Advertisement
E-Paper

‘নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি’

বলছেন রুদ্রনীল ঘোষ। কেন? অভিনেতার কাছ থেকে জেনে নিল আনন্দ প্লাসবলছেন রুদ্রনীল ঘোষ। কেন? অভিনেতার কাছ থেকে জেনে নিল আনন্দ প্লাস

অন্তরা মজুমদার

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৬
রুদ্রনীল

রুদ্রনীল

প্র: বাংলা ছবিতে এখনও হিরো হওয়ার জন্য ভাল চেহারার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলুন?

উ: আমাদের সমাজে ভাবনার এক একটা বাক্স তৈরি করে দেওয়া হয়। বাস্তবে দেখবেন, আমার মতো গায়ের রঙের মানুষদেরই বেশি টাকা। কিন্তু সিনেমায় সব ধনীই ফর্সা! তবে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। বাংলা ছবিতে আমি, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়... এই চার জনকে দিয়ে যে কোনও চরিত্র করিয়ে নেওয়া যায়। অন্য দিকে দেখুন, যিশু (সেনগুপ্ত) হল ওয়ান অব দ্য ফাইনেস্ট অ্যাক্টর্স। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় এত ভাল দেখতে যে, ওকে খারাপ চেহারা করতে প্রস্থেটিকের সাহায্য নিতে হয়! আসলে অভিনেতা হিসেবে আমাদের তো যে কোনও চরিত্রকেই রঙিন পর্দায় ফুটিয়ে তোলা কাজ। কারণ সারা দিন চাষবাস করা, কারখানায় কাজ করা মানুষ, যাঁদের পোশাকে-চুলে-জীবনে কোনও রং নেই— তাঁরাও দেখবেন। আবার খবরের কাগজে চার-এর পাতা পড়া, বইমেলায় গিয়ে কঠিন সব নামের বই খোঁজা মানুষরাও দেখবেন।

প্র: লুক নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করছেন ইদানীং...

উ: শুরু হয়েছে ‘ব্যোমকেশ গোত্র’ দিয়ে... ‘ভিঞ্চিদা’ পর্যন্ত চলছে। প্রস্থেটিক লাগিয়ে এমন টানাটানি করতে হচ্ছে যে, ওয়্যাক্সিং করতে গেলেও বোধহয় অত ব্যথা লাগে না! ‘থাই কারি’তেও দেখবেন চুলে রং-টং করে বিদেশি বাঁদরের মতো লাগছে আমায়! এক নামী ব্যক্তিত্ব বলেছিলেন, শিল্পীর জীবনে ভুরুর চুল ছাড়া বাকি সব চুল পরিচালকের! আমি বড়দের কথা মেনে নিয়েছি।

প্র: নতুন কোনও ছবি করছেন নাকি?

উ: ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় একটা থ্রিলার করছে। সোনাদা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির বাইরে। সেখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র করছি।

প্র: ‘থাই কারি’র বিষয় কী?

উ: তিন জন বন্ধু তাইল্যান্ডে মজা করতে গিয়ে একটা বিপদে জড়িয়ে পড়ে। তার পরে যা যা হয়, সেগুলোকে অনেকেই ননসেন্স বলতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয়, ননসেন্সের মধ্যেই অনেক রকম রিয়্যালিটি লুকিয়ে আছে। সেগুলোকেই কমেডির মোড়কে বলা হয়েছে ‘থাই কারি’তে। ছবিটা পুরোপুরি এন্টারটেনমেন্ট।

প্র: এই জাতীয় ছবি হলেই বাংলা ছবি তাইল্যান্ড-ব্যাংককে দৌড়য় কেন বলুন তো?

উ: দেখুন, একটা সময়ে বাংলা সিনেমায় ‘নাচানাচি’ করার জন্য লোকে তাইল্যান্ডে যেত। ‘চ্যাপলিন’-এর জন্য একটা অ্যাওয়ার্ড নিতে ব্যাংককে গিয়েছিলাম। তখনই ‘বাই বাই ব্যাংকক’-এর প্রযোজক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওখানে। প্রচুর ভারতীয় দেখেছিলাম তখন। শান্তিতে অসভ্যতা করার জন্য ওখানে পৌঁছে যান তাঁরা। যা যা করলে বাড়িতে ‘ইশশ’ বলবে, সেগুলো করেন। এই ছবির চরিত্রদেরও সেগুলো করার একটা জায়গা দরকার ছিল বলে চিত্রনাট্যে তাইল্যান্ড রয়েছে।

প্র: নতুন ফ্ল্যাটে শিফট করছেন?

উ: কাজ চলছে এখনও। লোকেশনটা খুব ইন্টারেস্টিং! দক্ষিণ কলকাতার এক স্টুডিয়োর ঠিক উল্টো দিকে। ওই স্টুডিয়োয় কেরিয়ারের প্রথম দিকে একটা ছোট্ট রোলের জন্য দেড়শো টাকা দেওয়া হয়েছিল আমাকে। আর একটা কুকুরকে দেওয়া হয়েছিল আটশো টাকা! ওই স্টুডিয়োর উল্টো দিকে ফ্ল্যাটটা নিতে পেরে খুব খুশি হয়েছিলাম।

ছবি: সুপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়

Rudranil Ghosh Indian actor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy