সমাবেশে দীপিকা। —ছবি সোশ্যাল মিডিয়া।
জেএনইউ-কাণ্ডে পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়সবরমতী টি-পয়েন্টে ছাত্রছাত্রীদের জমায়েতে পৌঁছলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের পাশে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদে সামিল হলেন তিনি। এ দিকে পড়ুয়াদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় বিজেপি নেতা তেজেন্দ্র পাল সিংহ নেটিজেনদের দীপিকার ছবি বয়কট করারও ডাক দিয়েছেন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ মাধ্যমের তরফে দীপিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, যে ভাবে ভয় না পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের মতো মতামত তুলে ধরেছে, সে জন্য তিনি গর্বিত। অবশেষে ছাত্রছাত্রীদের ‘পাশে আছি’ বার্তা দিতে নিজেই চলে গেলেন সমাবেশে যোগ দিতে।
গতকালই জেএনইউ-কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছিল বলিউডের একাংশ। অভিনেত্রী সোনম কপূর, রিচা চাড্ডা, কঙ্কণা সেনশর্মা, অনুরাগ কাশ্যপ, তাপসী পান্নু,কৃতী শ্যানন-সহ বেশ কিছু বলি সেলেব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু তিন প্রভাবশালী ‘খান’-সহ অমিতাভ বচ্চন, রণবীর-দীপিকা কেন চুপ করে রয়েছেন সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। ‘পাবলিক ফিগার’ হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁরা ঘটনা নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করছেন না, প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে।
সভানেত্রী ঐশী ঘোষের পাশে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদে সামিল হলেন দীপিকা।—ছবি সোশ্যাল মিডিয়া।
এ দিকে সোমবার মুম্বইয়ে জেএনইউ তাণ্ডবের প্রতিবাদে যে মিছিল হয়েছিল তাতে যোগ দিয়েছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ, অনুরাগ বসু, তাপসী পান্নু, গহর খান, বিশাল ভারদ্বাজ, রিচা চাড্ডা, আলি ফজল, রীমা কাগতি, দিয়া মির্জা-সহ বলিউডেরবেশ কিছুচেনা মুখ। অনিল কপূর এবং আদিত্য রয় কপূরও মঙ্গলবার এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন।
আরও পড়ুন-জেএনইউ কাণ্ডে মুখে কুলুপ সলমন-শাহরুখ-দীপিকাদের, প্রতিবাদে সরব কৃতি-তাপসী-সোনমেরা
ঠিক কী হয়েছিল রবিবার? জেএনইউ-র পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, রবিবার বিকেল থেকেই ক্যাম্পাসে আচমকা ভিড় জমতে শুরু করে। মুখোশধারী গুন্ডারা প্রথমে সবরমতী ধাবার বাইরে জড়ো হয়।অভিযোগ, এর পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি নেতা-নেত্রীরা ভাড়াটে গুন্ডাদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, এর পর, রড, লাঠি, বাঁশ নিয়ে পড়ুয়াদের উপরে চড়াও হয় তারা। হস্টেলের আলো নিভিয়ে দিয়ে হামলার পাশাপাশি সবরমতী, কাবেরী, পেরিয়ার হস্টেলে ভাঙচুরও চলে।সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ছাড়াও আহত হন বেশ কয়েকজন অধ্যাপকও। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি দিল্লি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy