দুই খান নাকি দারুণ দোস্ত! পার্থক্য একটাই। শাহরুখ খানের জন্মদিনে সেজে ওঠে বুর্জ খলিফা। মিনার জুড়ে জ্বলজ্বল করে কিং খানের মুখ। আকাশে আলোর ছবি তাঁর!
সলমন খানের জন্মদিনের আগের রাত আলোয় সাজল ‘আমচি মুম্বই’। সলমনের ৬০! তাঁর শহর এ ভাবেই ভালবাসা জানাল তাঁকে।
এ দিন রাতে বান্দ্রা-ওরলি সি-লিঙ্ক সেজে উঠেছিল নানা রঙের আলোয়। শহরের অন্যতম পরিচিত এই ল্যান্ডমার্কটি এক উদ্যাপন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। রাতের আকাশে তখন জ্বলজ্বল করছেন ‘ভাইজান’! ছবির নীচে লেখা ‘শুভ জন্মদিন সলমন খান’। একই ভাবে সেজে উঠেছিল নিকটবর্তী সমুদ্রতট। ওই বিশেষ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে পথচারীরাও দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন সে সময়ে।
‘বার্থডে বয়’ সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
হয় গ্যালাক্সি আবাসন, নয় পনবেলে নিজের খামারবাড়িতে জন্মদিন পালন করেন অভিনেতা। এ বছর তাঁর গন্তব্য দ্বিতীয়টি। রাত বেড়েছে। তারকাদের আনাগোনাও বেড়েছে। এসেছেন সলমনের প্রাক্তন বান্ধবী সঙ্গীতা বিজলানি। তাঁর সৌন্দর্যের ছটায় হার মেনেছে বাকিদের জৌলুস। ছিলেন ইউলিয়া ভন্তুরও। এসেছিলেন সঞ্জয় দত্ত, টাবু, জেনেলিয়া দেশমুখ, রণদীপ হুডা, এমএস ধোনি, আদিত্য রায় কপূর, রাকুলপ্রীত সিংহ, হুমা কুরেশি, মহেশ মঞ্জরেকর, মনীশ পল, মিকা সিংহ-সহ আরও অনেকে। আর ছিলেন আয়ুষ শর্মা, নির্বাণ খান, আরহান খান, অর্পিতা খান শর্মা, আরবাজ় খান, শুরা খান, সেলিম খান এবং আলভিরা খান।
জন্মদিনেও ছিমছাম সাজে থাকতে ভালবাসেন ‘বার্থডে বয়’। কালো টি শার্ট, নীল ডেনিম— বিশেষ দিনেও সাজ ছিল সাদামাঠা। সামনে সাজানো বড় চকোলেট কেক। অভিনেতার বাবা সেলিম খানের মাথায় এ দিন সান্টার লাল টুপি। পরিবার এবং আমন্ত্রিতদের সঙ্গে কেক কাটার পর খামারবাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন অভিনেতা। মূল দরজার সামনে তখন সাংবাদিক এবং ছবিশিকারিদের ভিড়। তাঁরাও এনেছিলেন লাল চেরিতে সাজানো সাদা বড় কেক। সকলকে নিয়ে কেক কাটেন। ভাগ করে দেন সবার মধ্যে। তার পরেই জড়িয়ে ধরেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রিয় সাংবাদিক বান্ধবী ভারতী দুবেকে। কপালে এঁকে দেন বন্ধুত্বের চুম্বন।