উত্তমকুমারের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী মনে রাখবেন নচিকেতা চক্রবর্তী। গানজীবনের ৩১ বছরে এসে তিনি রাজ্য সরকারের বিশেষ পুরস্কার ‘মহানায়ক সম্মান’-এ সম্মানিত। উত্তমকুমারকে সম্মান জানাতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিশেষ সম্মানের আয়োজন করছে বেশ কয়েক বছর ধরে। মহানায়কের মৃত্যুদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা বিনোদন দুনিয়ার কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে প্রতি বছর সম্মানিত করেন। সেই তালিকায় এ বছর নচিকেতা চক্রবর্তী। গায়ক মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত কাছের। তার পরেও এতটা সময় লেগে গেল এই মঞ্চে পৌঁছতে? পুরস্কার পাওয়ার পরেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, “এখনও যে টিকে আছি, এ-ই যথেষ্ট! আর কী চাই?”
আরও পড়ুন:
১৯৯৩ থেকে ২০২৪। গানের দুনিয়ায় দীর্ঘ অবস্থান। একক অ্যালবাম থেকে ছায়াছবির জগৎ— তাঁর অনায়াস গতিবিধি। তার পরেও তাঁর আগে এই সম্মানে সম্মানিত দেব অধিকারী, নুসরত জাহান, সোহম চক্রবর্তী, অঙ্কুশ হাজরা। খারাপ লেগেছে কখনও? স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জবাব দিলেন তিনি। বললেন, “এখনও আমার নামে হল ভর্তি হয়। টিকিট বিক্রি হয়। এর থেকে বড় সম্মান বা পুরস্কার আর কী হতে পারে?” নিজেকে সামলে নিয়ে জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সম্মানিত করেছেন। তিনি খুশি। এর বেশি আর কিছুই বলার নেই।
‘মহানায়ক সম্মান’-এ সম্মানিত বাংলা বিনোদন দুনিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
এ দিন মঞ্চে তাঁর সঙ্গে সম্মানিত হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নতুন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, রুক্মিনী মৈত্র এবং অম্বরীশ ভট্টাচার্যও। মঞ্চে তাঁদের সম্মানিত করলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস প্রমুখ। হলেন খবর, গায়ককে সম্মান প্রদানের পর মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দেন। ঠিক করে খাওয়া-দাওয়া না করলে তাঁর বাড়িতে হানা দেবেন, মৃদু ধমকে নাকি তিনি সতর্কও করেছেন নচিকেতাকে।