মহেশ ভট্ট ও আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
বেশ কয়েকটা বছর বলিউডে কাটিয়ে ফেলেছেন আলিয়া ভট্ট। এখন তিনি বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম একজন। কিন্তু বাবা মহেশ ভট্টের থেকে প্রশংসা পেতে নাকি বেশ অনেকটা সময় লেগেছিল আলিয়ার। ২০১২ সালে ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবিতে প্রথম অভিনয় অভিনেত্রীর। প্রথম ছবিতেই প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মহেশের নাকি সেই ছবিতে একেবারেই পছন্দ হয়নি মেয়েকে।
কর্ণ জোহরের সেই ছবিতে শানায়া সিংহ নামে এক কলেজ পড়ুয়ার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল আলিয়াকে। মেয়েকে দেখে শুধুই নাকি সুন্দর পোশাক পরা পুতুলের মতো লেগেছিল পরিচালকের। কিন্তু তার পরের কয়েকটি ছবিতে নিজের মেয়েকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন মহেশ। বিশেষ করে ‘হাইওয়ে’ ও ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবিতে আলিয়ার অভিনয় দেখে স্তব্ধ হয়েছিলেন তিনি। বরাবরই শহুরে আবহে থেকেছেন আলিয়া। তা সত্ত্বেও তিনি কী ভাবে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললেন, এই বিষয়ে চমকে গিয়েছিলেন অভিনেত্রীর বাবা।
মহেশ সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলেন, “সত্যি বলতে আমি ‘উড়তা পঞ্জাব’ দেখে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। অসাধারণ একটি ছবি।” মুম্বইয়ের জুহু এলাকায় বেড়ে ওঠা মেয়েটি কী ভাবে ছত্তিশগড়ের আদিবাসী ভাষায় কথা বলছেন, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না মহেশ। অন্য দিকে ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ নিয়ে মহেশ পরিচালক বলেছিলেন, “ওই ছবিতে তো পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে থাকা কিছু করার ছিল না”।
সর্বোপরি, মেয়ের অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। আলিয়ার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘গঙ্গুবাঈ কথিয়াওয়াড়ি’, ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’, ‘ডিয়ার জ়িন্দগি’, ‘ডার্লিংস’, ‘রাজ়ি’ ইত্যাদি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy