মায়ের সঙ্গে আলিয়া। ছবি: সোনির ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে গৃহীত।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবের প্রথম দিন রবিবার। শনিবার নেতাজি ইন্ডোরে উদ্বোধনের পর এ দিন সকাল থেকেই নন্দন চত্বরে সিনেপ্রেমীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ দিন দুপুরে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক সঞ্জয় নাগের ‘ইয়োরস ট্রুলি’ ছবিটির প্রিমিয়ার হয়। এ দিন সাংবাদিদের মুখোমুখি হন এ ছবির মুখ্য অভিনেত্রী সোনি রাজদান, তাঁর স্বামী মহেশ ভট্ট এবং মেয়ে আলিয়া ভট্ট।
আলিয়া এ ছবিতে অভিনয় করেননি। তাঁর কথায়, “এই প্রথম মায়ের কোনও ছবির প্রোমোশন করছি। ছবিতে বাবাও আছে। এটা একটা স্বপ্নের মতো।”
আরও পড়ুন, গুলাবি-নরসিংহের উপস্থিতিতে চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চও স্মৃতি
সোনি বললেন, ‘‘আমার প্রথম ছবি ৩৬ চৌরঙ্গী লেনের শুটিং কলকাতায় হয়েছিল। আবার এতদিন পরে কলকাতায় এসে খুব ভাল লাগছে। তখন রোজ মিষ্টি খেতাম। আজও এসেই মিষ্টি খেয়েছি।”
নন্দনে মাজিদ মাজিদি।
সকাল পৌনে ১২টায় নন্দন ১-এ ইরানিয়ান চিত্র পরিচালক মাজিদ মাজিদির ‘মুহম্মদ-দ্য মেসেঞ্জার অব গড’ দেখানো হয়। ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন এ আর রহমান। এক ঘণ্টা আগে থেকেই ছবিটি দেখার জন্য দর্শক লাইন দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন, ‘বাঘ বন্দি খেলা’র লড়াই, জিতবে কে?
নন্দনের সামনে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মাজিদ মাজিদি স্বয়ং। কিন্তু দোভাষী সঙ্গে না থাকার কারণে তিনি কথা বলেননি। তবে তাঁকে ঘিরে ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কথা না বললেও, সেল্ফি এবং অটোগ্রাফে আপত্তি করেননি মাজিদি।
সাংবাদিক বৈঠকে মহেশ, সোনি, আলিয়া এবং সঞ্জয়।
সকাল সওয়া ১১টায়নন্দন ২-এ তিউনিসিয়ার ছবি ‘জিজু’ দেখার জন্য প্রচুর ভিড় ছিল। আসন ভর্তি হয়ে যাওয়ার পরে কিছু দর্শক মাটিতে বসে ছবিটি দেখেন। এটি স্যাটায়ার ধর্মী একটি রাজনৈতিক ছবি। ছবিতে আরব বসন্ত আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে জিজু নামক এক তরুণ যুবকের জীবনের কিছু মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। এ ছবির মাধ্যমে তিউনিসিয়ার মতো অদেখা বা অল্প দেখা দেশের ছবি দর্শকের সামনে উঠে আসবে।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব যে সিনে প্রেমীদের কার্নিভাল, তা বুঝিয়ে দিল উত্সবের প্রথম দিনই।
— নিজস্ব চিত্র।
(সিনেমার প্রথম ঝলক থেকে টাটকা ফিল্ম সমালোচনা - রুপোলি পর্দার বাছাই করা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy