ইশ, যদি একসঙ্গে আরও ছবি করতে পারতাম: মিঠুন
খুব আফসোস মিঠুন চক্রবর্তীর। মাত্র একটি ছবি করেছেন উত্তমকুমারের সঙ্গে। আরও খান কয়েক যদি করতে পারতেন! 'নায়ক'-এর মৃত্যুর ৪২ বছর পরে তাঁকে নিয়ে বলতে গিয়ে সেই আক্ষেপই ভাগ করে নিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
উত্তমকুমার, শর্মিলা ঠাকুর, সুপ্রিয়া দেবী, সোমা চৌধুরী আর মিঠুন। ১৯৮১ সালের ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’। ওই সময়েই উত্তমকুমার টানটান ক্রাইম থ্রিলার পরিচালনা করেছিলেন! সেই সময়ের নিরিখে ছবির বাজেট বিপুল, ৮৫ লক্ষ টাকা।
‘মহাগুরু’র দাবি, ‘‘এক দিকে দাদার পরিচালনায় ওঁর সঙ্গে অভিনয়। অন্য দিকে, বেণুদির হাতের রান্না। মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদ! আমি কোনও দিন ডায়েট করিনি। রোজ সকালে মিউজিক চালিয়ে টানা নাচতাম। আর সেটে দুপুরে খাওয়ার সময় ভরপেট খেতাম। বেণুদির রাঁধা খাবারের মতো খাবার পেলে তো কথাই নেই। নিজে হাতে আমাদের পরিবেশন করতেন। আমরা পাঁচ জন একসঙ্গে বসে খেতাম। সঙ্গে আড্ডা। দাদা-বেণুদি কোনও দিন বাড়ির অভাব বুঝতে দেননি।’’
পাশাপাশি, অভিনয়ের অনেক খুঁটিনাটিও তিনি শিখেছেন উত্তমকুমারের থেকে। প্রযোজক উত্তমকেও ঢালাও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। মিঠুনের মতে, ‘‘দাদা মুখ দেখে মনের কথা বুঝে নিতেন। ধূমপানের জন্য বাইরে চলে যেতাম। এক দিন ডেকে বলেছিলেন, ছেলেরা বড় হয়ে গেলে বাবা বন্ধু হয়ে যায়। তুই তো আমার ভাই। আমার সামনেই খাস।’’ যেমন যত্ন নিতেন, তেমনই বেনিয়ম দেখলে প্রচণ্ড রেগেও যেতেন উত্তমকুমার।
এই পাঁচ তারকা ছাড়াও ওই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন সন্তু মুখোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী, শম্ভু ভট্টাচার্য প্রমুখ। তোপচাঁচি-সহ একাধিক জায়গায় শ্যুটিং হয়েছিল ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’র। সহকারী পরিচালক পীযূষ বসু। তখনকার তারকাখচিত এই ছবির সমস্ত গান আজও জনপ্রিয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy