ছবিতে ব্রাত্য-ঋত্বিক
মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিংয়ের দাপটে সাবেকি বাড়ির দেখা আর মেলে না। চিলেকোঠার খুপরির নিশ্চিন্ত বেলাগুলোও যেন গড়িয়ে গিয়েছে। বাঙালির নস্টালজিয়ার ছাপ রয়েছে প্রেমাংশু রায়ের ‘চিলেকোঠা’য়। পরিচালকের কথায়, ‘‘যে বাঙালিয়ানা হারিয়ে গিয়েছে, তাকে ফিরে দেখার চেষ্টা করেছি ছবিতে।’’ তাতে পুজোর নাটক, ঘুড়ি ওড়ানো, ছাদ টু ছাদ প্রেমের মতো নিপাট বাঙালিয়ানা এসেছে ছবিতে। এসেছে ফুলকাকার মতো চরিত্র। যারা সব সময় একটা স্তম্ভের মতো পাশে থাকে।
ছবির প্রটাগনিস্ট অনিমেষের চরিত্রে ঋত্বিক চক্রবর্তী। আর ফুলকাকা হয়েছেন ব্রাত্য বসু। প্রেমাংশু নিজেও থিয়েটার ঘরানার। জানালেন, ঋত্বিক আর ব্রাত্যকে মাথায় রেখেই চরিত্র লিখেছিলেন। ‘চিলেকোঠা’ একটা নির্দিষ্ট সময়কালের গল্প বলে। ১৯৪০ থেকে একেবারে নকশাল আমল পর্যন্ত গল্পের গতিপথ। ঋত্বিকের প্রবীণ বয়সের চরিত্রটা করছেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। রয়েছে থিয়েটারের একঝাঁক মুখ।
ব্রাত্য খুব বেছে বেছে কাজ করেন। এই ছবিটা বাছলেন কেন? বললেন, ‘‘প্রেমাংশু থিয়েটারের ছেলে। ওর নিয়ে আসা স্ক্রিপ্ট পড়ে ভাল লাগল। আর অনেক দিন ধরে স্ক্রিনে আমি একটা বাঙাল চরিত্র করতে চাইছিলাম। যাতে বেশ জমিয়ে বাঙাল ভাষাটা বলতে পারি। ‘চিলেকোঠা’য় সেই সুযোগটাও মিলে গেল।’’
ঋত্বিক আর ব্রাত্য এর আগে একসঙ্গে ছবি করেছেন। ব্রাত্য আরও কিছু ছবি করছেন। রয়েছেন সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে জীবনানন্দ দাশের চরিত্রে। বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় রবিশংকর বলের ‘ধুলো বালি কথা’ ছবিতেও কাজ করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy