তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার শেষ! কাকে দায়ী ঠাওরান বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা? ফাইল চিত্র।
নব্বইয়ের দশকে সিনেদুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ তাঁর। অভিষেকের কয়েক বছরের মধ্যে ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। তার কয়েক বছর পরেই হিন্দি ছবির গণ্ডি ছাড়িয়ে দক্ষিণী ছবিতেও কাজ করা শুরু করেন মনীষা। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় ‘বম্বে’। ওই ছবি দেশব্যাপী পরিচিতি এনে দিয়েছিল অভিনেত্রীকে। একই বছরে মুক্তি পায় ‘ইন্ডিয়ান’। হিন্দির পাশাপাশি তামিল ইন্ডাস্ট্রিতেও ধীরে ধীরে নিজের জায়গা তৈরি করছিলেন মনীষা। তবে, সেই জায়গা বেশি দিন টেকেনি। ২০০২ সালে ‘বাবা’ ছবির মুক্তির পরেই তামিল ছবির দুনিয়া থেকে হারিয়ে যান মনীষা। প্রায় দু’দশকের বেশি সময় পরে সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ক্যানসারজয়ী বলিউড অভিনেত্রী।
রজনীকান্তের সঙ্গে ‘বাবা’ ছবিতে অভিনয় করেন মনীষা কৈরালা। ছবি: সংগৃহীত।
মুক্তির পরে বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করেছিল ‘বম্বে’, ‘ইন্ডিয়ান’-এর মতো ছবি। সমালোচকদের থেকেও প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন মনীষা। তার পরে একাধিক ছবির প্রস্তাবও পেয়েছিলেন তিনি, জানান অভিনেত্রী। তবে ‘বাবা’ ছবির মুক্তির পরে বদলে যায় সেই চিত্র। মনীষা জানান, বক্স অফিসে ‘বাবা’র ব্যর্থতা তাঁর কর্মজীবনকে খুব খারাপ ভাবে প্রভাবিত করেছিল। এক সাক্ষাৎকারে মনীষা বলেন, ‘‘ওই ছবির আগেও আমার কাছে কত ছবির প্রস্তাব ছিল। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ল ‘বাবা’। তার পর হঠাৎ করেই আমার কাছে ছবির প্রস্তাব আসা বন্ধ হয়ে গেল।’’ ওই ছবিতে মনীষার সহ-অভিনেতা ছিলেন দক্ষিণী তারকা রজনীকান্ত। তা সত্ত্বেও লাভের মুখ দেখেনি ওই ছবি। ‘বাবা’র ব্যর্থতার পরেই তামিল ছবির দুনিয়ার ওঁর কর্মজীবন সম্পূর্ণ ভাবে শেষ হয়ে যায়, জানান মনীষা কৈরালা।
২০০২ সালের ২০ বছর পরে, ২০২২ সালে রজনীকান্তের জন্মদিন উপলক্ষে ফের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘বাবা’। আশ্চর্যজনক ভাবে দ্বিতীয় বার মুক্তির পরের বার বেশ ভাল ব্যবসা করেছে এই ছবি। তাতেই খুশি ছবির অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। তাঁর বিশ্বাস, ‘‘রজনীস্যর কখনও ফ্লপ ছবি করতেই পারেন না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy