Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Rashmika Mandana Deepfake Video

কী কারণে রশ্মিকা মন্দনার ডিপফেক ভিডিয়ো তৈরি করেন, পুলিশের কাছে কবুল অভিযুক্ত যুবকের

শনিবারই দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিয়ো তৈরির ‘মূল পান্ডা’ বছর ২৪-এর যুবক ইমানি নবীনকে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পর তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়।

Man arrested for Rashmika Mandanna deepfake wanted to boost Insta followers

রশ্মিকা মন্দনা। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০৪
Share: Save:

কী কারণে অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার ডিপফেক ভিডিয়ো তৈরি করেছিলেন, পুলিশের জেরার মুখে তা কবুল করলেন প্রধান অভিযুক্ত। শনিবারই দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিয়ো তৈরির ‘মূল পাণ্ডা’ বছর ২৪-এর যুবক ইমানি নবীনকে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পর তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়।

দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ওই যুবক জানান যে, তিনি ইনস্টাগ্রামে রশ্মিকা মন্দনার একটি ফ্যানপেজ চালাতেন। ওই ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই অভিযুক্ত ওই ভিডিয়ো তৈরি করেছিলেন। গত ১৩ অক্টোবর ভিডিয়োটি তৈরি করা হয়। অভিযুক্তের কৌশল কার্যকরীও হয়। কারণ, মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলের ফলোয়ার সংখ্যা ৯০ হাজার থেকে বেড়ে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজারে পৌঁছয়। অন্ধ্রের গুন্টুরের বাসিন্দা নবীন ইলেকট্রনিক্সে বিটেক করার পর একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

গত নভেম্বরে একটি ডিপফেক ভিডিয়োয় এক ব্রিটিশ-ভারতীয় সমাজমাধ্যম প্রভাবীর ভিডিয়োয় প্রযুক্তিগত কারচুপি করে রশ্মিকার মুখ জুড়ে দেওয়া হয়। গত ১০ নভেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের ৬৬সি এবং ৬৬ই ধারায় দিল্লি পুলিশের তরফে দায়ের করা হয়েছিল এফআইআর। সমাজমাধ্যমের পাতায় রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর রশ্মিকা লেখেন, ‘‘আমার মুখ বসানো যে ডিপফেক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েও আমার খারাপ লাগছে। এই ঘটনা আমার কাছে যতটা যন্ত্রণার, ততটাই ভয়েরও। কোনও প্রযুক্তির যে এমন অপব্যবহার হতে পারে, তা ভেবেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে।”

তবে একা রশ্মিকা নন, ডিপফেক ভিডিয়োর শিকার হয়েছেন ক্যাটরিনা কইফ, কাজল, আলিয়া ভট্টের মতো অভিনেত্রীরাও। ‘টাইগার ৩’ ছবিতে স্নানপোশাকে ক্যাটের ছবিকে বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সমাজমাধ্যমে। অন্য দিকে, সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয় এমন একটি ভুয়ো ভিডিয়ো, যাতে দেখা যায় ক্যামেরার সামনেই নিজের পোশাক খুলছেন কাজল। তার পরেই ডিপফেকের শিকার হন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। সেই ভিডিয়োয় একটি খোলামেলা পোশাকে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই পোশাক পরে 'আপত্তিকর' অঙ্গভঙ্গি করতেও দেখা যায় তাঁকে। ভিডিয়ো থেকেই স্পষ্ট, ওই মহিলা আদৌ আলিয়া নন। আধুনিক প্রযুক্তির কারসাজির সাহায্যে আলিয়ার মুখ বসানো হয়েছিল ওই ভিডিয়োয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE