অভিনেতা-রাজনীতিবিদ জয় বন্দ্যোপাধ্যায় মারা গিয়েছেন দিনকয়েক আগে। তাঁকে নিয়ে আর এক বর্ষীয়ান অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, শেষজীবনে খুবই অর্থকষ্টে ভুগেছেন জয়। তিনি চিরঞ্জিতের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছিলেন। বর্ষীয়ান অভিনেতা পাশে দাঁড়াতে পারেননি। অভিনেতার মৃত্যুর পর সে কথা চিরঞ্জিৎ প্রকাশ্যে আনতেই ক্ষুব্ধ তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনী পাল। আনন্দবাজার ডট কম-কে বলেছেন, “আমি ভুক্তভোগী। তাপসের মৃত্যুর পরেও চিরঞ্জিৎদা এ রকমই অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছিলেন।”
এ প্রসঙ্গে কথা বলা হয়েছিল চিরঞ্জিতের সঙ্গেও। তাঁর বক্তব্য, “যা ঘটে গিয়েছে তা নিয়ে আর কিছু বলব না।”
জয়ের অভিনয়জীবন সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তাঁর সমসাময়িক অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছে। তাঁদেরই অন্যতম চিরঞ্জিৎ। প্রয়াত অভিনেতা সম্পর্কে, তাঁর কাজ প্রসঙ্গে, নানা কথা বলেছেন চিরঞ্জিৎ। তখনই তিনি জানান, শেষজীবনে ভাল ছিলেন না জয়। অর্থকষ্টে ভুগেছেন। চিকিৎসার জন্য তিনি নাকি পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন চিরঞ্জিতের কাছে। সেই টাকা বর্ষীয়ান অভিনেতা দিতে পারেননি। সে কথাও জানান তিনি। এখানেই আপত্তি নন্দিনীর। তাঁর কথায়, “হতেই পারে সেই সময় চিরঞ্জিৎদার কাছে টাকা ছিল না। উনি তো অন্যদের বিষয়টি জানাতে পারতেন! বাকিদের থেকে সহযোগিতা চাইতে পারতেন। এখন এ সব বলে কী লাভ!”
জয়ের প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতে নন্দিনী ফিরে গিয়েছেন প্রয়াত অভিনেতা-রাজনীতিবিদ স্বামীর মৃত্যুর পরের দিনগুলোয়। আবেগে বুজে এসেছে তাঁর কণ্ঠ। নন্দিনী বলেছেন, “একই অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে। তাপসকে নিয়ে এ রকমই কিছু বলেছিলেন চিরঞ্জিৎদা। সেই কথা আমায় খুব কষ্ট দিয়েছিল। আমাদের মেয়ে সোহিনীও খুব কষ্ট পেয়েছিল।” নন্দিনীর মতে, “যাঁকে নিয়ে বলা হচ্ছে, তিনি এ সবের ঊর্ধ্বে। ফলে, তাঁর খারাপ লাগার জায়গা নেই। কিন্তু যাঁরা রয়ে গেলেন তাঁদের তো এ সব শুনতে কষ্ট হয়! এটা চিরঞ্জিৎদা বোঝেন না?”
নন্দিনীর এ-ও কৌতূহল — নিছক প্রচারের লোভে এই ধরনের কথা বলছেন না তো চিরঞ্জিৎ?