Advertisement
E-Paper

মুভি রিভিউ: ‘কলঙ্ক’ ছাপিয়ে প্রেমের জয়গান

এক দিকে মাধুরী-সঞ্জয়, অন্য দিকে আলিয়া-বরুণের কেমিস্ট্রি এ ছবির চমক। এই ভিন্ন ধারার চরিত্রায়নে এসে পড়েছে সম্পর্কের জটিল সমীকরণ। এই জটিলতার কারণ ভালবাসা।

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:৫৩
 অভিষেক বর্মন পরিচালিত ছবি কলঙ্ক।

অভিষেক বর্মন পরিচালিত ছবি কলঙ্ক।

পরিচালক: অভিষেক বর্মন

অভিনয়: সঞ্জয় দত্ত, মাধুরী দীক্ষিত, বরুণ ধওন, আলিয়া ভট্ট, সোনাক্ষী সিনহা, আদিত্য রায় কপূর, কুনাল খেমু প্রমুখ।

ভালবাসার রং লাল। সন্ত্রাসের রংও রক্তিম। আজ আমরা কোন পথে যাব? এই প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে এক ছবি। যার নাম ‘কলঙ্ক’।
সম্প্রতি কর্ণ জোহর টুইট করে বলেছিলেন, ‘এ ছবি তাঁর ড্রিম প্রজেক্ট’। বেশ কিছুকাল আগে ছবিতে আলিয়া ভাট এবং সোনাক্ষী সিনহার ফার্স্ট লুক ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন কর্ণ।
এই ছবির স্টার কাস্ট দেখলে মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়! সঞ্জয় দত্ত, মাধুরী দীক্ষিত, বরুণ ধওন, আলিয়া ভট্ট, সোনাক্ষী সিনহা, আদিত্য রয় কপূর, কুনাল খেমু— নামের তালিকা যেন শেষ হওয়ার নয়!
এক দিকে মাধুরী-সঞ্জয়, অন্য দিকে আলিয়া-বরুণের কেমিস্ট্রি এ ছবির চমক। এই ভিন্ন ধারার চরিত্রায়নে এসে পড়েছে সম্পর্কের জটিল সমীকরণ। এই জটিলতার কারণ ভালবাসা।
১৯৪০-এর দশক লাহৌরের বুকে উষ্ণ ক্রোধ বাতাসে ঘুরছে। মানুষ জোট বাঁধছে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ইংরেজ সরকার হাতে তৈরি লোহার অস্ত্রের জায়গায় স্টিলের মেশিন ব্যবহারের নীতি প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তৎকালীন এক সংবাদপত্র এই নীতি সমর্থন করে। এখান থেকেই হুসনাবাদ অঞ্চলের সমস্যার শুরু। সমস্যা বাড়তে থাকে ধর্মের রং যখন আজকের দুনিয়ার মতোই রাজনীতিতে, সমাজে এসে লাগে। আগাগোড়া পিরিয়ড ড্রামা।
এই সমস্যার প্রেক্ষাপটে পরিচালক অভিষেক বর্মণ তৈরি করলেন নিদারুণ প্রেমের ছবি। আলিয়া বাধ্য হয়েছিলেন আদিত্য রায় কপূরকে বিয়ে করতে। একেবারে চুক্তি করেই বিয়ে। বিয়ে দিলেন আদিত্যর আগের স্ত্রী সোনাক্ষী। তার এক বছরের মেয়াদ। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত।
আলিয়া বিয়ের পর প্রেমে পড়লেন বরুন ধওনের। কোন বরুণ ধওন? ইনি মাধুরী আর সঞ্জয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান। প্রেমের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হয় কি? কেউ কেউ যার নাম দেয় ‘কলঙ্ক’!
তা হলে হিসেবনিকেশের বাইরে যা কিছু তা-ই কলঙ্ক? এই প্রচারের সপক্ষে বলা যায়, ‘চাঁদেও কলঙ্ক আছে’।
আসলে নেই। এই ছবির নামের মধ্যেই সেই ব্যঞ্জনা আছে। প্রেম বলে আসে না। বলে যায় না। হয়তো জোর করে সে আসে। আর ফুরিয়েও যায়। দুই মানুষের মাঝে এসে দাঁড়ায় মানিয়ে চলার আড়াল। বলিউডের রীতি মেনেই এই ছবি প্রেম, বিয়ে, পরকীয়ার মধ্যে ভারসাম্যের লাইন টানে। এই লাইন টানা যেমন ‘সিলসিলা’-তেও ছিল। ‘কলঙ্ক’তেও থাকলো। এখানে পরিবর্তন নেই।

মাধুরী দীক্ষিতের ঐশ্বর্যকে রাজকীয় ক্যানভাসে ধরতে চেয়েছেন পরিচালক।

গল্প বুনতে বুনতে পরিচালককে বোধহয় বাজারের কথা ভাবতেই হয়। তাই ছবিতে আসে অকারণ গান। মাধুরী দীক্ষিতের ঐশ্বর্যকে রাজকীয় ক্যানভাসে ধরতে চাওয়ার মধ্যেই পরিচালক এক সাধারণ ‘তাওয়াইফ’-কে প্রাসাদের রাজরানি করে দেখালেন। বড্ড বাড়াবাড়ি। কর্ণ জোহরের ঘুড়ির ড্রিম আকাশে উড়ল! কিন্তু ‘কাটি পতঙ্গ’!
মাধুরীকে দেখতে ভাল লাগলেও তা একটুও বাস্তব মনে হয় না। ছবি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চলতে থাকে গানের টানে। গানগুলো মনকাড়া তবে ছবির ক্ষেত্রে অনেকাংশেই অপ্রয়োজনীয়। বরুণ ধওন এ ছবিতে আগুন হয়ে আসেন আলিয়ার জীবনে। বরুণের শিভ্যালরি দেখানোর জন্য ষাঁড়ের লড়াই এ ছবিতে বেমানান। ‘জোধা আকবর’-এ ঋত্বিক রোশনের হাতির লড়াই মনে করিয়ে দেয়। আর যা-ই হোক বরুণ তো রাজা নয়। পুরোদস্তুর প্রেমিক।
তার চোখ থেকে পায়ের ছন্দ আলিয়ার রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।আর আদিত্য রায় কপূর পাহাড় হয়ে আসে আলিয়ার জীবনে। দু’জনেই অসাধারণ। মাধুরী লাস্যময়ী। আর সোনাক্ষী গভীরতায় দৃপ্ত। ভাল লাগে সঞ্জয় দত্তকেও।
এ ছবি মনখারাপের। রক্তাক্ত পার্টিশানের। প্রেমের ক্ষত আর ক্ষতি নিয়ে আলিয়া মুছে দেন কলঙ্ককে!

Kalank Movie Review Alia Bhatt Karan Johar Bollywood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy