টানা দু’বছর হোটেলে থাকবেন বলে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন এক তরুণ। ঘরের ভিতর ঢোকার পর আর তাঁকে বাইরে বিশেষ দেখতে পেতেন না হোটেলের কর্মীরা। খাবার থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ডার করতেন অনলাইনেই। দু’বছর পর সেই হোটেল ছেড়ে চলে গেলেন তরুণ। সেই ঘর পরিষ্কার করতে গিয়েই মাথায় হাত পড়ে হোটেলকর্মীর। ঘরে যেন আবর্জনার পাহাড়। পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত নেই। ঘরের বিছানা থেকে শুরু করে আসবাবপত্র পর্যন্ত আবর্জনার স্তূপে ঢাকা পড়েছে। শৌচালয়ের অবস্থা আরও শোচনীয়। মেঝের উপর, বেসিনের চারপাশে ‘টয়লেট পেপার’-এর ছড়াছড়ি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘ডেফিয়ান্ট এল’এস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, হোটেলের ঘরের ভিতর চারদিকে আবর্জনায় ভর্তি। কোথাও খাবারের খালি প্যাকেট পড়ে রয়েছে, খালি বোতল পড়ে রয়েছে অজস্র। শৌচালয়ের দরজা খুলতেই বেরোচ্ছে বিকট গন্ধ। বেসিনের চারপাশ থেকে মেঝের উপর ছড়িয়ে রয়েছে ‘টয়লেট পেপার’। ‘দ্য সান’ সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি চিনের চাংচুন এলাকার একটি হোটেলে ঘটেছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, দু’বছর আগে এক তরুণ তাঁদের হোটেলে একটি ঘর বুক করেছিলেন। দু’বছর ধরে অধিকাংশ সময় ঘরের ভিতরেই ছিলেন তিনি। অনলাইনে জিনিসপত্র অর্ডার করলেও ঘরের ভিতর আবর্জনা জমিয়ে রাখতেন তরুণ। এমনকি, শৌচালয়টিও নোংরা করে রেখেছিলেন তিনি। হোটেলের তরফে জানানো হয়েছে যে, ঘরটি পরিষ্কার করার পর মেরামতির কাজও করতে হবে।
আরও পড়ুন:
তার পর অন্য ক্রেতাদের জন্য সেই ঘর উপলব্ধ করা হবে। তরুণ নাকি দশ দিনের ভাড়া না মিটিয়েই চলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ হোটেল কর্তৃপক্ষের। ভিডিয়োটি দেখে ঘৃণা প্রকাশ করে এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘বাবা রে! এই নোংরা ঘরের মধ্যে কী ভাবে থাকতেন? নিজের বাড়ি হলে কি এমন করতে পারতেন? ঘরের অবস্থা দেখে আমার গা গুলিয়ে উঠছে।’’