছিলেন। কিন্তু সেটা আমার সিদ্ধান্তে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমি ওই সময়ে আরও বড় বাজেটের ছবি ফিরিয়েছিলাম। দৃঢ় ভাবে জানতাম, কী করতে চাই। এর পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
প্র: আপনার বিয়ে নিয়ে এত চর্চা... আর আপনিই মুখে কুলুপ এঁটেছেন!
উ: কারণ আমি সত্যিই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মিডিয়াকে কিছু বলতে চাই না। কেরিয়ারের প্রথম দিন থেকে এই নিয়মটা বানিয়ে নিয়েছিলাম। আমার বরং একটা প্রশ্ন আছে। রণবীর কপূরকে কেন জিজ্ঞাসা করেন না, ওর কবে বিয়ে হচ্ছে (হাসি)! আমাদের দেশে নায়িকাদেরই বেশি করে বিয়ের প্রশ্ন করা হয় কেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy