এই প্রথম উদয়শঙ্করকে নিয়ে ডকুমেন্টারি। এই তথ্যচিত্র কেবলমাত্র এক নৃত্যশিল্পীর জীবনের কথা বলবে না। বরং চিত্র পরিচালক উদয়শঙ্করের শিল্প ও সৌন্দর্যতত্ত্বকে খোঁজা হয়েছে এই তথ্যচিত্রে।
১৯৪৮-এ উদয়শঙ্কর পরিচালনা করেছিলেন ‘কল্পনা’। কী ভাবে একজন চিত্রশিল্পী পরিচালনায় এলেন, কী ভাবে তাঁর ফ্যান্টাসির ক্যানভাসে ধরা থাকল ভারতের নৃত্যের ইতিহাস— সেটাই ছবির মূল বিষয়। বিংশ শতকে ‘কল্পনা’র মধ্যে তিনি ধরে রেখেছেন শ্যাডো ডান্স, সোর্ড ডান্সের মতো আধুনিক নৃত্য। আবার কথাকলি, মণিপুরি, ভরতনাট্যমের মতো ধ্রুপদী নাচও।
কোন নাচ কী ভাবে তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল? সেই সময়ে দাঁড়িয়ে ‘কল্পনা’য় তিনি কেনই বা রোবটের ছবি এঁকেছিলেন? এই সব সূত্রই খুঁজে বেরিয়েছেন তথ্যচিত্রের পরিচালক দিশারী চক্রবর্তী ও সুকল্যাণ ভট্টাচার্য। সুকল্যাণ বললেন, ‘‘কাজটা করতে গিয়ে নৃত্যশিল্পী হিসেবে পণ্ডিত উদয়শঙ্করকে নতুন করে চিনছি। আজ আমরা অনর্থক জ্যাজ, ব্যালে, সালসার পিছনে ছুটে চলি। অথচ নিজেদের দেশের ডান্স ফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি না। পণ্ডিতজি কিন্তু ‘কল্পনা’তে সেই ফর্মগুলোকেই ধরে রেখে গিয়েছেন।’’ কিন্তু এই তথ্যচিত্রে উদয়শঙ্করকে কী ভাবে দেখা যাবে? তথ্যচিত্র পণ্ডিতজির পজিটিভ স্পিরিটটা ধরতে চেয়েছে। অমলাশঙ্করকেও জানানো হয়েছে এই সম্পর্কে। ‘‘আমরা কেউ কোনও দিনই উদয়শঙ্করের চরিত্রে অভিনয় করতে পারব না। তাই এখানে সিল্যুয়েটে বা কখনও প্রোফাইল শটে, আলোছায়ায় পণ্ডিতজির উপস্থিতিটা বোঝানো হয়েছে,’’ বললেন সুকল্যাণ। জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে খুব শিগ্গিরই দেখানো হবে ভারত সরকারের সহায়তায় তৈরি এই তথ্যচিত্র। ছবিতে উদয়শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy