রাতের ট্রেনে শ্লীলতাহানির শিকার অভিনেত্রী। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
২৪ ঘণ্টাও কাটল না। ফের সামনে এল এক অভিনেত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা।
দক্ষিণী অভিনেত্রী অমলা পালকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হয় এক অভিযুক্ত। শুক্রবার প্রকাশ্যে এল আরও এক দক্ষিণী অভিনেত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। তবে এ বারের ঘটনা আরও ভয়াবহ।
চলন্ত ট্রেনে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন মালয়ালি অভিনেত্রী সনুশা সন্তোষ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মাভেলি এক্সপ্রেসের এসি টু-এর কোচে। ট্রেনটি মেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল থেকে তিরুঅনন্তপুরম যাচ্ছিল। কন্নুর স্টেশন থেকে ওই ট্রেনে উঠেছিলেন সনুশা। ২৩ বছরের অভিনেত্রীর প্রত্যুত্পন্নমতিত্ব এবং সাহসের জন্য অভিযুক্ত আপাতত পুলিশের জালে।
কী হয়েছিল চলন্ত ট্রেনে?
এনডিটিভি’র খবর অনুযায়ী, রাতের ট্রেনে উঠেই নির্ধারিত আপার বার্থে উঠে ঘুমিয়ে পড়েন অভিনেত্রী। সনুশার দাবি, রাত সওয়া ১টা নাগাদ হঠাত্ তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর ঠোঁটে কেউ যেন আঙুল ঘষছে! সনুশা বলেছেন, ‘‘চোখ খুলেই বুঝতে পারি আমার ঠোঁটে কার যেন আঙুল। আমি লোকটাকে দেখে ভয় পেয়ে যাই। তবে ওর হাতটা ধরে ফেলে আঙুলগুলো মুচড়ে দিই।’’
মালয়ালি ছবি ‘মিলি’, ‘নির্ণায়কম’, ‘ভেতা’, ‘কোদিভিরন’ ছবির অভিনেত্রী সনুশা সন্তোষ। ছবি: সনুশার ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
সনুশার দাবি, ‘‘আমি চিত্কার করলেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। এমনকী নীচের বার্থে শুয়ে থাকা ব্যক্তিও। শুধু চিত্রনাট্যকার উন্নি এবং রঞ্জিত নামে এক ব্যক্তি ছুটে আসেন।’’ সনুশার সঙ্গেই ট্রেনে উঠেছিলেন উন্নি।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার আঁচ পেয়েই উন্নি ও রঞ্জিত টিকিট পরীক্ষককে ডাকতে চলে যান। ততক্ষণ ওই ব্যক্তির হাত টেনে ধরে রেখেছিলেন সনুশা। টিকিট পরীক্ষক আসার পর পরবর্তী স্টেশনের রেল পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। আধ ঘণ্টা পর পরের স্টেশনেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
বলিউড-টলিউড-টেলিউডের হিট খবর জানতে চান? সাপ্তাহিক বিনোদন সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
এনডিটিভি’র খবর অনুযায়ী, সনুশা পুলিশের কাছে লিখিত বয়ান দিয়েছেন। এর পর ওই ট্রেনেই তিরুঅনন্তপুরম যান তিনি। অভিযুক্তকে এ দিন সকালে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন, অভিনেত্রীকে যৌন প্রস্তাব, অভিযুক্ত গ্রেফতার
আরও পড়ুন, জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে চার্জ গঠন সূর্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে
এই ঘটনার জেরে ফের এক বার প্রশ্ন উঠছে, রাতের ট্রেনের যাত্রী, বিশেষ করে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে। ঘটনার সময় কেন কোনও রেল পুলিশ ছিল না ওই কামরায়? প্রশ্নের মুখে সহযাত্রীদের ভূমিকাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy