Advertisement
E-Paper

গাঁধীবাদের নীতিপাঠ

ছবির অনেকটা অংশ জুড়েই ট্রেনের সফর। কিন্তু ট্রেনের বাইরের দৃশ্যে পট পরিবর্তন নেই! ঘটনার চেয়েও কথোপকথনের মধ্য দিয়ে গল্প এগোয় বলে একঘেয়েমি আসে। কিছু কিছু দৃশ্য অতিনাটকীয়।

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৮ ০০:১৮

এ এক অন্য ভারত! সদ্য স্বাধীন সূর্য দেখা গাঁধীর ভারত। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ধিকি ধিকি আগুনে জ্বলতে থাকা পরস্পর-বিরোধী মতাদর্শের ভারত! ছবির টাইমলাইন ১৯৪৮। তা বলে কি সত্তরোধর্ব গণতন্ত্রে সেই সময়ের কোনও ছাপ নেই? রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে বলেই না পরিচালক নইম সিদ্দিকি তাঁর প্রথম ছবি ‘হামনে গাঁধী কো মার দিয়া’ বানিয়েছেন। ছবির নাম দেখে যদি মনে হয়, গাঁধী-হত্যা পর্ব নিয়ে রাজনৈতিক কচকচানি রয়েছে, তা হলে ভুল ভাবছেন। ছবির বিষয় সহজ। যেখানে অনুঘটকের কাজ করেছে গাঁধীর নাম। এক গাঁধী-বিদ্বেষীর মনের পরিবর্তন, ট্র্যাজেডি ও সর্বোপরি গাঁধীর আদর্শে পথ চলা শুরুর গল্প বলায় পরিচালকের সৎ ইচ্ছে থাকলেও, ছবি বানানোর মুনশিয়ানায় ঘাটতি চোখে পড়ে।

ছবির অনেকটা অংশ জুড়েই ট্রেনের সফর। কিন্তু ট্রেনের বাইরের দৃশ্যে পট পরিবর্তন নেই! ঘটনার চেয়েও কথোপকথনের মধ্য দিয়ে গল্প এগোয় বলে একঘেয়েমি আসে। কিছু কিছু দৃশ্য অতিনাটকীয়। তবে মুখ্য চরিত্রে যতীন গোস্বামী, সুব্রত দত্ত, সমীক্ষা ভাটনগরের কাজ প্রশংসনীয়। গানের ব্যবহার অতিরঞ্জন। আরও বড় সমস্যা যে, নীতিবোধ, আদর্শের কথা বলা হয়, তার নেপথ্যে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর বদলে অন্য কারও নাম থাকলেও কোনও ক্ষতি হতো না।

হামনে গাঁধী কো মার দিয়া

পরিচালনা: নইম সিদ্দিকি

অভিনয়: সুব্রত দত্ত,
যতীন গোস্বামী, সমীক্ষা ভাটনগর

৪/১০

তবে দেশে উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা অসহিষ্ণুতা ও অস্থিরতার মুহূর্তে গাঁধীর আদর্শের কথা মনে করিয়ে দেওয়াও জরুরি। পরিচালক হয়তো সেটাই করতে চেয়েছেন।

Hamne Gandhi Ko maar Diya Bollywood Hindi Film
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy