পরিচালকদের মতো ফেডারেশন-ডিরেক্টর্স গিল্ড মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় রাজ্যের উচ্চ আদালতও। বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশে ৮ সেপ্টেম্বর সম্ভবত নতুন কমিটির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। সেই তালিকা তৈরি করবেন তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের সচিব শান্তনু বসু। হাই কোর্টের নির্দেশে মামলাকারী ১৩ জন পরিচালক এবং ফেডারেশন— উভয় পক্ষই নিজেদের পছন্দের সদস্যদের নামের একটি করে তালিকা জমা দেবেন। তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে নতুন কমিটি।
হাই কোর্টের নির্দেশের পরে মামলাকারী পরিচালকদের অন্যতম পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী আনন্দবাজার ডট কমকে বলেছিলেন, ‘‘এই কমিটিতে আমাদের তরফ থেকে বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত কলকাতার বিশিষ্টজনেদের রাখার ইচ্ছা নেই। কারণ, তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে বিরোধীপক্ষ। আমরা চাইছি শহরের বাইরের খ্যাতনামী এবং বিদগ্ধ ব্যক্তিরা এই কমিটিতে থাকুন।” বৃহস্পতিবার পরিচালকদের তৈরি তেমনই একটি সম্ভাব্য তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। তালিকার খ্যাতনামীরা সবাই মুম্বই এবং দক্ষিণ ভারতীয় বিনোদন দুনিয়ার বিশিষ্টজন। যেমন, পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়, কঙ্কনা সেনশর্মা, নন্দিতা দাস, আদিল হোসেন, নাগরাজ মঞ্জুলে, হনসল মেহতা-সহ অনেকেই।
আরও পড়ুন:
এই তালিকা দেখে টলিউডের অন্দরে চর্চা শুরু। প্রশ্ন উঠেছে, তালিকা থেকে কি কলকাতার পরিচালকেরা ব্রাত্য? তালিকায় সদস্য হিসেবে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (এসআরএফটিআই) নাম আছে। কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কী করে কমিটির সদস্য হতে পারে, এই কথাও জানতে চেয়েছেন অনেকে। পাশাপাশি এ কথাও শোনা যাচ্ছে, মুম্বই থেকে যাঁরা আসবেন তাঁদের কলকাতায় থাকা, যাতায়াতের খরচ দেবে কে?
এই সব প্রশ্ন নিয়ে মামলাকারী পরিচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। তবে বিষয়টি বিচারাধীন থাকার যুক্তি দেখিয়ে তাঁরা কেউই মুখ খুলতে চাননি। ফেডারেশনের তালিকায় কারা আছেন? জানতে পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি মুম্বইয়ে। ছবির ডাবিং নিয়ে ব্যস্ত। বিষয়টি সম্বন্ধে কিছুই জানি না।’’ তবে তিনি জানিয়েছেন, ফেডারেশন সকলের মাথার উপরে রয়েছে। সকলের মতো তাঁরও সংগঠনের সিদ্ধান্তের উপরে আস্থা আছে।