সদ্য ছবির প্রথম ঝলক মুক্তি পেয়েছে। বয়স্ক বাবা আর মেয়ের গল্প। ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ করে যে বাবা মেয়েকে হাঁটতে শিখিয়েছেন, তাঁর শেষ বয়সে সন্তান কি সে ভাবেই বাবাকে আগলাবে? প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ঝলকের কিছু দৃশ্য।
তার থেকেও বড় প্রশ্ন টালিগঞ্জে অন্দরে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়-শ্রাবন্তী মজুমদারের জনপ্রিয় ‘আয় খুকু আয়’, না কি অমিতাভ বচ্চন-দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘পিকু’র অনুপ্রেরণায় তৈরি অর্ণব মিদ্যার ছবি ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’? যেখানে বাবা আর মেয়ে যথাক্রমে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, রুক্মিণী মৈত্র।
এই প্রশ্ন নিয়ে বর্ষীয়ান বিধায়ক-অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। চেনা ভঙ্গিতেই দুই সম্ভাবনা নাকচ করেছেন তিনি। বলেছেন, “বাবা আর মেয়ের গল্প— এ ছাড়া আর কোনও মিল নেই। পরিচালক অর্ণব তাঁর মতো করে গল্প বুনেছেন। ছবিতে বাঙালি পরিবারের ঘরোয়া গল্প আছে। আপাতত এর বেশি বলার অনুমতি নেই।” বর্ষীয়ান অভিনেতারও এক কন্যাসন্তান। তিনি বিদেশে থাকেন। ছবিতে অভিনয় করতে করতে তাঁর কথা বারেবারে মনে পড়েছে চিরঞ্জিতের। সে কথা জানিয়েছেন তিনি। “এক এক সময় হয়তো রুক্মিণীর সঙ্গে পর্দাভাগের সময় সেই অনুভূতি কাজ করেছে”, প্রথম ঝলক দেখতে দেখতে মনে হচ্ছে তাঁর।
আরও পড়ুন:
চিরঞ্জিৎ টলিউডের চার ‘স্তম্ভ’ নায়কের অন্যতম একজন। অভিনয় করতে গিয়ে রুক্মিণীকে কেমন দেখলেন?
দেব, চিরঞ্জিৎ, সুজিত দত্ত এক ফ্রেমে। ছবি: সংগৃহীত।
জবাব দিতে কিন্তু বিন্দুমাত্র দেরি করেননি চিরঞ্জিৎ। হাসতে হাসতে চেনা ভঙ্গিতে সপাট জবাব, “নিন্দকেরা নাকি ওর অভিনয় নিয়ে সমালোচনা করেন? আমি তো দেখলাম খুব ভাল অভিনয় করে। দাপটের সঙ্গে প্রত্যেকটা দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছে। ছবি দেখে আপনারাও বলবেন।” এও জানালেন, দেব একদিন এসেছিলেন তাঁদের সেটে। আড্ডা দিয়েছেন। সকলকে নিয়ে ছবি তুলেছেন।