বারাসাতের কালীপুজো বিখ্যাত। আলোর রোশনাই, আতশবাজির জৌলুস। পাশাপাশি, এই অঞ্চলের দেবীও বিশালাকার। সব মিলিয়ে জমজমাট আয়োজন। এই অঞ্চলের বিধায়ক-অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। প্রতি বছর নিয়ম মেনে তিনি নিজে এই পুজোয় উপস্থিত থাকেন। পুজোর উদ্বোধনও করেন।
কোনও বিশেষ ঘটনা ঘটেছে তাঁর জীবনে? প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। বিধায়ক-অভিনেতার দাবি, তেমন কোনও কিছুই তাঁর সঙ্গে ঘটেনি। তিনি অলৌকিকতায় বিশ্বাসী নন। ঠিক যেমন বিশ্বাসী নন বহু ঈশ্বরে। “আমার কাছে ঈশ্বর বহু নন, এক। তাই আমি প্রত্যেক দেবদেবীর কাছে মাথা নত করি না। প্রার্থনাও জানাই না।” হাসতে হাসতে যুক্তি দিলেন, তিনি ভয় পান, যদি ভুল ঈশ্বরের কাছে ভুল প্রার্থনা করে ফেলেন! যদিও অভিনেতার বক্তব্য, “না চাইতেই ঈশ্বর অনেক দিয়েছেন। আর আমার হারানোর কোনও ভয় নেই। তাই সর্বশক্তিমানের কাছে কিছু চাওয়ারও নেই।”
চিরঞ্জিৎ তাই একমাত্র নতজানু হন লোকনাথ বাবার কাছে। “কেন জানি না, ওঁর প্রতি অগাধ বিশ্বাস। ভিতর থেকে মনে হয়, ডাকলে সাড়া দেবেন। ফলও পেয়েছি। তেঘরিয়ার লোকনাথ বাবার মন্দির থেকে একটা সোনার হার উপহার পেয়েছি। লকেটে ওঁর ছবি।” ওটাই পরে থাকেন বিধায়ক-অভিনেতা। স্মরণ করেন নিয়মিত।
আরও পড়ুন:
এই ঈশ্বরভাবনা নিয়েই তিনি ‘পর্ণশবরীর শাপ’ সিরিজ়ে তান্ত্রিক ‘ভাদুড়িমশাই’। নিজের বিশ্বাসে চিড় ধরেনি? অভিনেতার দাবি, বিশ্বাসে চিড় ধরেনি। চিরঞ্জিতের কথায়, “আমরা অভিনেতা। যে কোনও সময় যে কোনও চরিত্রে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারি।” তবে সিরিজ়ের প্রথম পর্বের শুটিং করতে গিয়ে তাঁর কিছু অস্বস্তি হয়েছিল। “পাহাড়ে ‘পর্ণশবরীর শাপ’-এর শুটিং চলছে। গভীর রাত। শ্মশানের সেট তৈরি হয়েছে। চারপাশে ধুনো পুড়ছে। সেই ধোঁয়া ঘিরে রেখেছে আমায়। আমি মন্ত্র পড়ছি।” এই পরিবেশ তাঁর মনে বুঝি সামান্য হলেও প্রভাব ফেলেছিল! এক লহমার জন্য হলেও চিরঞ্জিতের মনে প্রশ্ন জেগেছিল, তা হলে কি ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ একেই বলে?