Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

পুজোয় রিলিজ করল কিনা হাফ ডজন বাংলা ছবি!

পুজোয় রিলিজ করল কিনা হাফ ডজন বাংলা ছবি। যার দু’টো গুরুত্বপূর্ণ ছবিতে তিনি। যিশু সেনগুপ্ত। মুখোমুখি ইন্দ্রনীল রায়।তাঁর পুরো বাড়িতে পুজো পুজো ভাব। দুই মেয়ে সারা আর জারা, পুজোয় কেনা সালোয়ার-কামিজ আর ফ্রক এক এক করে দেখিয়ে যাচ্ছে বাবা-কে। এর মধ্যেই চলছে আবদারও। বড় মেয়ের চাই স্কেটিং বোর্ড যার নতুন নাম হভার বোর্ড। ছোট মেয়ের চাই ডল’স হাউজ। তার মধ্যেই ব্যোমকেশের সঙ্গে শুরু হল আড্ডা...

ছবি: সুব্রত মন্ডল

ছবি: সুব্রত মন্ডল

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

তাঁর পুরো বাড়িতে পুজো পুজো ভাব। দুই মেয়ে সারা আর জারা, পুজোয় কেনা সালোয়ার-কামিজ আর ফ্রক এক এক করে দেখিয়ে যাচ্ছে বাবা-কে। এর মধ্যেই চলছে আবদারও। বড় মেয়ের চাই স্কেটিং বোর্ড যার নতুন নাম হভার বোর্ড। ছোট মেয়ের চাই ডল’স হাউজ। তার মধ্যেই ব্যোমকেশের সঙ্গে শুরু হল আড্ডা...

পুজোতে কী করছেন ব্যোমকেশ বক্সী?

পুজোয় ব্যোমকেশ বক্সী তার পুরনো পাড়ায় থাকবে। সেখানে সপ্তমীতে চলবে ঢাক বাজানো। অষ্টমীতে পাড়ার সবাইকে ভোগ বিতরণ। সন্ধেবেলা আমার দুই মেয়েকে নিয়ে ধুনুচি নাচ। এ ছাড়া সারাদিন পার্টি তো আছেই সত্যান্বেষীর...

এত সত্যান্বেষী সত্যান্বেষী করছেন, বলুন তো সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন গার্লফ্রেন্ড কে?

(হেসে) আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন? আনন্দplus-এর থেকে বড় কোনও ডিটেকটিভ নেই টালিগঞ্জে! আপনারা জানেন না সৃজিতের গার্লফ্রেন্ড কে?

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের কেস আমরা আর নিচ্ছি না...

(হাসি) হ্যাঁ, ব্যোমকেশও ঠিক বুঝতে পারছে না। ও ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড উইনিং ডিরেক্টর। তার ওপর মুম্বইতে ছবি করছে আজকাল। আপনাকে ব্যোমকেশ যা বলতে পারে তা হল, মাঝখানে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পদবী বদলে ‘ভট্ট’ করতে পারে এমন খবর এসেছিল। (হাসি) এটা পড়লে ব্যাটা আমাকে মেরেই ফেলবে।

একটু সিরিয়াস হওয়া যায়?

(হাসতে হাসতে) হ্যাঁ, হ্যাঁ, বলুন...

ছ’টা ছবি রিলিজ করছে পুজোয়। একটু আলোকপাত করবেন তাদের ওপর প্লিজ...

আবার এ সব কেন? আমি আমার ‘ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা’ নিয়ে কথা বলতে পারি। এটা আমার সোলো রিলিজ, তাই বেস্ট অব লাক যিশু সেনগুপ্ত। যে দর্শকেরা গত বছর পুজোতে আমার ব্যোমকেশ দেখে ছিলেন, তাদের বলব, এই পুজোতেও ব্যোমকেশ মিস করবেন না।

এক বছরে তো সব কিছু বদলে গেল। গত পুজো থেকে এ পুজো আপনার জীবনের অন্যতম সেরা বছর তো ...

টাচউড। ইট ওয়াজ আ ব্রিলিয়ান্ট ইয়ার। গত বছর ‘ব্যোমকেশ’ সুপারহিট হল। আমি যা শুনেছিলাম পার্সেন্টেজের হিসেবে গত বছর পুজোয় যে ক’টা ফিল্ম রিলিজ হয়েছিল তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হিট ছিল আমার ছবি। আজকাল এ সব ‘পার্সেন্টেজ-ওয়াইজ’ বলতে হয়, কারণ ইকোনমিস্টরা আছেন চারপাশে (হাসি)।

‘রাজকাহিনী’তে ‘কবীর’‌য়ের চরিত্রে তো দারুণ নাম হয়েছিল...

হ্যাঁ, দ্যাট ওয়াজ অলসো হিউজ। তারপর বেঙ্গল ক্রিকেট লিগ করলাম। তাতে আমার টাকা ডুবেছে কিন্তু টুর্নামেন্টটা দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। পরের বছরের শুরুতে আবার করব। তা ছাড়াও মেনস্ট্রিম ছবি করলাম। সেখানে হিরোইনের সঙ্গে পাটায়ার বিচে নাচলাম। লোকের পছন্দও হয়েছিল ছবিটা।

ব্যোমকেশ: যিশু সেনগুপ্ত

আপনার প্রতি লোকের দৃষ্টিভঙ্গিও পাল্টেছে এই এক বছরে?

অবশ্যই পাল্টেছে। আগে যিশু বললেই লোকে বলত, ‘ভাল ছেলে, কিন্তু চলে না বস’। এখন লোকে সিরিয়াসলি নিচ্ছে দেখছি। এ ছাড়া টেলিভিশন তো ছিলই। এর মধ্যেই জি-র সারেগামাপা অভাবনীয় সাফল্য পেল। এই পুজোতে আবার ‘ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা’ রিলিজ। গড হ্যাজ বিন কাইন্ড।

ফর্ম এতটাই ভাল এখন আপনার ইনসাইড এজও চার হয়ে যাচ্ছে। ‘হেমন্ত’ ফ্লপ করল, কিন্তু আপনার অভিনয়ের প্রশংসা হল...

আমি ‘হেমন্ত’ করতে চাইনি প্রথমে। পরম, অঞ্জনদা জানে সেটা। অঞ্জনদাকে বলেছিলাম, আমি তোমার ব্যোমকেশ, তুমি আমাকে সেকেন্ড লিড দিলে? কিন্তু পরে বুঝেছি হোরাশিওর ক্যারেকটারটা যে ভাবে লেখা হয়েছে তাতে আমার অনেকটা স্কোপ আছে। আর অঞ্জন দত্তর কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ, আমাকে ব্যোমকেশের মতো চরিত্র অফার করার জন্য। তাই ‘হেমন্ত’ করেছিলাম।

চলল না তো ছবিটা?

ওটা রিলিজের আগে বেশি শেক্সপিয়র, শেক্সপিয়র করা হয়েছিল বলে চলেনি। এটা আমার অ্যাসেসমেন্ট। ফিল্ম শুরুর আগে যদি একটা লাইন থাকত, ‘অ্যাডপ্টেড ফ্রম হ্যামলেট’ তা হলে লোকে অত কিছু না ভেবে দেখতে যেত।

আবার আপনার ফর্মের কথায় ফিরছি। সতেরো বছর পর ফর্ম ফিরে পেয়ে ব্যাটসম্যান যিশু-র কী স্ট্র্যাটেজি ফর্ম ধরে রাখার?

কোনও স্ট্র্যাটেজি নেই। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ও সব স্ট্র্যাটেজি কাজ করে না। ‘লোহা গরম হ্যায় মার দো হাতোড়া’ লজিকটা আমার মনে হয় এখানে খাটে না।

আমি বিশ্বাস করি সতেরো বছরে যদি লোহা গরম হল, তা হলে ধরে খেললে সতেরো বছর পরেও সেটা গরমই থাকবে। বরং চালিয়ে খেললে ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে সব।

আপনার এই সতেরো বছরের স্ট্রাগলটা তো যে কোনও মানুষের শিরদাঁড়া ভেঙে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট ছিল।

(গম্ভীর হয়ে) হ্যাঁ, স্ট্রাগলটা অসম্ভব ছিল। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি কোনও দিন। আমি যখন দেখলাম আমার ফিল্ম চলছে না, আমি টিভিকে আঁকড়ে ধরলাম। তারপর নীলাঞ্জনা এল। ওকে যখন বিয়ে করেছি তখন ওর নিজের লোখণ্ডওয়ালা-তে ফ্ল্যাট, আমার ভাড়া বাড়ি। রাতে লর্ডসের মোড়ের সবচেয়ে খারাপ দোকানের তরকা-রুটি খেতাম। বাড়িতে শুধু একটা তোষক ছিল। নীলাঞ্জনা প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর প্রথম খাট কিনি। অদ্ভুত দিন ছিল সেগুলো। আজকে যখন মার্সেডিজ-এর স্টিয়ারিংটা ধরি, তখন মনে হয় সিনেমা।

এই স্ট্রাগল-এর সময় প্রসেনজিৎ কী জিৎ-এর সঙ্গে কোনও দিন আলোচনা করেননি? দু’জনেই তো আপনাকে খুব ভালবাসে।

না, নেভার। আমার সব সময় এটা মনে হত, এটা আমার নিজের স্ট্রাগল। কাউকে বলে কী হবে?

আবার ‘ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা’–তে ফিরছি। গত বছর তো কারও এক্সপেক্টেশন ছিল না। এবারে তো রান করার প্রেশারও থাকবে...

হ্যাঁ, থাকবে। প্রেশারটা আছেও। এবারও কিন্তু সেম মাঠ। গত বছর মাঠে যে প্লেয়াররা ছিল এ বারও প্রায় তারাই আছে। সুতরাং মাঠটা আমার চেনা। কভারে কে দাঁড়াবে, মিড অনে কে সেটা মাপা আছে। এ বারে অন্য একটা প্রবলেম আছে। আম্পায়াররা বদলে গেছে...

মানে?

মানে, ‘চিড়িয়াখানা’ করেছি তো। লেগ আম্পায়ার হিসেবে সত্যজিৎ রায় রয়েছেন, মেন আম্পায়ার উত্তমকুমার।

সেটা তো হিউজ প্রেশারও?

হ্যাঁ, প্রেশার তো বটেই। আমি বিশ্বাস করি দর্শক এত বোকা নন যে, তাঁরা তুলনা টানবেন আমার সঙ্গে উত্তমকুমারের। আমি যে তাঁর নখের যোগ্যও নই, সেটা আমিই সবচেয়ে ভাল জানি। আমরা একটা ছবি বানিয়েছি যেটা আমি মনে করি অঞ্জন দত্তর বেস্ট ‘ব্যোমকেশ’। টেক্সটের ভীষণ কাছাকাছি ছবিটা। শুধু

তাই নয়, আমরা ব্যোমকেশকেও বদলেছি। এখানে ব্যোমকেশ ঝগড়া করছে অজিতের সঙ্গে। কাঁদছে একা একা। আমার মতে দর্শক দারুণ এনজয় করবে। এ ছাড়াও একটা জিনিস আছে...

কী?

এ বারে তো অনেক ছবি রিলিজ করছে। কেউ বলছে রুদ্র-কাঞ্চন জুটি ভাল করবে, কেউ বলছে জিৎ-শুভশ্রী। ভাই, আমি এখানে একটা কথা বলছি। এ বারে পুজোতে কিন্তু সবচেয়ে বড় জুটির নাম হবে যিশু সেনগুপ্ত আর শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ব্যোমকেশ ও অজিত। আমি কনফিডেন্ট, ফিল্মগুলো দেখার পর দর্শক সেটাই বলবে।

এতটাই কনফিডেন্ট ?

ইয়েস। আর আমার আর অপুদার কেমিস্ট্রিটা যে অপুদা আর আবীরের থেকে ভাল সেটা অপুদা নিজেও বলে। সেটার কারণ বোধহয় আমি ছোটবেলা থেকে অপুদাকে চিনি বলে। সেই অ্যাডভান্টেজটা আবীর পায়নি।

(এর মধ্যেই আবার ফোন এল। ওপারে সৃজিত মুখোপাধ্যায়। প্রচারে যাওয়ার জন্য চলছে দর কষাকষি। ‘‘ঠিক আছে, তুই বাড়ি আয় না। তারপর কথা বলছি,’’ বলে ফোন কাটলেন যিশু)

কী বলছেন সৃজিত?

কী আবার বলবে? প্রচারে যেতে বলছে। আমি না পাগল হয়ে যাব ওকে নিয়ে। আমি কেন, সব অভিনেতারাই পাগল হয়ে যাবে। বুম্বাদাও সে দিন বলছিল, ‘‘সৃজিত কিন্তু প্রোমোশন নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। ওকে থামা।’’

থামাতে পারলেন আপনারা?

না, না। ও থামার ছেলে নাকি? দেখুন, সৃজিত মুখোপাধ্যায় আমার দেখা সবচেয়ে সেলফিশ ডিরেক্টর। এটা আমি ওকে অ্যাডমায়ার করেই বলছি। নিজের নাম, ‘আ ফিল্ম বাই সৃজিত মুখোপাধ্যায়’ লাইনটা যেখানে জড়িয়ে আছে, সেখানে ও সাঙ্ঘাতিক সিরিয়াস। তখন ওর কাছে

কোন অ্যাক্টর কী ভাবল সেটা ম্যাটার করে না। যে ভাবে ও লেগে থাকে একটা ছবি নিয়ে সে ভাবে কেউ থাকে না। আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় (হাসি)।

‘ব্যোমকেশ’‌য়ের তো তেমন প্রচারই নেই?

(ম্লান হাসি) ওটা আমাদের স্ট্র্যাটেজি।

আপনাদের ‘ব্যোমকেশ’ অনেকটা ওয়ার্ল্ড কাপের নিউজিল্যান্ডের মতো। হিসেবের বাইরে থাকে, তবে সেমিফাইনালে বড় টিমকে হারিয়ে ঠিক চলে যায়। ফাইনালেও জিতে যেতে পারে।

ভাল তো। লোকের এক্সপেক্টেশন থাকলেও, সেটা সাঙ্ঘাতিক নয়। অনেক ফ্রিলি খেলতে পারি আমরা। চাপ তো বড় টিমগুলোর।

একটা কথা বলুন, এই যে চুপচাপ থেকে গত বছর ‘ব্যোমকেশ’ হিট করালেন। এই স্ট্র্যাটেজি কে শেখাল...

(একটুও না ভেবে) মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ধোনির কাছে থেকেই শিখেছি যদি নিজের শটের ওপর কনফিডেন্স থাকে, তা হলে লং অন কী লং অফ থাকলেও ব্যাট চালাও। দশ বারের মধ্যে আটবার বল বাউন্ডারি ক্রস করবেই।

আজকে ছবি চলছে, লেক গার্ডেন্সে পাঁচ তলা বাড়ি বানাচ্ছেন। মার্সেডিজের এসইউভি কিনলেন। পুজোতে দু’টো ছবি। এই রকম একটা সময়ে ঋতুপর্ণ ঘোষকে কতটা মনে পড়ে?

রোজ মনে পড়ে। প্রত্যেক দিন। কী খুশিই না হত ঋতুদা। আর যাই না তো ঋতুদার বাড়ির সামনে দিয়ে। আগে কোথাও যাওয়ার আগে পাঁচ মিনিট গাড়ি ঘুরিয়ে ঋতুদার সঙ্গে দেখা করে আসতাম। আজকাল ওই গলির দিকেই তাকাই না। এতটাই মিস করি।

শুধু ঋতুদা কেন, মা-বাবাকেও খুব মিস করি। আজ লেক গার্ডেন্সে পাঁচ তলা বাড়ি বানাচ্ছি, একটা ফ্লোরে তো আমার মা-বাবা থাকতে পারত? পারল কই! টিকিট কেটে মা-বাবাকে বিদেশে পাঠাতে পারতাম তো! পারলাম কই? এই তিনজন মানুষকে খুব মিস করি। মা, বাবা, ঋতুদা — ইন দ্যাট অর্ডার। রোজ চোখে জল আসে। কিন্তু কী করা যাবে? লাইফ ইজ লাইক দ্যাট।

একটা কথা জিজ্ঞেস করি। আপনি তো ঋতুপর্ণ ঘোষের কাছের ছিলেন। কিন্তু কেরিয়ারে তো সৃজিত মুখোপাধ্যায় আপনাকে যে চরিত্র দিয়েছেন সেটা ঋতুপর্ণ ঘোষের দেওয়া চরিত্রদের থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

ইয়েস। মানছি সেটা। কিন্তু ঋতুদার ঘরানাটা আলাদা ছিল। সৃজিত অনেক বেশি পপুলার ছবি বানায়। সৃজিত একটা ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে, পাশাপাশি ঋতুদার কটা ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড রয়েছে দেখুন। সৃজিতের ছবি ফেস্টিভালে গেছে, কিন্তু ঋতুদার ছবি ক’টা ফেস্টিভালে গেছে গুগল করলেই দেখতে পাবেন।

অন্য দিকে কোনও সন্দেহ নেই সৃজিতের বক্স অফিস সাফল্য অনেক বেশি ঋতুদার থেকে। এগুলো বলছি কারণ দুজনের ঘরানাটা আলাদা। সৃজিতের ঘরানাটা অভিনেতাকে অনেক বেশি মানুষের কাছে পপুলার করবেই। ঋতুদারটা একটা গোষ্ঠীকে। আর সৃজিতের সঙ্গে ঋতুদার তুলনা করাটা উচিত নয়। সৃজিত আমার বয়সি, ঋতুদা আমাদের থেকে দশ বছরের বড় ছিল। সময়টাও আলাদা ছিল।

এই যে বিরসা দাশগুপ্ত আর সৃজিতের ঝগড়়া হল, ফেসবুক-এ লেখালেখি হল, সেটা আপনি অ্যাপ্রুভ করেন?

একদম করি না। ঝামেলাটা বাড়ছিলই প্রত্যেক দিন। তবে আমি মনে করি সৃজিতের রিঅ্যাক্ট করাটা উচিত হয়নি। সৃজিত ২০১০ থেকে ছবি বানাচ্ছে। প্রত্যেক বছর ওর ছবি হিট হয়েছে। ও কেন রিঅ্যাক্ট করতে যাবে বিরসার কথায়? আমার কথা হল, এ সব করে কী লাভ হচ্ছে আমাদের? হল ভরছে কি বাংলা ছবির? ভরছে না তো। তা হলে কীসের ঝগড়া? শুধু ইউটিউব হিট নিয়ে ঝগড়াটা ছেলেমানুষি।

এটা কি সতেরো বছরের অভিজ্ঞতা কথা বলছে?

হান্ড্রেড পারসেন্ট। মানছি ডিজিটাল আর ইউটিউবটাই ভবিষ্যৎ। কিন্তু ইউটিউবে হিট হলেই কি প্রোডিউসার টাকা ফেরত পাচ্ছে? পাচ্ছে না তো। তা হলে এত মাতামাতি কেন? বক্স অফিসে একটাই জিনিসের ভ্যালু আছে, কনটেন্ট।

অজিত: শ্বাশ্বত

পুজোয় ছ’টা ছবি রিলিজের ব্যাপারটা নিয়ে কী বলবেন? ঠিক সিদ্ধান্ত?

একদমই না। আই অ্যাম এগেনস্ট ইট। ম্যাক্সিমাম তিনটে ছবি রিলিজ হলে ভাল হতো। এই নিয়ে প্রোডিউসাররা নিজেদের মধ্যে না বসলে এক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতিও হবে কিন্তু।

আপনি বেশ পলিটিশিয়ানদের মতন কথা বলছেন। এ বারে ইলেকশনের সময় তৃণমূলের প্রচুর র‌্যালিতেও গিয়েছিলেন?

সে তো আগেই গিয়েছিলাম।

তার মানে ভবিষ্যতে রাজনীতিতে যেতে পারেন আপনি?

(হাসি) আমি সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা আমি কোনও দিন ভাবিনি, আজকেও ভাবছি না।

ভবিষ্যতের কথা হয়তো ভাবেন না, কিন্তু পুজোর পরে ছুটিটা তো প্ল্যান করে নিয়েছেন?

(হাসি) ইয়েস, বারো তারিখ নীলাঞ্জনা আর আমি দুই মেয়েকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা যাচ্ছি। কোন ছবি কেমন চলল, ‘ব্যোমকেশ’‌য়ের কী হল সব খবর নেব বিচে বসে। হোয়াইট রাম খেতে খেতে...

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE