নওয়াজ় সাফ জানান, ছবির থেকে বাজেটের ভার বেশি হলে সেই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। ফাইল চিত্র।
পর্দায় তাঁর উপস্থিতি এক মুহূর্তের হলে সেটুকুই দাগ কেটে যায়। তাঁর মতো শক্তিশালী অভিনেতা অভিনয়ের জগতে হাতেগোনা। তবু তিনি নওয়াজ়ই। ‘মান্টো’, ‘লাঞ্চবক্স’ কিংবা ‘বদলাপুর’ খ্যাত নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি। তারকাসুলভ নয়, সাদামাটা ব্যক্তিজীবনে স্বচ্ছন্দ তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বললেন, “হাজার কোটি পারিশ্রমিক নিয়ে নায়করা আসলে ছবির ক্ষতি করছেন।”
শিল্পী হিসাবে শিল্পের গুরুত্বই তাঁর কাছে আগে। আত্মবীক্ষণের মধ্যে দিয়ে না গেলে ক্লান্তি বোধ করেন। যেমনটা করছিলেন বছর তিনেক আগেও। পর পর কাজ। বিধ্বস্ত লাগছিল অভিনেতার। জানালেন, আশীর্বাদের মতো অতিমারি এসে পড়ায় খানিক বিরতি পেয়েছিলেন। ফিরে গিয়েছিলেন দেহরাদূনের ফার্ম হাউস ঘুরে নিজের বাড়িতে। সেই অবসরযাপনের পর কাজে ফিরে এখন ভাল লাগছে নওয়াজ়ের।
কতটা বদলেছে ইন্ডাস্ট্রি? সেই বদল ইতিবাচক না নেতিবাচক? জিজ্ঞাসা করতে অভিনেতার জবাব, “দর্শকের চিন্তাভাবনা এগিয়ে গিয়েছে, পিছনে পড়ে আছেন আমাদের তারকারা। সিনেমাও পিছনের দিকে হাঁটছে। তা হলে কেন দেখবেন এখনকার মানুষ? এখন তো ওটিটির সুবিধা রয়েছে!”
নওয়াজ়ের মতে, তারাখচিত ইন্ডাস্ট্রির ধারণা এ বার বদলাতে চলেছে। অভিনেতাদের গুরুত্ব বাড়ছে। তবে কি শিল্পীরা ব্যবসা ভুলে শুধুই কাজ নিয়ে ভাববেন? নওয়াজ় বললেন, “বক্স অফিসের নম্বর দেখা প্রযোজকদের কাজ। ছবির টিকিট বিক্রি হল কি না, সেই চিন্তা অভিনেতারা কেন করবেন? আমি এখানে দুর্নীতির গন্ধ পাই। যে তারকারা ১০০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক চান, তাঁরা আসলে ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি চান। অল্প বাজেটের ছবি হলে কখনও লোকসানের বোঝা টানতে হয় না।”
নওয়াজ় সাফ জানান, ছবির থেকে বাজেটের ভার বেশি হলে সেই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। ফিল্মের বাজেটই আসলে ছবির সাফল্য বা ব্যর্থতার কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy