Advertisement
E-Paper

‘আড়াই মাস বউও আমার পাত্তা পায়নি’

এতটাই ব্যস্ত যিশু সেনগুপ্ত। তার ফাঁকে আনন্দ প্লাসের মুখোমুখি তিনি সুরিন্দর ফিল্মসের অফিসে যিশু সেনগুপ্ত পৌঁছনোর পর জনৈক কর্মচারী তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘গ্রিন টি আনব?’’ যিশুর উত্তর, ‘‘এ সব ঝামেলায় যেও না। ক্যাপুচিনো বলেছি আসছে। গ্রিনটি-ফিনটি স্টাররা খায়।’’ সে কথার সূত্র থেকেই শুরু হল আমাদের আড্ডা...

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৮ ০০:০৯
যিশু সেনগুপ্ত। —নিজস্ব চিত্র।

যিশু সেনগুপ্ত। —নিজস্ব চিত্র।

সুরিন্দর ফিল্মসের অফিসে যিশু সেনগুপ্ত পৌঁছনোর পর জনৈক কর্মচারী তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘গ্রিন টি আনব?’’ যিশুর উত্তর, ‘‘এ সব ঝামেলায় যেও না। ক্যাপুচিনো বলেছি আসছে। গ্রিনটি-ফিনটি স্টাররা খায়।’’ সে কথার সূত্র থেকেই শুরু হল আমাদের আড্ডা...

প্র: তার মানে আপনি স্টার নন?

উ: না। আমি অভিনেতা।

প্র: কিন্তু আপনার ব্যস্ততা তো কোনও স্টারের চেয়ে কম নয়।

উ: কী বলব! গত আড়াই মাস ধরে বউই আমার পাত্তা পায়নি। ডিসেম্বরে ‘মণিকর্ণিকা’র শুটিং থেকে শুরু এই ফেজ। তবে সৃজিত (মুখোপাধ্যায়) এই ছবিটার সঙ্গে ‘এক যে ছিল রাজা’র শুট অ্যাকোমোডেট করেছিল বলে, হিন্দি ছবিটা করতে পেরেছি। কিন্তু তার জন্য যে লম্বা সময় আমাকে ট্রাভেল করতে হয়েছে, সেটা ভাবতে পারিনি। এক সকালে রয়েছি মুর্শিদাবাদে। পর দিন ভোরে দিল্লি। সেখান থেকে বিকানির। ট্রাভেলিং ইজ বিন লাইক হেল! দুটো ছবির কাজ শেষ করে ইউএস গেলাম। পৌঁছে শুনলাম, একদিনের জন্য আবার ‘মণিকর্ণিকা’র শুটে যেতে হবে। হোলির দিন শুট প্ল্যান হল। কিন্তু ফ্লাইট লেট করায় সব ভেস্তে গেল। আলটিমেটলি যেটা হল, জয়পুর থেকে পাঁচঘণ্টা গাড়ি করে বিকানির পৌঁছে সোজা মেকভ্যানে। তার পর ওরা আমাকে হাতির উপর তুলে দিল (হেসে)। দু’ঘণ্টার একটা শুট করলাম। দোলটাও গেল। পরদিন রাতে বাড়ি ফিরলাম। তখন আমার এমন অবস্থা দিন না রাত, আমার ঘুমানো উচিত কি না, কিছুই বুঝতে পারছি না। পর দিন থেকে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর শুটিং শুরু হল। আমার মেয়েরাও আওয়াজ দিচ্ছে, ‘পাপা আজ শুটিং নেই?’ মাকে আর দিতে হচ্ছে না।

প্র: টানা শুটিংয়ের চাপে কাজে এনার্জি থাকে? রাগ হয় না?

উ: না, এই পরিশ্রমই কিপস মি গোয়িং। ‘ঘরে অ্যান্ড বাইরে’র সময় মৈনাক (ভৌমিক) আমার জন্য ডেট অ্যাডজাস্ট করেছিল। দিন কমানোর জন্য ডে-নাইট শুট করছিলাম। ‘এক যে ছিল রাজা’র জন্য ফিজিক্যালি এবং মেন্টালি যতটা খেটেছি, কুড়ি বছরের কেরিয়ারে বোধ হয় ততটা খাটিনি। রাত দুটোয় উঠে মেকআপে বসেছি। আড়াই ঘণ্টা মেকআপ। মাইনাস পাঁচ ডিগ্রিতে আমাকে ভিজতে হয়ছে। আর মেজাজ? উমম... গরম হয় না। কিন্তু একটা সময় খুব বাড়ি যেতে ইচ্ছে করত। তখন দেড় মাসে আমি বাইশটা বা চব্বিশটা ফ্লাইট নিয়েছি।

প্র: কিছু দিন পরই মুক্তি পাবে ‘ঘরে অ্যান্ড বাইরে’। এই লাভস্টোরির বিশেষত্ব কোথায়?

উ: কোনও লাভস্টোরি আলাদা হয় না। একটি পুরুষ এবং এক নারী, তারা কী ভাবে প্রেমে পড়ে, সেটাই গল্প। আমাদের এই ছবিটাও তাই। এটা কী ভাবে মৈনাক বলছে আর কী ভাবে অন্যরা, সেটাই ডিফারেন্স। আর দর্শকও বোকা নয়। আলাদা বললে কি আলাদা হবে? এটা অমিত আর লাবণ্যর খুব মিষ্টি একটা প্রেমের বা বন্ধুত্বের গল্প, এর সঙ্গে নতুন জেনারেশন নিজেদের খুব একাত্ম করতে পারবে।

আরও পড়ুন: জন্মদিনে আলিয়ার প্ল্যান কী?

প্র: কোয়েলের সঙ্গে বোধহয় দশ বছর পর কাজ করলেন...

উ: হ্যাঁ। কোয়েলের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ও ফিল্মে আসার আগে থেকে। ও মাধ্যমিক দিয়ে কালিম্পং গিয়েছিল রঞ্জিতকাকুর সঙ্গে। আমি শুটিংয়ের কারণে ওখানে ছিলাম। আমাদের এত ছোট ইন্ডাস্ট্রি এখানে কাজ আর বন্ধুত্বকে আলাদা করা যায় না। শুটের সময় আমরা প্রচণ্ড মজা করে কাজ করি। এমন নয় যে, আমি শটের আগে হঠাৎ খুব সিরিয়াস হয়ে গেলাম। খুব সিরিয়াস দৃশ্য হলেও আমি ওটা পারি না। শি ইজ মোর লাইক মি।

প্র: আপনি টলিউডের একমাত্র হিরো যিনি বলিউডে কঙ্গনা, দীপিকা, রানি, তব্বু, বিপাশা, প্রীতি বলিউডের প্রথম সারির নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন...

উ: (প্রশ্ন শেষ করার আগেই) সুস্মিতা সেনের সঙ্গেও করেছি। আর ওটা ভুলতে পারব না। মিস ইউনিভার্স!

প্র: কেন? বিশেষ কোনও স্মৃতি?

উ: বাঙালি, বদ্যি এবং বাঙাল। অ্যান্ড শি ইজ আ ভেরি ভেরি নাইস লেডি। তবে সব নায়িকার সঙ্গেই আমার খুব ভাল এক্সপিরিয়েন্স।

প্র: ‘মণিকর্ণিকা’য় কঙ্গনার সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?

উ: এই ছবিটা কঙ্গনার। আমি ওর হাজব্যান্ড গঙ্গাধর রাওয়ের ভূমিকায়, যিনি মারা যান। প্রথম শেডিউলে ও হয়তো ভেবেছিল, আমি কে, কোথা থেকে এসেছি! কারণ এই ছবির জন্য অনেক বড় বড় নাম ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তার পর শি ওয়াজ ভেরি নাইস টু মি এবং কঙ্গনা খুব উইটি।

প্র: এ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগটা এল কী ভাবে?

উ: ছবির পরিচালক ক্রিশ, তেলুগু ছবির খুব নামী পরিচালক। উনি আমাকে চিনতেন ২০১১ থেকে। মহেশবাবু আর আমাকে নিয়ে একটা ছবি তৈরির কথাও ভেবেছিলেন। উনি আমাকে চিনেছিলেন ঋতুদার ছবি থেকে। নীতা লুল্লাও আমাকে আগে থেকে চিনতেন... সব মিলিয়েমিশিয়ে হয়ে গিয়েছে।

প্র: এখন তো কিছু দিনের জন্য বাড়িতে রয়েছেন। কী করছেন?

উ: বাড়ি বানানোয় হেল্প করছি। খুব ভুল হয়ে গিয়েছে একটা পাঁচতলা বাড়ি বানিয়ে। বাড়িতে প্রচুর দায়িত্ব। যেটা পুরো নীলাঞ্জনা দেখছে।

প্র: আর আজ জন্মদিনে নীলাঞ্জনার কোনও প্ল্যান নেই?

এত চাপের পর আর কিচ্ছু না। ফ্যামিলির সঙ্গে ডিনার, ব্যস।

Jisshu Sengupta যিশু সেনগুপ্ত Tollywood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy