Advertisement
০১ মে ২০২৪
Moushumi Chatterjee on hero

পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও ‘নায়ক’ চেনা মুশকিল! হালের অভিনেতাদের খোঁচা মৌসুমীর

নায়ক কে, তা এক সময়ে আলাদা করে বুঝিয়ে দিতে হত না। হাবেভাবে কিংবা সাজপোশাকেই স্পষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু এ প্রজন্মে সবাই একই রকম সাজেন বলে কটাক্ষ মৌসুমীর।

Moushumi Chatterjee roasts new actors at The Kapil Sharma Show

মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। ছবি—সংগৃহীত

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১১:০১
Share: Save:

৫০ বছরেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। সেই সুবাদে দু’-তিন প্রজন্মের নায়কদের দেখেছেন। তাঁদের সবাইকে কি আর নায়কের মতো দেখতে? দিন বদলেছে যত, নায়করাও অনেক বেশি ছাপোষা হয়েছে বলে দাবি বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর।

সম্প্রতি ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এ এসে মজার ছলে পুরনো এবং নতুন প্রজন্মের নায়কদের মধ্যে তুলনা করলেন মৌসুমী।

রেখেঢেকে কথা বলেন না অভিনেত্রী। নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের নিয়ে তাঁর চাঁছাছোলা মন্তব্যে দর্শক অবশ্য দ্বিধাবিভক্ত। মৌসুমী বললেন, “আগেকার দিনে কে নায়ক, সেটা বলে দেওয়ার দরকার পড়ত না। দেখলেই বোঝা যেত। এখন তো ব্যাপার অন্য। নায়ক পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও বোঝা যাবে না। কেউ চিনিয়ে দিলে তবে জানা যাবে।”

তাঁর দাবি, নায়ক কে, তা আগেকার দিনে আলাদা করে বুঝিয়ে দিতে হত না। হাবেভাবে কিংবা সাজপোশাকেই স্পষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু এ প্রজন্মে সবাই একই রকম সাজেন বলে কটাক্ষ মৌসুমীর। অভিনেতার নায়কোচিত উপস্থিতির ক্ষেত্রে যে এ প্রজন্মে একটা বড় খামতি দেখা যাচ্ছে, মৌসুমী কি সেটিই বোঝাতে চাইলেন?

সেই ১৯৬৭ সালে ‘বালিকা বধূ’ ছবির মাধ্যমে এই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর হাতেখড়ি। তার পর কলকাতা এবং মুম্বই মিলিয়ে চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। পেশাদার হিসাবে সফল হলেও বয়সকালে যে শোক পেতে হয়েছে তাঁকে। ২০১৯ সালে বড় মেয়েকে হারান তিনি।

মাত্র ৪৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় মৌসুমীর বড় মেয়ে পায়েলের। পায়েলের চলে যাওয়ার পর মৌসুমীর দিকেই আঙুল তুলেছিলেন পায়েলের স্বামী। ডিকি অভিযোগ করেছিলেন, মা হয়েও তিনি মেয়েকে মৃত্যুকালে দেখতে আসেননি। তবে পায়েলের ছোট বোন এবং বাবা উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গেই মৌসুমী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এত কিছুর পর আমি তা-ও সুখী। কারণ রোজই কোনও না কোনও মায়ের আঁচল খালি হচ্ছে। বিশেষ করে জওয়ানদের। সেই কথা ভেবেই রাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারি। জওয়ানের মা-রা এক সন্তানের নিথর দেহ পাওয়ার পর আরও এক সন্তানকে তৈরি করে। ওদের সামনে আমাদের কষ্ট কোনও কষ্টই না। এই কারণে আমি এখনও হাসতে পারি। আমার মনে হয় আপনাকে আনন্দের কারণ হতে হবে। কারণ কষ্ট বা দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জিনিস না। আর ব্যক্তিগত কারণে আমি সবার সামনে কাঁদতেও পারি না। এ রকম শক্ত করেই আমার মা-বাবা আমায় তৈরি করেছেন।”

তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় রয়েছে ‘অনুরাগ’ (১৯৭২), ‘রোটি কাপড়া অউর মকান’ (১৯৭৪), ‘মঞ্জিল’, (১৯৭৯), ‘ঘর এক মন্দির’ (১৯৮৪) ইত্যাদি। মৌসুমীকে শেষ পর্দায় দেখা গিয়েছে সুজিত সরকার পরিচালিত ‘পিকু’ (২০১৫)-তে। ছবিতে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, দীপিকা পাড়ুকোনও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Moushumi Chatterjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE