২০১৮ সালে টেলি অভিনেত্রীকে বিয়ে করেন মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী ওরফে মিমো। সেই সময় মহাক্ষয় ওরফে মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন এক তরুণী। বিয়ে হবে না বলেই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু ঘটনার কিছু দিনের মধ্যেই অনুষ্ঠান করে বিয়ে করেন মদালসা-মিমো। প্রায় সাত বছর হতে চলল মদালসা ও মিমোর দাম্পত্যের। যদিও মিমো জানান, তাঁদের বিয়ের পিছনে বাবা মিঠুনের হাত অনেকটা।
আরও পড়ুন:
বলিউডে একাধিক নামজাদা শ্বশুর-বৌমা জুটি রয়েছেন। তবে অন্যান্য তারকা পুত্রবধূর মতো ততটা প্রচারের আলো পাননি মদালসা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিমো নিজেই আক্ষেপ করেন, অন্যান্য তারকা-সন্তানের মতো তাঁদের জীবনটা ঠিক ততটা চাকচিক্যময় হয়নি। মাঝে মাঝে তার জন্য হিংসেও হয়েছে মিমোর। মদালসার সঙ্গে মিমোর যখন বিয়ে হয়, তখন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে অল্পবিস্তর পরিচিতি ছিল মিঠুনের পুত্রবধূর। তবে শ্বশুরের পরামর্শেই বদলে গেল গোটা কেরিয়ার। এই মুহূর্তে শুধু দক্ষিণ নয়, গোটা দেশের দর্শকই চেনেন তাঁকে। মদালসা এক সময় বড় পর্দায় কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁকে যশ-খ্যাতি দিয়েছে ছোট পর্দা। সেই সবটাই সম্ভব হয়েছে শ্বশুর মিঠুনের কারণে। ‘অনুপমা’ ধারাবাহিকের প্রস্তাবটা গ্রহণ করতেই মিঠুনই বলেছিলেন। যদিও মিমো জানান, মদালসার মায়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন। এমনকি, মিমোর শ্বশুরও কাজ করেছেন মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে। মিমোর কথায়, ‘‘আসলে আমরা খুব সহজে মিশে গিয়েছিলাম। যদিও আমার বাবা জ্যোতিষবিদ্যায় বিশ্বাসী, তাই বিয়ের আগে মদালসার জন্মের তারিখ চেয়ে পাঠান। তাতেই যেন খানিকটা আমাদের কথাবার্তা এগোয়। কারণ, মদালসা ভেবেছিল, ওর নম্বর চাইতে জন্মতারিখ জানতে চাওয়াটা ছিল একটা ছুতো।’’