যোগাসন রোজই করছেন। কিন্তু তার পরেও কাঙ্খিত ফল পাচ্ছেন না। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ব্যায়াম করার আগ্রহ কমছে। যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন, যে কোনও আসনই নিয়ম মেনে করা জরুরি। ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে নিজে থেকে আসন অভ্যাস করতে গেলে ভুল হবেই। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, আসনের ভঙ্গিমা ঠিক আছে, কিন্তু আরও ছোট ছোট কিছু বিষয় আছে, যেগুলিতে ভুল হলে কোনও লাভই হবে না। উল্টে ক্ষতি হবে। তাই ভুলগুলি জেনে নিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে যোগাসন অভ্যাস করতে হবে।
যোগাসন করার সময়ে কোন পাঁচ ভুল বেশি হয়?
শ্বাসপ্রশ্বাস
প্রতিটি আসন করার সময়ে শ্বাসপ্রশ্বাস সঠিক ভাবে নিতে হবে। কখন শ্বাস টানতে হবে আর কখন ছাড়তে হবে, কত ক্ষণই বা ধরে রাখতে হবে, সে অনুপাতটা জেনে নেওয়া জরুরি। যে কোনও যোগাসনেই শ্বাসপ্রশ্বাসের এই মাপটা থাকা দরকার। না হলে লাভ হবে না।
তাড়াহুড়ো করে যোগাসন
যোগাসন তাড়াতাড়িতে হয় না। এর নিয়ম আছে। আসন শুরুর আগে শরীর ‘ওয়ার্ম আপ’ করা জরুরি। সে জন্য আগে কিছু স্ট্রেচিং করে নিতে পারেন। প্রতিটি আসন যত বার করে করা উচিত, সে নিয়ম মানতে হবে। যদি সময় কম থাকে, তা হলেও কোনও পদ্ধতি বাদ দেবেন না, বরং পাঁচ বারের জায়গায় আসনটি তিন বার করুন। যেমন,সূর্য নমস্কার করার সময়ে ১২টি ধাপই করতে হবে, বাদ দিলে চলবে না।
আরও পড়ুন:
ভরা পেটে ব্যায়াম
ব্যায়াম করার দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে কিছু খাওয়া উচিত নয়। পেট ভর্তি থাকা অবস্থায় যোগাসন করলে কিছুই লাভ হবে না। খাবার সঠিক ভাবে হজম হলে তবেই আসন করুন। নইলে অল্পতেই ক্লান্তি আসবে। খালি পেটে যোগ করলেই সুফল বেশি। দুর্বল লাগলে যোগাভ্যাসের আগে ঈষদুষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
মনঃসংযোগ জরুরি
যোগব্যায়ামের সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ আসন আর প্রাণায়ামের উপরেই দিতে হবে। এই সময় মোবাইল, টিভি কিংবা অন্য কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। কথা বলতে বলতেও ব্যায়াম করা যাবে না। আর আসন করার সময়ে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করা একেবারেই ঠিক হবে না।
ব্যায়ামের পরে বিশ্রাম
প্রতিটি আসন করার পরে শবাসনে কিছু ক্ষণ থাকতেই হবে। বিশ্রাম না নিয়ে পরের আসন শুরু করে দিলে পেশির সক্রিয়তা কমবে। এতে ব্যায়ামে লাভই হবে না কিছু। খেয়াল রাখতে হবে, যোগাসন করে উঠেই স্নান করা বা খাওয়া চলবে না। আসন অভ্যাসের অন্তত এক ঘণ্টা পরে খাবার খেতে হবে। খুব বেশি ভারী খাবার না খাওয়াই ভাল।