Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment News

বান্ধবীরা বলে আমার দ্বারা প্রেম হবে না, বলছেন আবীর

ইন্ডাস্ট্রিতে ন’বছর রাজত্ব করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়।ছেঁড়া জিনস, পিঙ্ক টি শার্ট আর টকটকে লাল টুপি! দেখে মনে হল এ কোন ব্যোমকেশ! মোবাইলে‘বিদায় ব্যোমকেশ’-এর ট্রেলর দেখতে দেখতে বললেন, ‘‘শুরু করুন, যা যা অস্ত্র আছে বার করুন।আমি প্রস্তুত!’’ অভিনেতা নয়, ছিপছিপে কলেজ ছাত্র আবীর চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ইন্ডাস্ট্রিতে ন’বছর রাজত্ব করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়।ছেঁড়া জিনস, পিঙ্ক টি শার্ট আর টকটকে লাল টুপি!

আবীর চট্টোপাধ্যায়।

আবীর চট্টোপাধ্যায়।

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৮ ০০:০২
Share: Save:

বেশ। একটু অস্ত্রহীন প্রশ্ন করি।হঠাৎ লাল টুপি? এ কি ব্যোমকেশ না আবীর?
আপাতত আবীর বা খুব অন্যরকম হলে ‘বিদায় ব্যোমকেশ’-এর সাত্যকি। তবে একরকমই আছি। আর পোশাকটা তো বেশ কিছুদিন হল অন্যরকম হয়ে গেছে আমার। আমি তো কর্পোরেট জগৎ থেকে এসেছিলাম।

এই যে সাত্যকি, ‘বিদায় ব্যোমকেশ’-এ ব্যোমকেশের নাতি...এর রেফারেন্স পেলেন কোথা থেকে?
সত্যি, এটা কী কঠিন ছিল ভাবুন! আমি বৃদ্ধ ব্যোমকেশের মেক আপ নিলাম। ওই মেক আপ নিতেই লাগত ঘণ্টা তিনেক।দিয়ে থাকতে হত। সকলের কল টাইম ৯টা তো আমার ৬টা। সবার প্যাক আপ হয়ে গেল আমার মেক আপ তুলতেইলম্বা সময়।

আপনি তো রেগেও যেতেন...
কুড়ি দিনে এরকম একটা শ্যুট।ঘাড় নাড়াতে পারতাম না ঘণ্টা তিনেক। স্ট্র দিয়ে খেতে হত সব লিকুইড খাবার। এই তো কাল ব্যোমকেশের একটা অংশের ডাবিং আছে। ভোর ৫টায় স্টুডিয়ো যেতে হবে। কারণ ওই সময়ে গলা ভারী থাকে। ব্যোমকেশের সব ডাবিং এ ভাবে হয়েছে! আমি ভোরে দাঁতও মাজতামনা। কথাও বলতাম না। পাছে গলার স্বর হালকা হয়ে যায়। এত চাপের মধ্যে একটু তো মেজাজ বিগড়োবে! এই ছবির সঙ্গে যুক্ত টলি ইন্ডাস্ট্রির টেকনিশিয়ানদের কুর্ণিশ। আমার ব্যোমকেশের মেক আপ যিনি করতেন সারাক্ষণ আমার সঙ্গে খাবার পর্যন্ত খেতেন না। আর দেবালয়ের সঙ্গে তো শ্যুট করতে করতে অনেক কিছু আবিষ্কার করেছি আমরা।

আরও পড়ুন, বরাবরই উচ্চাকাঙ্খী হাসিন, অফার এল বলিউডেরও

যেমন?
ব্যোমকেশ চা খাবে। মানে তার হাতটা দেখা যাবে। হাতের মেক আপ বেশিক্ষণ থাকে না। মেক আপ করেই শট নিতে হল। ব্যোমকেশের হাত দেখাতে প্রথমে ভাবা হয়েছিল আমায় ওয়্যাক্স করতে হবে। তাহলে সাত্যকির হাত? ঠিক হল ব্লিচ করব।অনেক প্রতিকূলতা ছিল।

আপনি ব্যোমকেশ আর আপনি তাঁর নাতি সাত্যকি! এদের মুখোমুখি দৃশ্য?
উফফ! ব্যোমকেশের ডায়লগ কিউ আছে, কিন্তু সাত্যকির কিউ কে দেবে? ভাবুন একবার! আমাকে আর দেবালয়কে সবটা হিসেব করে নিতে হত। মানে আমি ব্যোমকেশ হয়ে কী বলেছি? কতটা দম নিয়েছি।

আপনি বোর হয়ে যান না? মনে হয় না গোয়েন্দা হিসেবে টাইপকাস্ট...
একটা কথা শুনি। আমি ফ্র্যান্চাইজির ফাঁদে পড়েছি। এতগুলো ব্যোমকেশ, সোনাদা।আর ‘ফ্ল্যাট নাম্বার 609’ বলে যে ছবিটা আসছে, ওটা দেখলে আর আপনি এ কথা বলতে পারবেন না!


নতুন লুকে আবীর।


আবার বিসর্জনের সিক্যুয়েল ও তো হবে...
এগুলো দর্শকের চাহিদা থেকে তৈরি। আমি কী করব? তবে ‘বিদায় ব্যোমকেশ’যা শেখালো আমাদের তা আমার মনে হয় ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

আপনি ছাড়া আপনার মতে সেরা ব্যোমকেশ কে?
কে আবার? আমি! শুধু আমি!

কিন্তু এই যে শরদিন্দুর ব্যোমকেশের ছেলে, নাতি দেখানো হল। ছবিতে নাতি সরাসরি দাদুকে ‘তুমি কীসের সত্যান্বেষী’বলে চ্যালেঞ্জ করছে। এগুলো দর্শক মানবে?
প্রথম কথা, আমার দর্শকদের কাছে অনুরোধ প্লিজ জাজমেন্টের জায়গা থেকে ছবিটা দেখবেন না। আর ব্যোমকেশের ছেলের রেফারেন্স শরদিন্দু থেকেই নেওয়া। অন্যদিকে, আমাদের এটাও তো মনে হয় সুনীল গাওস্কর টি টোয়েন্টি খেললে কেমন খেলতেন? ঠিক তেমনই আজ ব্যোমকেশ বেঁচে থাকলে অসত্য, হিংসা আর খুনের পৃথিবীতে তিনি কেমন করে রিঅ্যাক্ট করতেন? ব্যাক্তি ব্যোমকেশকে দেখা যাবে এ বার।

আরও পড়ুন, চিনে রাখুন, ২০১৯-এ বলিউডের বড় পর্দায় বড় ভাবে আসছেন এঁরা


ব্যোমকেশ মোবাইল ধরলেন নাকি?
নাহ! মোবাইল ধরেননি। মোবাইল ধরিয়েই তো আর আজকের পৃথিবীকে বোঝা যায় না।মানসিকতাটা জরুরি। দুটো সময়কে একই ছবিতে ধরা। মানে সত্যবতী ব্যোমকেশের প্রেম আবার সাত্যকি আর তার বান্ধবীর প্রেম। কত যে বদল সেটা ছবিতে থাকবে। প্রেমও তো এ সময়ে বদলে গেছে!

আপনার প্রেমের বদল হল কিছু? সেই কবে রিমঝিমকে নিয়ে...
সে তো আমার বিয়ের আগের গল্প! লেখা হয়েছিল আমরা পালিয়েছি। আজগুবি সব গল্প!



ছবির দৃশ্যে আবীর।


সত্যিটা কী?
আমার বউ থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির বান্ধবী, স্কুলের বান্ধবীরা সবাই বলেছে আমি কাঠখোট্টা। আমার প্রেম আসে না। আমার নাকি প্রেম হবে না!

এই দোহাই দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তো...
নাহ, চালাচ্ছি না। আপনাকে একটা প্রশ্ন করি।

করুন...
আমাকে গোয়েন্দা না রোম্যান্টিক হিরো, কোন ছবিতে দেখতে চান?

রোম্যান্টিক হিরো!
দেখলেন, আশি শতাংশ লোক তাই চায়। আমি জানি। আমি নিজেও প্রযোজক, পরিচালকদের কাছে বলি ওই ধারার চিত্রনাট্য লিখতে। আমি ছবিতে অন্তত প্রেমিক হতে চাই!

আর জীবনে?
আবীর চট্টোপাধ্যায়!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE